জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে কিছু পোস্টার প্রচেষ্টা...
সম্প্রতি ইজরাইল-পরিচালিত বিধ্বংসী হামলায় গাজায় নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের প্রাণহানীর প্রেক্ষিতেই এই লেখা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। নতুন করে লেখবার কী আছে! নতুন কিছু লেখার আছে কি না এই নিয়ে আমিও দ্বিধান্বিত বলে পুরনো কিছু নিয়ে খানিকটা পেছন ফিরে দেখা...
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেখতে যেয়ে আবিষ্কার করলাম, সে তালিকায় রোশেনারার (রওশন আরা) নাম নেই।
দু:খ পেলাম।
অথচ রোশেনারা যে কাজ করেছিলেন, তা কোন বীরশ্রেষ্ঠ থেকে কম নয়।
ইতিহাসে আমরা দুজন রোশেনারার (রওশন আরা) সম্পর্ক জানতে পারি।
এক.
মুক্তিযোদ্ধারা ভারী অস্ত্র নিয়ে কিশোরী রোশেনারাদের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল।
রোশেনারাদের বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিল, গ্রেনেড আর মাইন।
২৫ মার্চ ১৯৭১, হঠাৎই বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা বন্ধ করে সন্ধ্যায় পাকিস্তানের কসাই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করে পশ্চিম-পাকিস্তান চলে যায়।
এই পাকি কসাইয়ের আদেশে ওই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানে শুরু করে 'অপারেশান সার্চলাইট' আর এর সাথেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর সর্ববৃহৎ গণহত্যা ও জাতিগত ধোলাই।
প্রিয় সুধী,
মুক্তিযুদ্ধের উপর অনলাইন আর্কাইভে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র
Bangladesh Liberation War Library and Research Centre
ফেসবুক পেজ
প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে; বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণা এবং প্রচার নিয়ে কাজ করছে এই সংগঠন।
১৪ ডিসেম্বর:
মিত্রবাহিনীর তুমুল আক্রমনে সারা পূর্ব বাঙলায় পাকিস্তানী সৈন্যরা কোনঠাসা হয়ে গেছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর গোলন্দাজরা পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে বিরতিহীনভাবে বোম্বিং করছে।
পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে সকালে গর্ভনর হাউজে পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর ডা: মালিক তার ১১ মন্ত্রী সহ পদত্যাগ করে।
বাহাত্তরে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু দেয়া ভাষণের অডিও
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে রেসকোর্স ময়দানে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে ব্যাহত করার যাবতীয় চেষ্টা করছে । যা জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার আশঙ্কা হয় । যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এ ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে রক্ষা করার প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে । উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে আ
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বেদনাদায়ক ইতিহাস আছে । আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । বাংলার ইতিহাস সুপ্রাচীন । বাঙালির অতীতগাথা অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আমাদের ভাষারীতি উঁচুমানের । বাঙালির আরও আছে শিল্পকলা আর সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা । তবুও আমাদের একটি বড় অপ্রাপ্তি ছিল, স্বাধীনতা নামক এক মুকুটমণির অভাব ছিল । প্রায় দু’শ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙলা তথা ভারতমাতা বৃটিশদের হাত থেকে মু