[justify]চোখে ছানি পড়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সে বছর দশেক হবে কম করে হলেও। চোখেরইবা কি দোষ। বয়েসতো কম হলো না। বড় মেয়ের ঘরের নাতির বিয়ে হয়েছে ৭ বছর আগে। আর বড় ছেলে তার মেয়ের বিয়ে দিয়ে ৩ নাতির নানা বনে গেছে। চোখের ছানি নিয়ে তাই কোন অভিযোগ নেই তার।
হুমমমম.....................................................
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবসে ৭১ টিভির একাত্তর মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠানে মেজর জিয়াউদ্দিন (কর্নেল তাহেরের সাথে যার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল কিন্তু পরে অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁর ফাঁসি রদ করা হয়) নামে একজন প্রাক্তন সেনা সদস্য এসেছিলেন। উনি বলছিলেন যে "শেখ মুজিব কে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মেরেছে তাঁর ব্যর্থতার জন্যে না, তাঁকে পছন্দ করত না সে জন্যে। সেনা বাহিনী স্যান্ডেল পড়া রাজনীতিবিদ দের কে অবজ্ঞার চোখে দেখত। রাজনীতিবিদরা এলাকার ছাপড়া চায়ের স্টলে চা খান...স্যান্ডেল পায়ে ধুলা মাখা পায়ে হেটে হেটে পাড়ার সবার সাথে হাত মেলান...এদেরকে সেনাবাহিনী তাচ্ছিল্যের চোখে দেখত।" কথা গুলো ভুলতে পারলাম না...কেমন যেন মনে গেঁথে গেল...মাথায় ঘুরতে থাকল। আবার ভারত পাকিস্তানের ইতিহাস টা মনে করার চেষ্টা করলাম............যা ভেবেছিলাম তাই। খাপে খাপে মিলে গেল। ৭১ পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে যারা ছিল তারা কখনই সিভিল গভর্নমেন্টের অধীণে ছিল না। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান খমতা দখলের পর থেকে ৭১ পর্যন্ত পুরটা সময়েই ছিল সামরিক শাসন। আর্মিরা উর্দি আর ভারী বুট পরা রাষ্ট্রপ্রধান দেখে ও তার অধীনতায় থেকে অভ্যস্ত। সাধারন সুতী কাপড়ের পাঞ্জাবী আর স্যান্ডেল পরা আটপৌড়ে এক নেতাকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়কের উপর ওইসব তরুন আর্মি অফিসারদের নাখোশ থাকাটা তাই অস্বাভাবিক না। পাকিস্তান ফেরত একদল সেনাবাহিনী তাই শুরু থেকেই শেখ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিল। সেই ক্ষোভ কে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটেছে কয়েকজন আর্মি অফিসার এবং নিজেদের আক্রোশ থেকে করা মুজিব পরিবার নিধন কে শেখ মুজিবের ব্যর্থতার ফলাফল বলে চালিয়েছে দিয়েছে। আসলে তারা আবার আর্মি শাসনই বহাল করতে চেয়েছিল।
২৭ মার্চ, ১৯৭১
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
সম্পাদকীয়
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তান নিয়ে অনেকদিন ধরে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আজ বাস্তবে পরিণত হল; পাকিস্তানের দু’অংশ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
এক.
আমি ভাই একা মানুষ। একা চলতে পছন্দ করি। দোকাতে আমার মেলে না।
ফেব্রুয়ারির পাঁচ থেকে উত্তাল স্বদেশ আমার।
খুব অন্যরকম সময় এটা।
ব্রজেন্দ্রনাথ মল্লিক
[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।
ব্রজেন্দ্রনাথ মল্লিক
ব্রজেন্দ্রনাথ মল্লিক
কুড়িয়ানায় পাকবাহিনীর আক্রমণের প্রস্তুতি