Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মুক্তিযুদ্ধ

কার্তিকদের গ্রাম জেগে আছে

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: বুধ, ২৯/০৭/২০১৫ - ৯:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কার্তিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক, বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান, সুলতানপুর গ্রামে। চট্টগ্রামের অন্য বহু জায়গার মতই এই গ্রামও রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্ত্রাসের এলাকা ছিল একসময়। ঘন্টাদুয়েক আগে কার্তিক ফেইসবুকে লিখেছে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্ত্রাসীগণ তার মামলার সাক্ষী দেয়ার জন্য ভীতি প্রদর্শন করছিল তাদের গ্রাম এবং পরিবার কে। কুখ্যাত রাজাকারটার ফাঁসির রায় বহাল রয়েছে। প্রত


আমজাদ খান চৌধুরী বিতর্ক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ১২/০৭/২০১৫ - ১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সদ্যমৃত আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। আমজাদ খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সেই বিতর্কের সূত্র ধরেই তার মুক্তিযুদ্ধকালে তার ভূমিকা সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু জানা গেলো তা এখানে একত্র করা হলো। খোঁজ নেওয়ার কাজ এখনো চলছে। এই পোস্টটি সময়ে সময়ে আপডেট করা হবে।

১.


কথা

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে ভেবেছিল ঘুম ভাঙ্গার পরেও আরো একটু গড়িয়ে নেবে। কিন্তু জানালা দিয়ে আসা সকালের কড়া রোদ মুখে এসে লাগতেই মাহবুব চোখ খুলে উঠে বসে। বিশ্রী এই রোদের তেজ তার ঘুম তাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কাল সে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিল। ঘুম আসে না, কী করবে? কত রাত পর্যন্ত কত কথা হলো তার ছোটবেলা নিয়ে!


মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী সমাচার

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রান-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের 'বিশিষ্ট' শিল্পপতি মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী মারা গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার দেহান্তর ঘটে। তার মৃত্যুর খবর দেশে পৌছানোর পরপরই দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে সমবেদনার ঢল বয়ে যায়। ফেসবুকে অগনিত সাধারন মানুষতো বটেই, মোস্তফা সারওার ফারুকি থেকে সাইখ সিরাজ থেকে এমনকি প্রধানমন্ত্রীও শোক প্রকাশ করেছেন। এত


পাঠ প্রতিক্রিয়া: "যখন ক্রীতদাস: স্মৃতি '৭১"

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৭/২০১৫ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশা মানুষকে শুধু সামাজিক সংকোচেই ফেলে না, তার আত্মাকে সঙ্কুচিতও করে। স্বাভাবিক একটি দিনে মানুষ যতোটা ঋজু, যতোটা প্রসারিত, যতোটা বলিষ্ঠ ও আকাশপ্লাবী, বিপন্ন দিনে আশার ভারে সে ততোটাই ধ্বসে পড়ে ভেতরের দিকে, ততোটাই কুঁচকে যায়, ততোই দুর্বল ও আড়ালকাতর হয়ে ওঠে। বিপদ কেটে গেলে সেই আশাঘটিত অন্তঃস্ফোরণের স্মৃতি মানুষের মনে এক অবাঞ্ছিত ভার হয়ে থাকে। কেউ সে স্মৃতি এড়িয়ে চলেন, কেউ অস্বীকার করেন, কেউ বিকৃতি ঘটা


প্রত্যেক গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ২৯/০৬/২০১৫ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ডাংগুলি হাতে যে কিশোরটি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম, সে হয়তো জানে না আজ থেকে ৪৪ বছর আগে এখানে তার মতোই আরেক কিশোর অস্ত্র হাতে মরনপণ লড়াই করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যে নদী সে সাঁতরে পার হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে, জানে না ৭১ সালে তার মতো এক কিশোর দু ইঞ্চি মর্টারের গোলা মেরে ডুবিয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোট, বুকে গুলি বিঁধলে ক্ষতস্থান গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে। যে কি


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৪

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।


মেজর খালেদ’স ওয়ার: তথ্যচিত্রে একাত্তরের মুহূর্ত আর মুখ

নাদির জুনাইদ এর ছবি
লিখেছেন নাদির জুনাইদ (তারিখ: শনি, ২৭/০৬/২০১৫ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন একদিন টেলিভিশনেই দেখিয়েছিল এই তথ্যচিত্রটি। আমার দেখা হয়নি সেদিন, কিন্তু দেখলাম আমার ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু মেজর খালেদ’স ওয়ার দেখে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনায় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। তথ্যচিত্রটির বর্ণনা দিয়ে আমাকে সে বললো, রুমিকে দেখা যায় এই ছবিতে, তার কথাও শোনা যায়। “একাত্তরের দিনগুলি”র রুমিকে দেখতে পাবো, তার কন্ঠও শোনা যাবে এই কথা চিন


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৩

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০১৫ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১ লা মে ২০১৫।
সালেহ চৌধুরীর উত্তরার বাসায় উপস্থিত হই আমি ও নজরুল সকাল ঠিক দশটায়। এর আগে এসেছিলাম ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখে, প্রথমবারের মতো। মাঝখানের এই দিনগুলোতে আমি এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বই ও প্রকাশনাগুলো সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করেছি। দাস পার্টির অপারেশন সমুহের উল্লেখযোগ্য একটি স্থান সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘুরে এসেছি, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপচারীতা হয়েছে যারা অন্য গ্রুপের হলে ও একই সাব-সেক্টর টেকেরঘাটে ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছি বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, শাল্লা দিরাই অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাস পার্টির জীবিত গেরিলাদের সন্ধান নেয়ার, বিশেষ করে ইলিয়াসের- যিনি শুরু থেকে একেবারে শেষযুদ্ধ পর্যন্ত কমান্ডার জ্যোতির সাথে ছিলেন।
দুমাস সে অর্থে দীর্ঘ সময় নয়। কিন্তু এই সময়ের ব্যবধানেই সালেহ চৌধুরীকে বেশ ক্লান্ত লাগে। নিজ থেকেই জানান পা ও কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। চেয়ারে বেশীক্ষন বসে থাকতে পারছেন না। কুশল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমি তাকে গত দুমাসের আমার কাজের অগ্রগতি জানাই।