Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

সচিত্র ভাপা পিঠা রহস্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০২/২০১৪ - ২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অ্যাবস্ট্রাক্টঃ স্বদেশ ছেড়ে মরার দেশে পড়ে থাকা পোড়া কপাইল্যা বলে একটা বিশেষ যে প্রজাতি আছে, তাদের মধ্যে অমাবস্যা-পূণ্যিমায় তথা চান্দে চান্দে বিবিধ ফান্দে পতনের কথা ছন্দে ছন্দে মাথার নানান রন্ধ্রে রন্ধ্রে জানান দিয়া থাকে। এমনতর শত শত ফান্দোপাদানের মাঝে শ্রদ্ধেয় শ্রীমতি ভাপা পিঠা অন্যতম। বিগত দশটি বৎসর যাবত এই শ্রীমতির ভাজ খুলে, আনন্দ দেখে, প্রেমের তর্জমা করার নিমিত্তে বহু দিনমানরজনী অতবাহিত হয়েছে। অবশেষে হপ্তাব্যাপি যথেষ্ট হাদুমপাদুম প্রদর্শনের পর বিগত শেষ রজনীতে তন্দ্রাযোগে পাওয়া সিস্টেমে শ্রীমতি ভাপা পিঠার চুনরি ম্যায় দাগ লাগানোর উপায় খুঁজে পেয়েছি। তার চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়, সে রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছি। তারই মহিমান্বিত বয়ান হবে আজকের মাহফিলে। সবাই বলেন আমিন।


ভুবন ভ্রমিয়া শেষে, আমি এসেছি নতুন দেশে... (পর্ব-১)

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৬/০২/২০১৪ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]২০০৮ সালে প্রথমবারের মত বিদেশ যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন মাস্টার্স করার জন্যে সুইডেনে যাচ্ছি। মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম একটি ডায়েরি সাথে নিব। দৈনন্দিন ঘটনা গুলো লিখে রাখবো। মাস্টার্স শেষ করে সুইডেন থেকে যখন ফিরে আসবো তখন সেই ডায়েরিটির প্রতিটি পাতা ভর্তি হয়ে যাবে। এই ভেবে একটি সবুজ রুলটানা খাতায় লেখাও শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে নানান ব্যস্ততায় সে খাতায় খুব বেশিদিন লেখা হয়নি। তবে যেটুকু লেখা হয়েছিল, সেটুকু পড়েই আমি টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে ঘুরে আসার মত আনন্দ পাই।

যখন যেখানে গেছি সেখানকার প্রতিদিনের দিনলিপি লেখার ইচ্ছে আমার সব সময়ই ছিল কিন্তু কখনই তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। শুধু মাত্র গ্রীষ্মের এক ছুটিতে তিনদিনের প্যারিসের ভ্রমণের প্রায় দুইদিনের ঘোরাঘুরির উচ্ছ্বাসটা লিখে রাখতে পেরেছিলাম। যদিও সেই দুদিনের ঘটনা গুলো গুছিয়ে, লিখে সচলে প্রকাশ করতে আমার এত সময় লেগেছে যে এর মাঝে আরো কয়েকটি দেশ ভ্রমন হয়ে গিয়েছিল।


ছন্নছাড়া ০৫

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: রবি, ১৬/০২/২০১৪ - ৮:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছন্নছাড়া আবহাওয়া

আবহাওয়াটা এমন, যে কাজে মন দেয়া যাচ্ছে না। অথচ এখন আমারই কাজ বাকি, আমি দেরি করলেই কাজ পেছাবে। কিন্তু এমন বিকাল-সন্ধ্যায় একটা বই হাতে বের হয়ে যেতে হয় ঘর থেকে, একটু দূরে কোন ক্যাফেতে বসে বৃষ্টি ধোয়া গোধূলী মিলিয়ে যেতে যেতে সন্ধ্যার ইলেট্রিক বাতিতে সজ্জিত হয়ে উঠতে দেখা যায় আলোকিত শহরকে।

আমাদের ছোট শহরে সেরকম নিরিবিলি জায়গা কম। শহরের কেন্দ্রে সবথেকে ব্যস্ত বাজারে একটা চারতলা বিল্ডিং-এর তিনতলায় একটা ক্যাফে আছে, সেখানে চারিদিকে গ্লাস দিয়ে ঘেরা জায়গায় টেবিল আছে। ইচ্ছা করছে ঐখানে চলে যাই। বইটা থাকবে খোলা, কিন্তু পড়া হবে না, ধোঁয়া ওঠা মগের উপর দিয়ে শুধু আনফোকাসড দৃষ্টিতে দেখা হবে দুই-তিন তলা মার্কেটের উপর দিয়ে পুরানো শহরের মাথার উপর দিয়ে নদীর দিকের বৃষ্টিধোয়া দূরের আকাশ।

কিন্তু যাওয়া হবে না।


ছবিব্লগঃ অপার্থিব আলোর ঠিকানা - ০১

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: রবি, ১৬/০২/২০১৪ - ৩:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার পথচলা বহুদিনের। দিন-মাস-বছরের হিসাবটা আর নাইবা করলাম। কারণ এই পথচলাটা ‘ধারাবাহিক’ নয়। মাঝে মাঝে কিছু ‘বিশাল’ বা ‘ছোট্ট’ বিরতী রয়েছে।


মারমোত্তার গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০২/২০১৪ - ১১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“কোথায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলে বাবা?”। সেপ্টেম্বরের এক ছুটির দিনে ভোর সকালের ট্র্যাকিং থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখি সোফায় বসে ব্রেকফাস্ট করছে আমার পাঁচ বছরের ছেলে। জবাবে ‘কাম্পোফন্তানা’ বলতেই জিজ্ঞেস করল মারমোত্তা(marmotta) দেখেছি কিনা? উত্তরে ‘না’ জানাতেই অবাক হয়ে বলল “গত সপ্তাহেই না মারমোত্তার ছবি আমাকে দেখালে, আজকে কোথায় গেল ওরা?” দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলাম “মারমোত্তার দল ঘুমুতে গেছে, সে এক দীর্ঘ ঘুম………… ঘুম ভাঙবে বসন্তে, এখন শুধুই অপেক্ষার পালা”। সন্তানের বিস্মিত চেহারা দেখে শুরু করলাম মারমোত্তার গল্প, হাতের কাছে উইকিপিডিয়া তো আছেই।


বেদনার শহরে সাইকেলের ডানা

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৪/০২/২০১৪ - ১২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেদনার শহরে থাকি বলে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেদনার উপর বেদনার নতুন একটা প্রলেপ পড়ে- আরেকটি দীর্ঘদিন কাটাতে হবে ভেবে। বেদনার শহর- কথাটি যখন বলে ফেলি তখন নিশ্চিতভাবেই এমন একটা ধারণার জন্ম হয় যে- তাহলে কোথাও বুঝি আনন্দের শহর বলে কোনো জায়গা লুকিয়ে আছে।


'বসন্ত'কাল!

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০২/২০১৪ - ১:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'

এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।


ক্যালিডোস্কোপ - ২

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০২/২০১৪ - ৭:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বয়স তখন এগারো-বারো বছর হবে। ভাড়া থাকি দোতলা এক বাড়ির নীচের তলাটিতে। কিন্তু আমার বিচরণ ছিল গোটা বাড়ি জুড়েই। এক মায়াবী দুপুরে, চিলেকোঠার ঘরটা থেকে হাতে এসে গেল আগফার একটি বাক্স-ক্যামেরা, আদিযুগের। তার সবচেয়ে পছন্দের বৈশিষ্ট্য ছিল - দুটি ভিউ-ফাইন্ডার। একটি ক্যামেরার পিছনের দেয়ালে, অন্যটি ক্যামেরার ছাদে। ক্যামেরাটির বহিরঙ্গের রূপে তাকে কোলে তুলে নেওয়ার মত ছিল না। কিছু অকর্মণ্যতাও ছিল হয


হারানো ছেলেবেলা-১

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০২/২০১৪ - ৫:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশব আর কৈশোরের প্রতি সব মানুষের থাকে অপার দূর্বলতা, থাকে অজস্র স্মৃতি। জীবনের সেই শ্রেষ্ঠ সময়টাকে নিয়ে ভাবতে যেমন ভালোলাগায় পূর্ণ হয় বুক তেমন দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয় যাপিত জীবন। সেই ভালোলাগার স্মৃতিচারনের চেষ্টা থেকে লেখতে বসলাম অগোছালো হাতে হারিয়ে ফেলা ছেলেবেলার কথামালা। লেখার পূর্বে মনে হয় হৃদয়ের সব কথা লেখতে বসলেই এক নিমিষেই লেখে ফেলতে পারবো কিন্তু বাস্তবে লেখতে বসলে ভাষাহীন হয়ে যায় মস্তিষ্ক!


আমার পিতার মুখ

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ১০/০২/২০১৪ - ৭:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

''No truth can cure the sorrow we feel from losing a loved one.
No truth, sincerity, strength, no kindness can cure that sorrow.
All we can do is see it through to the end and learn something from it,
but what we learn will be no help in facing the next sorrow that comes to us without warning.''