রিকশার পেছনে টিনের ঝুলবোর্ডএ যে চিত্র আঁকা হয়, তাই রিকশাচিত্র হিসেবে চিহ্নিত। বিশ শতকের প্রথমভাগে, মূলত ত্রিশের দশকে, ঢাকাসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি জায়গায় রিকশার প্রচলন ঘটে। তবে সেসময়কার অর্থাৎ ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে বাংলাদেশের রিকশাচিত্র সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য জানা না গেলেও পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে এর ধারাবাহিক ইতিহাস জানা যায়। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য মোটিফ এঁকেছেন শিল্পীরা। অনেক বিবর্তনের পথ ধরে এগিয়ে
মানুষের নানারকম বাতিক থাকে, আমার যেমন আছে চট করে কিছু একটা কেনার অভ্যাস। আমি ধৈর্য ধরে, যাচাই-বাছাই করে কোন কিছু কিনতে পারি না। এজন্য দেখা যায় আমি হয়ত একটা জিনিস দাম দিয়ে কিনলাম, আশেপাশের কেউ একজন সেই জিনিসটাই আস্তে-ধীরে, অপেক্ষা করে অর্ধেক দাম দিয়ে কিনে ফেলবে। তবে কিছু জিনিস আছে যেগুলো চট করে কিনতে চাইলেও অনেক সময় হয়ে উঠে না, বিশেষ করে পুরানো বই-পত্রিকা, গানের রেকর্ড ইত্যাদি।
মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে যেসব দেশের পথচলা শুরু, সেসব দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস ভিন্ন অনুরণন নিয়ে আসে, প্রতিবছর। এটাও হয়ত সত্য যে সবাই সেসব উদযাপন করেন না, বা করলেও ভিন্নভাবে করেন, বা উদযাপন না করার পেছনে ব্যক্তিগত (ইমার্জেন্সি) কারণ থাকে। কিন্তু নিজে(রা) উদযাপন না করলেও বাকিদের উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ান বলে মনে হয় না। আমাদের দেশে জেনে না-জেনে আমরা সেটাই করি, খুব সুক্ষ্মভাবে।
শ্রীমঙ্গলের চারদিকে বিস্তীর্ণ কালেঙ্গা অরণ্য - আমাদের গেরিলাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাঝে মধ্যে ভুল করে পা মাড়ালেও মুক্তিবাহিনীর এমব্যুশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানীদের। ২৪ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১; বড় একটি পাকিস্তানী কলাম এগিয়ে আসছে বুনো পথ ধরে। পথ দেখিয়ে আনছে রাজাকার নাম্নী ২০/২৫ জনের এদেশীয় কিছু প্রভুভক্ত কুকুর।
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে একবার রক্ষা পেয়ে আবারও যাঁরা সেই মৃত্যুগুহায় ফিরে যাবার জন্য বারংবার জেদ করতে পারে এবং মৃত্যুকে নির্দ্বিধায় আলিঙ্গন করতে পারে, তেমন লোককে উন্মাদ বা আত্মঘাতী বলা যায়, কিন্তু ১৯৭১ তাঁদের বলেছে সংশপ্তক। সেই দুর্লভ সংশপ্তকদের রক্ত দিয়ে তৈরী বাংলাদেশের পতাকার লাল বৃত্তটি। তাঁদের যা দেবার তাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দিয়েছেন। যা কিছু পাবার, যা কিছু লাভের, লোভের, উপভোগের সব আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আমরা তাঁদের দেয়া বিজয় নিয়ে উল্লাস করি, দম্ভ করি, গর্ব করি, দখলবাজি করি, এমনকি তাঁদের দেয়া বিজয়ের ফুলফল নির্বিচারে বিনাশও করি। অথচ বিনিময়ে আমরা তাঁদের মর্মভেদী আত্মত্যাগের ভুলে যেতে কার্পণ্য করিনা। সেরকম একজন হোসেন ফরিদের গল্প পড়বো আজ।
সম্প্রতি সবাই যে দাবী তুলছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার। জাতীয় দৈনিকেও লেখালেখি হচ্ছে, মিটিং সেমিনারে আলোচনা হচ্ছে। সেই দাবী আমরা করে আসছি আরো অনেক আগে থেকে। দুই বছর আগে এই দাবী তুলে ব্লগ লিখেছিলাম। কোনো কাজ হয় নাই।
১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল। সেদিন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম পাকিস্তান সংক্রান্ত পলিসির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটা মেমোরেন্ডাম পাঠিয়েছিলেন। মেমোরেন্ডামে তিনটি অপশনের কথা লেখা ছিল।
কিন্তু এতোকিছুর পরেও থেমে থাকেনি তার বিচার। চট্টগ্রামের এই ত্রাস, রাউজান এলাকার দুর্দমনীয় আতংক শেষ পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে ঝুলেছে। বিচার পেয়েছে তার হাতে নির্যাতিত, নিহত,অত্যাচারীত শত শত মানুষ, সহস্র পরিবার। পয়সা আর গ্ল্যামারের ঝলমলে আলোয় ঝলসে যাওয়া মিডিয়া কোনদিন বলবেনা এইসব অসম সাহসী সাক্ষী যারা প্রাণের ভয় তুচ্ছ করে, সব হারাবার সম্ভাবনাকে অসীম শক্তিতে মাড়িয়ে দিয়ে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই অকল্পনীয় দানবের বিরুদ্ধে তাদের কথা। তারা ব্যস্ত হুম্মাম কাদের নামের চৌধুরী পরিবারের আরেকটা অশ্লীল লোকের দম্ভভরা সাক্ষাৎকার নিতে, সালাউদ্দীনের শেষ খাবারের মেন্যু, তার শেষকৃত্যের খুঁটিনাটি বর্ণনা নিয়ে।
দিনের শেষে এই জ্যোৎস্নাবালা এই গোপাল দাশেরাই বাংলাদেশ। মিডিয়া নামের যাত্রার প্রিন্সেসদের নৃত্য শেষ হবার অপেক্ষা না করে এরাই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর অটল সাম্রাজ্য ধংশ করে, সম্মিলিত হাতে ফাঁসির দড়ি পরিয়ে দেয় এই দানবের গলায়।
মধ্যগহীরা, সুলতানপাড়া, উনসত্তরপাড়া গ্রাম আপনাদের আত্মত্যাগ আজ বাংলাদেশকে নতুন জীবন দিল। জয় বাংলা।
আট বছর আগে একদিন হুট করেই একটা কাজ শুরু করেছিলাম। দ্রুতই তিন ধরনের তিন চাকুরি, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে ভিন্নভিন্নভাবে তৈরী করা, অনভ্যস্থতা, ভুল করা, বিরক্তি- সে সময়ের এক মাত্র ‘বিনোদন’ ছিল রাতভর বিভিন্ন ব্লগে কমেন্ট। রাতভর কীবোর্ডে ঝড় তুলে তারপর সকালে ঘুম ঘুম চোখে অফিস, সেখানে কফির পর কফি পান সটান থাকার জন্য। সেই অনুভূতিকে আরেকটু বাড়ানো গেলো রাস্তায় স্টিকার লাগিয়ে। সচলের কয়েকজন মিলে চাঁদা তুলে স্টিক