Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১১/০৬/২০১১ - ৪:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব

ডেমরায় আমাদের একটা টেক্সটাইল মিল ছিলো, সেখানকার কেয়ার টেকার আয়েস আলী ২৮ মার্চ খুব ভোরে চলে এলো আমাদের ডেমরায় নিয়ে যেতে। আব্বাকে মাঝে মাঝে ওখানে গিয়ে থাকতে হতো, তাই মোটামুটি থাকার একটা ব্যবস্থা ছিলো। তবে এতজন লোকের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই ছিলো না।

আম্মা তার পাড়াতো আপা-ভাবীদের ছেড়ে একা কোথাও যাবেন না, মরতে হয় সবাই একসাথেই মরবেন। এই ঘোষণা দেওয়ার পর সবাই একসাথেই ডেমরা যাওয়া হবে, ঠিক হলো।


স্বাধীন দেশ জীবিত গেরিলাদের চায় না.........

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৬/২০১১ - ৮:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তারিখঃ ৮ জুন ২০১১
স্থানঃ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, গুলিস্তান। সময়ঃ সকাল ১১টা


১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৫/২০১১ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব

সবুজ মামার বাসায় কিছুই ছিলো না। এমনকি ঠিক মতো প্লেট-গ্লাস, হাঁড়ি-পাতিল, বিছানা-পত্র কিচ্ছু না। শুধু একটা বিরাট ফিলিপসের ধূসর রঙের রেডিও আর একটা বড় পাতিল ছিলো। সেটাতে করে পাড়ার মুদি দোকান থেকে চাল-ডাল কিনে এনে শুধু খিচুরি রান্না করে খেতাম আমরা। প্লেট-গ্লাস বেশী ছিলো না বলে পালা করে খাওয়া হতো। পাড়ার মুদি দোকানটা তখন পর্যন্ত ছিলো বাঙালির। দোকানটা সামনের দিকে বন্ধ, কিন্তু পেছনের একপাশে একটু খোলা ছিলো। ওদিক দিয়েই পাড়ার লোকে কেনাকাটা করতো। তেমন ভালো কিছু ছিলো না সেখানে। মনে হয়, পান-বিড়ির দোকানের মতো ছিলো সেটা। সিগারেটের মধ্যে স্টার, বগা, উইল্স আর সবচেয়ে বেশী ছিলো বিড়ি।


মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের শুদ্ধ আবেগ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৫/২০১১ - ৭:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

০৪

আমরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম সেটা শাহজাহানপুর হলেও অনেক অনেক ভেতরে। বাড়ির কাছে রিক্সা আসারও রাস্তা ছিলো না। বাসাটা ছিলো সবুজ মামার, আমাদের লতায়-পাতায় মামা। তখনও বিয়ে করেন নি। তিনি ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফিজিক্সের লেকচারার। তাঁরাই ছিলেন প্রথম ব্যাচ, যাঁরা বাংলাদেশ হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছিলেন। তখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পিএইচডি করা যেতো না।


রাজাকার বধাবলী - ১০

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: বুধ, ১১/০৫/২০১১ - ৪:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]

সঙ হতে রোজ ঢংগী মুখে মাখতে হবে রঙ ক'টা
সেই হিসেবে মত্ত থেকে গেছেন ভুলে অঙ্কটা
ইয়াহিয়া প্রেম জাগলে মনে, শইলে উঠে চুলকানি
লাখ - হাজারের হিসাবটাতে হয় তখনই ভুলখানি
পাক ুু রোজ করলে না suck রাত কাটে তার হুঁশ বিনে


এক যোদ্ধা-দম্পতির প্রেম ও যুদ্ধ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন সাঈদ আহমেদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১১ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম যুদ্ধ

বানু বিবি যখন নিতান্তই অপ্রাপ্তবয়স্কা কিশোরি, রুস্তম বেপারী তখন বয়:প্রাপ্ত যুবক। দুজনের বাড়ি ছিল নদীর দুই পাড়ে—পূর্বে বানু বিবি আর পশ্চিমে রুস্তম বেপারী। কিন্তু প্রকৃতির কী খেয়াল, নদীর ভাঙন বানু বিবিকেও নিয়ে এলো এই পাড়ে। ভাঙনের পর বানু বিবির বাবা নতুন ঘর তুললেন শরিয়তপুর এসে। পাশের বাড়িটিই ইকবাল আহমেদ বাচ্চুর—যেই বাড়িতেই দিনমজুরের কাজ করেন রুস্তম বেপারী। সেখানেই বানু-রুস্তমের প্রথম পরিচয়।


১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ৫:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

পিঠে হাতের ছোঁয়া পেয়ে চমকে ফিরে তাকিয়ে দেখলাম বড়াপু। ওকে দেখেই আমি মাথাটা সরিয়ে ফেললাম চট করে, যাতে আর চড় না মারতে পারে। কিন্তু ও আমাকে চড় মারলো না, বরং দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। তারপর প্রায় কোলে করে আমাকে গেস্টরুম থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলো ড্রেসিংরুমে। সেখানে আমাদের পরিবারের সবাই গাদাগাদি করে বসে ছিলো। আমরাও একপাশে বসে পড়লাম। গতরাতে বড়াপুই বাথরুমের দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছিলো। আমাকে গেষ্টরুমে আটকিয়ে রেখে ভয় দেখাবার জন্য।


নিষিদ্ধ লোবান, গেরিলা ও মেহেরজান

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শনি, ৩০/০৪/২০১১ - ৯:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[right][i]“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমাণ রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান?


গেরিলা

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১১ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই বিশাল জীব-বৈচিত্র্য দেখে যখন আমরা খোদার কেরামতির উপর ভক্তিতে গদগদ হয়ে যাই, তখন আজাইরা জীববিজ্ঞানীরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, বাছা! কুয়ার ব্যাঙের মতো ফাল পাইরো না। একটু শোনো। তারা শোনাতে চান, সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগে প্রাণের উৎপত্তির সূচনা থেকে আজ অবধি প্রকৃতিতে উদ্ভব হওয়া ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিকাশের সাথে সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে আছে দশভাগেরও কম। ভিন্ন প্রজাতির কথা বাদ দেই। নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির দিকে তাকালেও ঠিক একই ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে। আপনার নিকটবর্তী আম গাছে লক্ষাধিক মুকুল থেকে কয়টি আম ধরে? দশভাগ বললে তো বোধ হয় বেশি হয়ে যাবে। খোদা সবকিছুতে সর্বশক্তিমান হলেও সৃষ্টিতে তাঁর হাত কাঁপে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর' এর মাধ্যমে একটি ভালো প্রজাতির উদ্ভব ঘটানোর জন্য তিনি বিনা গ্লানিতে হত্যা করেন অসংখ্য।