শিশু পালন একটা চব্বিশ ঘণ্টার কাজ। তার সাথে অন্য কোন কাজ করতে হলে চব্বিশ ঘণ্টায় আর কুলিয়ে উঠতে পারি না। মনে হয় দিনটি ৮৪ ঘণ্টার হলে ভাল হতো। বড়টাকে ঘুম পাড়িয়ে ভাত নিয়ে বসেছি। ছোটটা মায়ের দুধ খাচ্ছে। ফোন বাজছে। তাড়াতাড়ি ধরতে হবে, না হলে মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। বাঁহাতের মুঠোয় ধরা কাঁচা লংকা টেবিলে রেখে ফোন ধরে বললাম; কায়সার বলছি...
৪২ বছরেও আমাদের ঘুম ভাঙেনি। অনেক হয়েছে এবার আমরা ভোর দেখতে চাই। প্রসঙ্গতই আমার এই লেখাটা যুদ্ধাপরাধী আর জামাত-শিবির নিয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে জামাত-শিবির আমার খুবই অপছন্দের। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জামাতে ইসলামের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়া হয় আর ধীরে ধীরে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তারা আজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের একটি। ২০০১ সালের সালে
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র কারিগর।
কাহিনী সংক্ষেপ--
বরিশালের এক গ্রামে মোতালেব কারিগর নামে একজন হাজামকে একঘরে করার ফতওয়া দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি একাত্তরে পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন। তিনি লোকচক্ষুর আন্তরালে চলে যান।
[justify]সারা দেশে মন্দির পোড়ে, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়, রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা হলো, এরকম অনেক ঘটনাই অতীতে ঘটেছে- কোনটিরই বিচার হয়নি, দায়সারা তদন্ত হলেও দোষীদের ধরা হয়নি। অথচ ব্লগে-ফেসবুকে ইসলামের কটূক্তিকারীদের শনাক্ত করতে কমিটি হয়ে গেছে। কার কোন কথাটি উগ্র, কার কোন কথাটি ধর্মপ্রাণ মানুষের কোমল ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়েছে- সেসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসবেন সরকার। বেশ ভাল কথা- কিন
মার্চ ১৯৭১; আব্বা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্র। থাকতেন শহীদুল্লাহ হলে। জায়গাটা আমাদের মেডিকেল এলাকার প্রতিবেশী। কার্জনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলে বা রিকশায় আসা যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহ হলটি দেখে কেমন যেন আপন মনে হতো। কারন একাত্তুরে এই হলটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার গল্প আমি শুনে এসেছি সেই ছোট বেলা থেকে।
বহু প্রতীক্ষার পর স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেই বিচার প্রক্রিয়ার ফলও একে একে আসতে শুরু করেছে। এই সময়ে গণজাগরণ মঞ্চ তথা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে এবং ওসবের ফলশ্রুতিতে সেসব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধও হয়েছে। এই লেখাটি মূলত সেসব অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার প্রাথমিক রূপরেখার প্রস্তাবনা।
শাহবাগের সাথে একাত্মতায় এল রাজাকার বধাবলীর দ্বিতীয় পর্ব। এইখানে আছে সচলায়তনে প্রকাশিত নানান রাজাকার বিরোধী ছড়ার একটা সংকলন। আমি আলাদা করে তাদের নাম আর উল্লেখ করছি না।
তাঁদের সকলের কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা তাদের রচনা আমাকে ব্যবহার করতে দেবার জন্যে।
জয় বাংলা!!!
ছড়া আবৃত্তিঃ অনিকেত
রচনাঃ সচলায়তনের নানান ছড়াকার
যন্ত্রানুষঙ্গ আয়োজন, পরিচালনাঃ অনিকেত
একটা বিষয় নিশ্চয় সবার মনে আছে, স্কুল কলেজে বাংলা বইয়ের এক একটা গল্প কবিতার পর কিছু শব্দার্থ দেয়া থাকত। এদের মধ্যে কয়েকটা শব্দ হত এতটাই দূর্বোধ্য যে, শব্দার্থ দেয়া না থাকলে গল্প কবিতার আর কিছু বোঝা যেত না ।
আমার জন্ম সত্তুরের দশকের শেষের দিকে, স্বাধীন বাংলাদেশে। আমি বাহান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ঊনসত্তুরের গনআন্দোলন দেখিনি, একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। আমি দেশের ইতিহাস পড়েছি বইয়ে। কিন্তু এসব ঘটনা আমার মনে জীবন্ত হয়ে আছে অন্য একটি কারনে। স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের আর সবার মতো, আমি ছোটবেলা থেকেই এসব ঘটনার কথা শুনেছি বড়দের মুখে। ইংরেজিতে যাকে বলে, first-hand account; বাংলায় “প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
আজকে যারা গোমড়ামুখো
আজকে যাদের গা জ্বলে
থাকলে সাহস বল না তোরা
আসলেতে কোন দলে?
আজকে যাদের চউক্ষে পানি
আনন্দে নয়, দুঃখুতে
'সাঈদী' বলে ফোঁপাস যদি
তোদের মুখে দেই মুতে।