সালেক খোকন
‘ট্রেনিং শেষ। এবার রণাঙ্গনে যাওয়ার পালা। ইন্দ্রনগর ট্রেনিং ক্যাম্প হতে আমাকে পাঠানো হয় ৪ নং সেক্টারে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বীর উত্তম সিআর দত্ত। সেখানে ৩০ জনের দল করে আমরা অপারেশন করি। আমার দলের লিডার ছিলেন মাহাবুব নুর সাদী। এখনও মনে পড়ে কানাইঘাট থানা অপারেশনের কথা। চোখের সামনে দেখেছি সহযোদ্ধাদের মৃত্যু যন্ত্রণা। জীবন বাজি রেখে করছিলাম যুদ্ধ। আমাদের ঠিকানা শুধুই স্বাধীনতা।
উনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। আবারও উদ্বেলিত হল এই পাহাড়ি রাজ্য। ভাসলো এক অপার সীমাহীন ভালোবাসার এবং আবেগের আলেখ্য নিয়ে। বাবা আসতে পারেননি স্বাধীনতার এই সূতিকা গৃহে, মেয়ে এলেন, এলেন দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশার অবসান ঘটিয়ে। হাজার হাজার মানুষ সবুজ পতাকা বুকে জড়িয়ে সালাম জানাল তাঁকে। দুই দিনের এই সফর গাঁথা থাকল ইতিহাসের পাতায়।
লালদাড়ি জানোয়ার দেলোয়ার সাঈদী
হাতে নিয়ে কাঁঠালের পাতা, ডাকে - ভাইডি!
শুনে দেখো ছুটে আসে ছাগু লেজ নাচিয়ে,
সাঈদী শুধায় তারে - 'দে না মোরে বাঁচিয়ে'
তাই শুনে ছাগুরাজ করে এক টকশো,
সুযোগের ব্যবহারে করে দিল মকশো।
"সাঈদী তো ভালু লুক" - এই তার ম্যাতকার,
এরপর ছাগু দেখো চেটে দেয় খেত কার ...
বছরের শুরুতেই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে কোঁকাচ্ছিলাম, আমার ফ্লোরমেট খোঁজ-খবর নিয়ে যাচ্ছিলো হরদম। তো একবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম তার এই খোঁজ-খবর করার মাহাত্য কী! উত্তরে সে জানালো, আমি এর মধ্যে মরলাম কীনা, এটা নিশ্চিত হতেই সে বারবার এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে!
মিনমিনে ম্যাৎকারধ্বনি শুনতে পাই, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর হাতেই লিখিত হয়। ইতিহাসের এ মহাপন্ডিতরা কি ভুলে গিয়েছে বিজয়ীর হাতে লিখিত এ ইতিহাসের খলনায়কদের কি পরিণতি হয়? দু:খ আমাদের এটাই- পলিমাটির দেশে জন্মানো নরম বাঙ্গালী ইতিহাসের সে দ্বিতীয় অধ্যায়টিই লিখতে পারলনা চল্লিশ বছরে। আজ এই বরাহছানারা চার্চিলের বরাত দেয়, ‘History is written by the victors’.
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। ভোর ছটা।
চট্টগ্রামের অদূরে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। গতকাল মধ্যরাতে হুকুম এসেছে সব পাক অফিসারকে ভোর ছটায় এই কলেজের মাঠে অস্ত্রসমর্পনের জন্য হাজির হতে হবে।
বৃটেন প্রবাসী বাঙালিরা মু্ক্তিযুদ্ধ চলাকালে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন একথা সর্বজন স্বীকৃত, কিন্ত বার্মিংহাম প্রবাসীদের ত্যাগের ইতিহাস, প্রবাসে প্রথম পতাকা উত্তলনকারী মিছির আলী ও বার্মিংহাম প্রবাসীদের শপথ সভার ঘটনাটি ছিলো বরাবরই উপেক্ষিত । কেন এই
সালেক খোকন
‘ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের দিনাজপুর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার্স ছিল দিনাজপুর শহরের দক্ষিণে কুটিবাড়িতে। সেখানকার বাঙালি ইপিআর সদস্যরা আশপাশের গ্রামের মানুষদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ গড়ে তোলে। ফলে আমরা জানতাম কুটিবাড়ির ভেতরে কী ঘটছে। কথা ছিল গুলির শব্দ পেলেই কুটিবাড়িতে হানা দিতে হবে।
ক্রুসেড যুগে ইংল্যাণ্ডের রাজা রিচার্ড বলেছিলেন,
একজন রাজা কখোনো ভূল করেনা, কারো কাছ থেকে প্রতিদান প্রত্যাশা করেনা, এবং কারোর দয়া ভিক্ষা করেনা।
[justify]আজকের গল্প রাজা রিচার্ডকে নিয়ে নয়, অন্য কাউকে নিয়ে। ধরে নেই তার নাম খবির মিয়া। বয়স হবে সত্তুরের কিছু কম বা কিছু বেশি। পেশায় রিক্সাচালক।