রাজীবকে আমি চিনতাম না, তার লেখার সাথেও আমার পরিচয় ছিল না। যতদূর জানি রাজীব এমন কোন সুপরিচিত জনপ্রিয় ব্লগারও ছিল না জীবদ্দশায়। কিন্তু রাজীবের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কারণ রাজীব শাহবাগ আন্দোলনের একজন কর্মী এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম বলি। আমরা জানি না তাকে টার্গেট করার উদ্দেশ্য কি। রাজীবের চেয়ে বহুগুন বেশী জনপ্রিয় ব্লগার ছিল টার্গেট করার মতো। তাদের কাউকে না করে রাজীবকে টার্গেট করে প্রায়
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ কবি। তিনি ফেসবুকে একটা স্টেটাস লিখেছেন। সেখানে লিখেছেন-
১) একদিকে শাহবাগ সহ সারাদেশে আমজনতা অহিংস আন্দোলন করছে।
২) আরেকদিকে ধর্মব্যবসায়ী খুনিরা নির্বিবাদে খুন-জখম ক'রে যাচ্ছে।
৩) সরকার চুপচাপ ঘোলা পানিতে মাছ ধরছে।
এই তিন লাইনের মধ্যে কোনো কবিতা নেই। নিরীহভাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থার একটা বিশ্লেষণ দিচ্ছেন।
আমরা দেখেছি ফেইসবুকের মাধ্যমে ছাগুরা কিভাবে দেশের মানুষের মাঝে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ফেইসবুক ছাগুদের নিয়ে এখন আমরা অনেকেই সচেতন।এখন আরো গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া দরকার।
ছাগুরা ফেইসবুক ছেড়ে এবার একত্রিত হচ্ছে 'টুইটার' এ, বিশ্ব মিডিয়ার কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুল আর মিথ্যা সংবাদ। নিচের লিংক আর স্ক্রীনশট গুলো দেখলে ব্যাপারটা কিছুটা আচ করতে পারবেন।
এই লেখাটা লিখবো না ভেবেছিলাম। আজকের এই অভূতপূর্ব গণজাগরণের মূহুর্তেও যারা বিভিন্ন ধোঁয়াশার বিকিকিনিতে ব্যস্ত তাদের পথে আনার মতো কোন কথার যাদু আমার জানা নেই। এই স্বতঃস্ফূর্ত বাঁধ ভাঙ্গা গণজোয়ারে যারা রাজনীতির আবর্জনা খুঁজে পান, বা যারা এই গণস্রোতে নানা আবর্জনা মিশিয়ে এর প্রবাহকে আবদ্ধ করতে চান, অথবা যারা এই জোয়ারে কোন ভাবেই ভাসতে পারলেন না, এই অধমের সামান্য কথায় সেই হতভাগাদের ধ্যান-ধারণা বা মন
শাহবাগ
-শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র
চলো চলো চলো যাই
শাহবাগ যে ডাকছে ভাই
তরুণ সমাজ
জেগেছে আজ
রাজাকারদের রক্ষা নাই।
দৃশ্যপট আছদগঞ্জ চট্টগ্রামঃ ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
কানে মোবাইল গুঁজে চোখ সজাগ রেখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে এক দাড়িয়াল। এখনো কেউ আসেনি। আগে এসে বোকামী করলো কিনা আক্ষেপ করছে। আজকে আন্দরকিল্লার দিকে যাবার সাহস হচ্ছে না। পিঠের চামড়া রাখবে না মিছিল দেখলে। তাই জেলখানার পাশের রাস্তাটাকে নিরাপদ ভেবে বেছে নেয়া। ঐ তো আসছে দুজন। খানিক পার পাশের গলি থেকে আর পাঁচজন। মোটামুটি বিশ পঁচিশজন হবার পর শ্লোগান শুরু -নারায়ে তকবীর। কিন্তু গলায় আজকে জোর নেই। গতরাতে প্রেসক্লাবের জাগরণ মঞ্চ থেকে দেয়া ঘোষণাটা ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়। মিনিট দশেক শ্লোগান দিয়ে লালদীঘির কাছে এসে ডানে বামে তাকিয়ে মিছিলের হঠাৎ সমাপ্তি ঘোষণা করলো নেতা। তিন মিনিটের মধ্যে দলটা রাস্তা থেকে নাই হয়ে গেল।
শাহবাগবিরোধী ভাইরা নিশ্চয়ই গত কয়দিন ধরে ভয়ে প্যান্ট ভিজায়ে ফেলতেছেন। আপনার বুক ধড়ধড় করছে, প্রেসার হাই, চোখে কালসিটে পড়ে গেছে। গত কয়দিনে অনেক খাঁটুনি গেছে- আপনি কোন গ্রীন দেখতে পাচ্ছেন না। যদিও সবাই আপনাকে প্রচুর পুষ্টিকর কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে তবু কাঁঠালপাতার শর্ট পড়ে গেছে! এই অবস্থায় কী করবেন?
১- যেকোন ব্রাউজার এ একটি নতুন উইন্ডো বা ট্যাব খুলুন
২- টাইপ করুনঃ google.com
[justify]১.
এখন আর অপেক্ষা নয়, সময় এসেছে নিজেদের অবস্থান সারাবিশ্বকে উচ্চ কণ্ঠে জানিয়ে দেবার। সেই লক্ষ্যেই তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, একত্রিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে শাহবাগ তথা প্রজন্ম চত্বরে। একজন নয়, দুইজন নয়, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। এই আন্দোলন যে কেবল শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশেও