'নারিকেল ভোজনে অহিত যদি হয়, তন্ডুলেতে উপশম জানিবে নিশ্চয়||
আম্রফলে দুগ্ধে ঘৃতে জামীরের রস| কদলীর ফলে ঘৃত পাচক সরস||'
"কাঁঠালে কদলী ফল, কদলীতে ঘৃত| ঘৃতপাকে জম্বুরস জীর্ণমতে ধৃত||
জামরস বিগুণে লবণ প্রতিফল| বিঘ্নকর লবণে তন্ডুলধৌত জল||"
ইংল্যান্ডে বছর তিনেকের মত ছিলাম, প্রথম ওদের খাবার খেতে খুব কষ্ট হয়ে যেত। অবশ্য আস্তে আস্তে ভালই মানিয়ে নিয়েছিলাম।
চলুন আজকে ইংলিশ খাবার দাবার সম্পর্কে জেনে আসি।
[justify]রাস্তার মধ্যে এক মুরুব্বী পাকড়াও করে বললেন, শুনলাম আজকাল নাকি গরম উদাস ছদ্মনামে পত্রিকায় কি সব অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে যাচ্ছ। আমি মৃদু গলায় বললাম, আজ্ঞে গরম না চরম, পত্রিকা না ব্লগ, সাহিত্য না খিচুড়ি। সেই সাথে শ্লীল অশ্লীল নিয়ে একটা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দেয়ার ইচ্ছে ছিল। সেই সুযোগ না দিয়ে তিনি পণ্ডিতমশাই এর মতো রোষকষায়িত লোচনে তাকিয়ে চলে গেলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম, কানের কাছ দিয়
[justify]সেদিন প্রথম আলোতে না কোথায় যেন দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছয় জনে একজন নাকি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট। উপাত্তের সত্য মিথ্যা জানি না, কিন্তু আরও অনেক উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশগামীর মতো আমিও এই দেশে এসে পড়লাম জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে। জ্ঞান অর্জনের জন্য আজকাল চীনের লোকেরাও এই দেশে চলে আসে, আমি তো কোন ছার। সে যাই হোক, নতুন দেশে এসে জীবনে প্রথম বারের মতো অনেকখানি স্বাবলম্বী হতে হচ্ছে। তার একটা প্রধ
অনেক দিন ধরে দেখছি সচলে কোন রেসিপি দিচ্ছেনা। বুঝতে পারছি এবার আমাকে হাল ধরতে হবে।গত জুলাইতে ইতালির ফ্লোরেন্সে থেকে আসার পর দেখি আমার সব জিন্স কেমন জানি টাইট লাগছে। আজব তো!কোন ওয়াশিং মশিনে দেইনি। তারপরও এই দশা।ওয়েট মাপতে যেয়ে দেখি মেশিনে অনেক বেশী দেখাচ্ছে। নির্ঘাত যন্ত্রের গোলমাল। নিন্দুকেরা কিন্তু সেই কথা বিবেচনা করেনা। এম্নকি আমার সুপারভাইজার তারমধ্যে একজন। বলেন এই কষ্ট কোথাও রাখি। পণ কল্রাম আর
ছোটবেলায় আমি রোজা রাখতাম বা রাখার চেষ্টা করতাম দুটি কারণে। বেগুনী আর জিলাপী খাবার জন্য। আমাদের ছোটবেলায় চিটাগং এ যে জিলাপী পাওয়া যেত তা হল কমলা রং এর ছোট ছোট কিছু বস্তু। আসল মজার জিলাপী প্রথম খাই ঢাকার গাউসিয়ায় নয়/দশ বছর বয়সে। তারপর চট্টগ্রামের জিইসির মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজায় এক জিলাপীর দোকান খুলে যে দোকানের নিয়মিত আনাগোনা ছিল আমি আর আমার বন্ধুদের। একটা নিয়মই ছিল প্রায় প্রতিদিন বিকালে একটা উদ্দেশ্য
“ডাল ভাত তরকারি ফল-মূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে -
খুঁজে পেতে আনি খেতে - নয় বড়ো সিধে সে!”
সবাই বাড়িতে যা আছে তাই দিয়ে দ্রুত রন্ধন বিষয়ক পোস্ট দিচ্ছে, আমারও একটু আগ্রহ হল রেসিপি ব্যাপারটা ক্যাম্নে কী একটু ট্রাই করতে। কয়দিন আগে এক বন্ধুর অনুরোধে তাকে একটা রেসিপি লিখে দিয়েছিলাম, তাতে আবার জরুরি দুই তিনটা উপকরণ লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, তো আবার পুনঃ মেইল করে জানালাম যে, ভাইরে, এইটা এইটা না দিলে কিন্তু কোন লাভ নাই। তো সেটা ছিল জীবনের দ্বিতীয় রেসিপি লিখন, প্রথমটা লিখেছিলাম ক্লাস সেভেনের গার্হস্থ্য পরীক্ষায় এবং তা ছিল ব্যাপক জটিল একটি রেসিপি – ‘সালাদ’!!