রাজনীতির প্রতি তার কোন আগ্রহ বা যোগাযোগ ছিল না ৬২ কি ৬৬তেও। এমনকি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নিবিষ্ট মনে চাকরী করে যাচ্ছিল। কিন্তু জেলফেরত শেখ মুজিবকে তার বিশেষ পছন্দ হয়ে গেল। মাওলানা ভাসানীর চেয়েও ব্যক্তিত্ববান নেতা মনে হলো শেখ মুজিবকে। রাজনীতি না করলেও শেখ মুজিবের ভাষণের জন্যই তার শক্ত ভক্তে পরিণত হয় সে। ইলেকশনের সময় অফিস কামাই দিয়েও ভোটের কাজ করেছে সে(আসলে সিনিয়রকে ভোটের প্রচারের কথা বলে
সালেক খোকন
যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিংবা কোন অঙ্গ হারিয়েছেন, এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে যুদ্ধকালীন ঘটনার বর্ণনা রেকর্ডের কাজ করছি। ইতিমধ্যে দিনাজপুর ও ঢাকায় কাজ শুরু করেছি। কাজটি একেবারেই নিজ উদ্যোগে করার চেষ্টা করছি। ঢাকাতে বা ঢাকার বাহিরে কিংবা দেশের বাহিরে থাকেন আপনার জানামতে, এমন পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা থাকলে অনুগ্রহ করে তাঁর নাম, ঠিকানা ও ফোন নং পাঠিয়ে সহযোগিতা করলে কাজটি শেষ করা সহজ হবে।
[justify]সাম্প্রতিক একটি ইস্যু হল জাফর ইকবাল স্যার এর উপর মৌলবাদীদের আক্রমণ। অনেক লেখা হয়েছে এই ধর্মান্ধের নিয়ে। পোস্টগুলির অনেক শেয়ার হয়েছে ফেইসবুকে, মানুষের প্রতিবাদ দেখে বেশ ভাল লাগছে। আমার খুব কাছের একজন মানুষের ফেইসবুক প্রোফাইলে এমন একটি লেখা দেখলাম, দেখার পর থেকেই মৌলবাদীদের উত্থান নিয়ে কিছু না লিখে পারলাম না। যাহোক মৌলবাদের নীল নকশা কারীদের মুখোশটা সবার সামনে তুলে ধরার জন্য সচলে আবার
সালেক খোকন
‘কুটিবাড়ী থেকে নৌকায় করে আমরাও মানপুরে নিয়ে আসি আটটি পরিবারকে। বাকিরা বিভিন্নভাবে চলে যায় বিভিন্ন জায়গায়। লুট হয় অস্ত্র। কিছু অস্ত্রসহ নৌকায় ওঠে হাবিলদার নাজিম উদ্দিন, কাঞ্চন, রিয়াজ, হালিমসহ অনেকেই। তাদের আশ্রয় দিই মানপুর স্কুলে। গ্রামবাসী পালা করে তাদের জন্য পাঠাতে থাকে খাবার।
[justify]
সীমান্তের সন্ধ্যা
তারা দুইজন বসে আছেন মুখোমুখি, একটা প্রায় শুকনো খালের উপরের কালভার্টে।
চারপাশ ঘন সবুজ। অশ্বথ আর পিপুল গাছের উঁচু বেষ্টনী চারপাশে, পশ্চিমাকাশের সূর্যের আলো সেটা ভেদ করে ঢুঁকতেও পারছে না ঠিকমত। অসহ্য গরম। এই তপ্ত আবহাওয়ায় ঘন ছায়ার মাঝে বসে থাকলে অবসন্ন লাগাটা স্বাভাবিক। আমীর-উল ইসলামের সেটি লাগছেও।
ওরা বলতো:
ইন্দিরা পাড়লো ডিম
মুজিব দিলো তা
ডিম ফুইটা বাইর হইলো
বাংলাদেশের ছা।
আমরা বলতাম:
ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা
বোয়াল মাছের দাড়ি
টিক্কা খান ভিক্ষা করে
শেখ মুজিবের বাড়ি।
সালেক খোকন
‘বড়গ্রাম ক্যাম্প থেকে একদিন ডেকে পাঠানো হয় আমাকে। যেতে হবে আঙ্গিনাবাদ ক্যাম্পে। সেখানে সবাই জড়ো হই। ক্যাপ্টেন রনজিৎ শিং উচ্চকন্ঠে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে কে দেশের জন্য জীবন দিতে পারবে ?’ সবার প্রথমে হাত ওঠে আমার। সেদিন দেশের জন্য আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত ১৫০ জন যোদ্ধাকে নিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ একটি দল। চলে কয়েক দিনের বিশেষ ট্রেনিং। সুবেদার মেজর শহীদুল্লাহ ট্রেনিং দেন সবাইকে।
প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী প্রখ্যাত আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদারের মৃত্যু হয়েছে [লিঙ্ক], কিন্তু বাংলার ইতিহাসচর্চায়, আলোকচিত্রের ইতিহাসচর্চায় রশীদ তালুকদারের মৃত্যু কখনোই হবে না। অসম্ভব।
আজ সন্ধ্যায় হার্ভার্ডের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভের তরফ থেকে শর্মিলা বসুর ‘ডেড রেকনিং’ বইটার উপর একটা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। শর্মিলা বসুর বিপক্ষে ছিলেন দিনা সিদ্দিকি, হান্টার কলেজের উওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ভিজিটিং প্রফেসর (অবশ্য তিনি নিজেকে মূলত অ্যানথ্রপোলজিস্ট বলে পরিচয় দিলেন), আর উপস্থাপক ছিলেন পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর রিচার্ড ক্যাশ।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
দুটো মেয়ের কথা হবে আজ। একজনের নাম কিম ফুক। বাড়ি ভিয়েতনাম। আরেকজনের নাম খুকি--খুকিরানী। বাড়ি বাংলাদেশে। ঘটনাকাল ১৯৭২ সালে আর ১৯৭১ সালে। কিমের বয়স ছিল তখন মাত্র নয়। আর খুকীর বয়স তের কি চৌদ্দ।
আমাদের যাত্রা আগে ভিয়েতনাম