১.
ঘনিয়ে আসা ঝড়
সচলায়তনের কিছুটা পুরানো সদস্য এবং পাঠকদের হয়তো মনে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদের কথা, আমাদের কাছে যার আরেকটি পরিচয়- সচল জিফরান খালেদের বাবা, তিনি দুরারোগ্য এক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদের সমগ্র জাতির যে অপরিসীম ঋণ, কৃতজ্ঞতা- তারই অংশ হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছিলাম উনার পাশে দাঁড়াতে। [url=http://www.sachalayatan.com/goutam/24557]যিনি লড়েছিলেন দেশের জন্য, আম
ক।
[justify]
বাবার সামনে দাঁড়ালেই বুক কেঁপে উঠতো কেনো জানি, যে কারণে বাবার কাছে মুখ ফুটে মনের কথা বলা কখনোই হয়নি তার, যত আবদার ছিলো মায়ের কাছে। এর অন্যথা হয়নি কোনদিন।
1971
পাকিস্তান আমলে প্রতিটি ইসলামি অনুষ্ঠান খুব ঘটা করে পালন করা হতো। শবেবরাত থেকে শুরু হতো উৎসবের আমেজ আর তার রেশ চলতো ঈদ পর্যন্ত। রোজা শুরুর আগেই এ্যনুয়াল পরিক্ষা শেষ হয়ে যেতো। শুরু হতো আমাদের লাগাতার ফুর্তি আর আনন্দ!
বাংলাদেশে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের ট্রাইবুনাল চলছে। ট্রাইবুনালে বিচারাধীন বেশিরভাগ ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর সদস্য হওয়ায় এই বিচার নিয়ে জামায়াত শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী মূল অপরাধী পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার বা সামরিক বাহিনীর বিচার আগে না করে কেন তাদের অর্থাৎ সহযোগীদের বিচার করা হবে ইত্যাদি নানা মায়াকান্নাও তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এবং অনলাইনে বিভিন্ন ভাষায় ভি
গত কয়েকদিন খুব ভাল ছিলাম। নিজের মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছিলাম বেশ। প্রায়ই সবাই বলতো বাংলাদেশ হল অমানুষদের জায়গা। বাংলাদেশের সব লোক দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ফেসবুকে-ব্লগে-পত্রপত্রিকায় আমি শুধুই মানুষ দেখছিলাম। অনেক মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ। সবাই মানবতাবোধে ভর্তি উপচে পড়া ভালবাসা দেখাচ্ছিল- ঠিক আমার মত। আজকালকার দিনে আমাদের অবশ্য প্রায়ই ভেক ধরে থাকতে হয়- কখন নাহলে আবার ছ
এটা আসলে কোনও রিভিউ নয়, এটা আপনাদের শোনার জন্যে। কিছু মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ এবং আরও কিছু কথা। ১৯৭১-এ কিভাবে নারীরা অসম সাহসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মুক্তির সংগ্রামে, তারই কিছু কথা জানতে পারবেন এই প্রামাণ্যচিত্রটি থেকে।
আচ্ছা বাবা, তুমি না বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলে?
একাত্তরে যুদ্ধ করলে বন্ধুরা সব মিলে!
তোমার বন্ধু শহিদ হলো, বুলেটবিদ্ধ তুমি
রক্ত দিয়ে করলে স্বাধীন প্রিয় স্বদেশভূমি।
তোমার খোঁজে রাজাকাররা হামলা করলো গ্রামে
ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দিলো তোমায় খোঁজার নামে!
ফুপিটাকে তুলেই দিলো আর্মিগুলোর হাতে
আত্মহত্যা করলো ফুপি দুঃসহ সেই রাতে।
তোমার বোনের সম্ভ্রম আর অশ্রু-প্রাণের দামে
[১]
'মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর/ পোড়োবাড়িটার/ ঐ ভাঙা দরজাটা/ মেলাবেন'। প্রথম আলোর বাজেট প্রতিবেদনে অমিয় চক্রবর্তীর দেখা মিলল। অমিয় ছাড়াও সেখানে উদ্ধৃত বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আর ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। বিশেষ প্রয়োজনে মার্কিন সরকারকে ডেকে আনা প্রথম আলোর স্বভাববিরুদ্ধ না। কিন্তু বাজেট বিশ্লষণে অস্তিত্ববাদীর মৌল সংকট-বিষয়ক কবিতার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজতে গেলে, আগে জানতে হবে তাদের দফতর আলো করে আছেন নিদেনপক্ষে আড়াইজন কবি। তারা কারণে-অকারণে সাহিত্য ডেকে আনেন।
তাই বাজেটের পরের দিন ছাপা হওয়া 'হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল: সাহিত্যের সীমনা ও আদালতের দায়' খটকার জন্ম দেয়। লেখক সাজ্জাদ শরিফের আপত্তি '[হুমায়ূনের 'দেয়াল'] সাহিত্যের ['মধুর'] সীমা উপচে সমাজ-রাষ্ট্রের খোলা ময়দানে প্রবেশ করেছে'। কতগুলি পূর্বানুমান লক্ষ্য করি: সাহিত্যের সীমানা মধুর, সাহিত্য বদ্ধকাঠামো (যেহেতু সমাজ-রাষ্ট্রের 'খোলাত্ব' তাকে সাহিত্যের বিপরীতে দাঁড় করায়) এবং সমাজ-রাষ্ট্রের ময়দান খোলা, অর্থাৎ বদ্ধোকাঠামোয় সমাজ-রাষ্ট্র নাই।