“হি ইজ অ্যা গুড ম্যান”- ছবিটার দিকে একটানা মিনিটখানেক তাকিয়ে, চোখ-মুখ ভুরু কুঁচকে, দুই-চারবার সাপের মত জিহবা বের করে নিচের ঠোট ভিজিয়ে উপর নিচে মাথা দুলিয়ে গমগমে কন্ঠে বলল জ্যুড। জ্যুড সেঙ্কুঙ্গু আমার বাথরুম্মেট, বাড়ি উগান্ডা, পেশায় শিশুচিকিতসক। বাংলাদেশে এসেছে পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করতে। আমরা দুজন থাকি পাশাপাশি রুমে, কিন্তু দুজনের জন্য বাথরুম একটাই; সেই সুত্রে আমরা বাথ্রুম্মেট। মানুষের স্বভাব বি
'আই'ম অ্যান অর্ডিনারি ম্যান' - বাক্যটাকে বাংলা করলে 'আমি একজন সাধারণ মানুষ' বোঝায়। কিন্তু আমি বাংলার বদলে ইংরেজিতে অর্ডিনারি শব্দটা বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি কেননা বাংলায় সাধারণ মানুষ বলতে যা বোঝায় তাতে ঠিক অর্ডিনারি শব্দটার অনুবাদ হয় না। বরং আমি একজন যেনতেন মানুষ বললেই অধিক অর্থবহ হয়। কিন্তু যেনতেন মানুষের চেয়ে অর্ডিনারি শব্দটা অলংকারসমৃদ্ধ মনে হয়। তাই 'আই'ম এন অর্ডিনারি ম্যান' বাক্যটাই বে
ধর্মীয় মৌলবাদি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম প্রায় এক বছর পরে আবারো তাদের কর্মকান্ড জোরেশোরে শুরু করেছে। বিগত দুই সপ্তাহান্তে তারা বিভিন্ন সমাবেশে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করছে। গতকাল তারা এমনকি নাস্তিকদের কতলের ফতোয়া দিয়েছে। হঠাৎ করে হেফাজতের এরকম গর্ত থেকে বের হয়ে আসার কারণ কী? এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নিশ্চয়তা বা সমঝোতার প্রসঙ্গ আছে কি? বা কিছুদিন আগে দুই কিশোর ব্লগারকে জেলে পোরার সাথেই বা এসবের কোন সংযোগ আছে?
গত দু'দিনের মারাত্মক ট্র্যাজিক খবরঃ সেন্ট মার্টিনে ছুটি কাটাতে গিয়ে সাগরে ডুবে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রের মৃত্যু। আজ সকাল পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলোর শিরোনামে এবং দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। আগামীকাল এবং পরশু থেকে হয়তো এ নিউজের 'ভ্যালু' কমে যাবে এবং এ সপ্তাহের শেষে মিডিয়া থেকে বিলীন হয়ে যাবে। হয়তো সেটাই স্বাভাবিক, কারণ ফল
লেখকরা অনেক সময়ই লেখার প্রয়োজনে একটি ঘটনা বর্ণনার সময় মূল ভাব ঠিক রেখে নিজের মত করে রং তুলির আঁচরে লেখাটাকে ফুটিয়ে তুলেন। এখানে তা করা হয়নি। একটি সত্য ঘটনা কোনরুপ পরিবর্তন না করে উপস্থাপন করা হয়েছে)
এভাবে প্রতি বছর অসংখ্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়, কিন্তু সেই ভ্রমণ শেষ করে তাদের আর ফেরা হয় না ঘরে. হয় জলে ডুবে, না সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় অসংখ্য তাজা প্রাণ মহাকালের গর্ভে. প্রতি বছর ঘটছে এমন মর্মান্তিক ঘটনাগুলো, ফলে আমরা একরকম অভ্যস্থ হয়ে গেছি এই শোকের সাথে.
বাংলা নববর্ষের আনন্দ উদযাপন করি না আজ প্রায় তেরো বছর ধরে।
(অনেক জায়গায় অনেক সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত মানুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে অনুধাবন করেছি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কতটুকু সঠিক শিক্ষায় আমাদের শিক্ষিত করছে আর কতটুকু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পাস করা শিক্ষিত করেছে। অার শিক্ষিতই বা কাকে বলে, এটি নিয়েও আমাদের অনেকের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান রয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাশ দিলেই আমরা তাকে শিক্ষিত বলি। আসলে কি তাই?
বাংলাদেশের শেষ ওভারে হয়তোবা একশ এর উপরে রান দরকার, আমি বলছি হতে পারে। বোলারের এমন কুফা লাগল যে, নো বল থেকে বেরোতেই পারছে না। শেষ বল, অথবা খেলার পরেও বলি এই দিনেরে নিব আমি সেই দিনেরও কাছে। এগার জন খেলোয়াড়দের হয়ে ফাইট করতে হয় বাকী সাপোর্টারসদের সাথে প্রতিনিয়ত। এই কারণে নিজেকে একজন খাঁটি বাংলাদেশী সাপোর্টার হিসেবে ভাবার মত ভ্রান্ত ধারনা ছিল।
আমাদের এতদঞ্চলের অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে অতিরঞ্জন একটি প্রচলিত প্রথা বটে। এই যেমন কাউকে আশীর্বাদ করতে বলা, 'হাজার বছর পরমায়ু হোক' বা 'শত পুত্রের জননী হও' ইত্যাদি। যদিও জানি বাস্তবে তা সম্ভব নয়। তবুও তো বলা হয়, না কি?