শহীদজননী বলেছিলেন,
“[i]আবেগপ্রবণ জাতি হিসেবে আমাদের একটা মহাত্রুটি রয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করি কিন্ত তা রক্ষার জোরালো তাগিত আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ইতিহাসই একটি জাতির পরিচয়, ইতিহাসই একটি জাতির বিকাশের অনুপ্রেরণা। ...
“The world suffers a lot. Not because of the violence of bad people, but because of the silence of good people!”
- Napoleon
বলতে পারেন, পৃথিবীর কোন দেশে মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে কম?
বলতে পারেন, যুদ্ধকালীন বা সংকটগ্রস্থ অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও কোন দেশটিতে বসবাস করা একটি মাইনফিল্ডে বসবাসের চেয়েও ভয়ংকর?
প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব > ষষ্ঠ পর্ব > সপ্তম পর্ব
গ্রামগুলি আর নিরাপদ ছিলো না। ঢাকার ওপর দখল নিয়ে পাক-আর্মিরা তখন আশে-পাশে গ্রাম-গঞ্জে হামলা চালাতে শুরু করেছে। আমাদের গ্রামে থাকাটা আব্বার কাছে আর নিরাপদ মনে হলো না। ঠিক মনে নেই, তবে মনে হয়, এপ্রিলের শেষের দিকে আমরা ঢাকায় ফিরে এলাম। আমার মেজবোনের জন্মদিন ২৮শে এপ্রিল। আমরা ফিরবার পর আম্মা ওর জন্মদিন উপলক্ষে পায়েস রান্না করেছিলেন। আমাদের উত্তরবঙ্গের লোকদের মাঝে, মনে হয়, ঘটা করে জন্মদিন পালন করবার রেওয়াজ ছিলো না। তবে জন্মদিন উপলক্ষে পায়েস রান্না করা হতো, সেটা কাঁসার বাটিতে করে জুড়োতে দেওয়া হতো মিটসেফের ভেতর। যার জন্মদিন তাকে কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে বেশ যত্ন করে তা খেতে দেওয়া হতো।
১৯৭১ সালের আগস্ট মাস; এক ভয়াল সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশের অগণিত মানুষ। বিশ্বের বৃহৎ পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি বাংলাদেশে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে না। বাংলাদেশের মানুষের যৌক্তিক দাবী দমন করার জন্য পাকিস্তানী সামরিক সরকার বেছে নিলো নির্মম সামরিক আক্রমণের পথ; অজস্র বাঙালী তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে, কেবল প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলো। শুরু হল
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায়োরিটি লিস্ট ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শেষ, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কাজ শুরুর নমুনা হিসেবে ২/৩ জন আল-বদরকে হাজতে পুরে বিচার প্রক্রিয়াকে কচ্ছপের পিঠে তুলে দেয়া হয়েছে, আর মহা সমারোহে পরিবর্তন এসেছে সংবিধানে। ৭২ এর সংবিধানে ফেরত যাওয়া নিয়ে মাঠ গরম করলেও আওয়ামী লীগের প্রায়োরিটি লিস্টে তত্ত্ব সরকার বাতিলই সম্ভবত এক নাম্বারে ছিলো। বাংলাদেশে আইওয়াশ নির্বাচন দি
প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব > ষষ্ঠ পর্ব
চারিদিকে বাঁশঝাড়। মাঝখানে খানিকটা জায়গা পরিষ্কার করে মেজবাহ ভাইরা ট্রেনিং নিতেন। আমরা যেখানটায় থাকতাম সেখান থেকে জায়গাটা অনেক দূর, অনেকটা হাঁটতে হতো। ট্রেনিং দিতো একজন তাঁতি, সে ছিলো রঙের মাস্টার। সুতা রঙ করার কেমিকেলগুলো একসাথে মেশাতো ও। নামটা এখনো মনে আছে মনতু মিয়া (অবসর প্রাপ্ত ই.পি.আর)। পায়ে ব্যথা পেয়ে আগেই অবসর নিয়েছিলো। একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটত। বয়স কত, ঠিক জানি না। তখন মনে হতো, অনেক বড়। কিন্তু আসলে বেশি না, ৪৫-এর নিচেই হবে।
[justify][i]প্রতিবারই জোর করে কী-বোর্ডের সামনে বসার সময় মনে হয় আমার অস্তিত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চারদিকে যতকিছু ঘটে যাচ্ছে তার বৃত্তান্ত টুকে রাখার আমি কে? আমার দায় কী?
[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।
[justify]১৯৭১ সালে মাত্র নয় মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একটা সুপরিকল্পিত গণহত্যার পেছনে জাতিবৈরিতার কথাটুকু পাকিস্তান কখনো স্বীকার করতে চায় না। পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের আত্মজীবনী ভরিয়ে রাখে ভেজাল আত্মরতিতে। সেগুলোতে একাত্তরে হত বাংলাদেশের মানুষের সংখ্যা ছাব্বিশ হাজার বা তার চেয়ে কম। শর্মিলা বসু এদের অর্থপুষ্ট হয়ে গবেষণার কল্পজগৎ তৈরি করে জাতিবৈরিতার দা