ফেলে আসা শৈশব:
প্রিয় খেলা ছিল সাতচাড়া। আরও খেলতাম দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট,বৌছি, কানামাছি,কুতকুত ইত্যাদি। আর হ্যাঁ বৃষ্টি এলেই ফুটবল নিয়ে ডাইরেক্ট চলে যেতাম মাঠে ফুটবল খেলতে। কোথায় হারিয়ে গেল আমার সেইসব সোনালী শৈশবের দিনগুলি।
মধু মাসে আব্বার সাথে শেরপুর যেতাম। দাদার বাড়িতে বিভিন্ন জাতের আমগাছ ছিল। দাদি আম পেড়ে দিতেন, মজা করে খেতাম। এখন আর বাড়িতে আম গাছ নেই, দাদা-দাদিও নেই। দাদার বাড়ি থেকে গরু গাড়িতে চড়ে নানার বাড়িতে যেতাম। নানা প্রতিদিন সকালে একটা কাঠাল পেড়ে দিতেন নাস্তা হিসেবে। এখন নানার বাড়িতে আর ক্সঠাল গাছ নেই, নানাও নেই। সে সময় আমরা ঢাকায় খিলগাঁও থাকতাম। আব্বা বাজার থেকে খাচি ভর্তি আম কিনে এনে বলতেন নে আমার মানিক আ
১.
জারিয়া ঝাঞ্জাইল নামে বাংলাদেশে কোন স্টেশন আছে জানা ছিল না মারুফের। প্ল্যাটফর্মে নামার পর স্টেশনের অদ্ভুত নামটা দেখলো সে। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ময়মনসিংহের ট্রেনে ওঠার সময় তাকে বলে দেয়া হয়েছিল ময়মনসিংহও তার জন্য নিরাপদ নয়। সে যেন ময়মনসিংহ নেমে শহরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা না করে জারিয়াগামী কোন একটা লোকাল ট্রেনে উঠে পড়ে। জারিয়া থেকে সড়কপথে দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে নদী পার হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করতে হবে। এই ছিল শওকতের বাতলে দেয়া পলায়নপথ। মারুফ জীবনে কোনদিন উত্তরবঙ্গে আসেনি। বাংলাদেশে তার গতিবিধি সীমাবদ্ধ ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত।
আঁকিবুঁকি তেমন পারিনা। তবে ক্লাস করার সময় পেছনের বেঞ্চে বসে খাতা ভর্তি করে ডুডল আঁকতাম। কয়েকবার ধরা পড়ে শিক্ষকদের কাছে ডলাও খেয়েছি। আঁকটোবর এর প্রথম দুটি বিষয় মিস করে গেছি। তাই অফিসের গাড়িতে মহাখালীর মরণ জ্যামে বসে বসে একটু পুরনো অভ্যাস ঝালিয়ে নিলাম। আমার একটা বিড়াল ছিল, মিনি। রিকশার নীচে পড়ে মরেছিল। একটা কুকুর পুষেছিলাম স্কুলে থাকতে। কোথায় যেন চলে গিয়েছিল, খুঁজে পাইনি। ভার্সিটিতে পড়ার সময় ল্যাব থ
আঁকটোবর, ২০২২-এর তৃতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকতে, যেটাকে আমি পুষতে অথবা বন্ধু বানাতে চাই। আপাতত মান বাঁচাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আরেকটা ছবি পরে যোগ করার ইচ্ছা আছে।
আঁকাবুকি তে বিশেষ সুবিধার না মোটেই। স্কুল কলেজের বায়োলজি প্রাকটিক্যাল বহু সাধ্য়সাধনা করে আঁকানো শেষে দেখতাম কোথাও না কোথাও প্রপোরশন এ গ্যাঞ্জাম হয়ে গেছে। বোরিং মিটিং এ বসে বসে আঁকাআঁকি শেষে দেখি সে পুরানো স্বভাব পুরোপুরি আয়ত্তে আছে।
আঁকটোবর দ্বিতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো জায়গার ছবি আঁকতে, যেখানে আঁকিয়ে নিজে গিয়েছেন। এ প্রস্তাব মেনে নিচের ছবিখান আঁকলাম।
আমি গরুর ছবি আঁকলে সেটার আশেপাশে 'গরু' লিখে দিতে হয়। কাজেই এই ছবির ওপরেও জানিয়ে যাই, এটা এক তেজোসৃপের ভাস্কর্যের ছবি। ভাস্কর্যের বয়স চারশ বছরের বেশি, পাঁচশর কম। শহরটার নাম, প্রস্তাবে যেমন বলা, একটা ধাঁধা।
প্রথম সপ্তাহের ছবির বিষয়ের প্রস্তাব (প্রিয় কোনো বইয়ের চরিত্র বা দৃশ্য) এসেছে যে বাঘা শিল্পীর কাছ থেকে, তিনি এখন হপ্তা-পুরোনো কনিষ্ঠ ভাইকে নিয়ে ব্যস্ত। আশা করি শিগগীরই আঁকটোবরে তার ছবির দেখা পাবো। সজীব ওসমান সে প্রস্তাবের ওপর যোগ করেছেন আরেক প্রস্তাব, আঁকা ছবিটা যেন একই সাথে একটা ধাঁধাও হয়। দুটি প্রস্তাবই মেনে নিয়ে কাঁচা হাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আমি ছবি আঁকতে পারি না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় শেষ ছবিটা এঁকেছিলাম একটা মুরগির ডিমের খোসায়। তারপর থেকে আর কখনো রঙপেন্সিল হাতে নেইনি। গতকাল সরবত খানের ঘটনাটা লেখার পর মনে হলো এটার সাথে একটা ছবি যোগ করে দেয়া যাক। যুগের সাথে ছবি আঁকার পদ্ধতির বিবর্তন ঘটেছে। এবার ডিমের খোসার বদলে মোবাইলের খোসার ওপর আঙুল বুলিয়ে আঁকা। ছবি কিছু না হোক আঁকিবুকি তো হবে। এলোমেলো আঁকিবুকিও আঁকটোবারের উদ্যোগে সামিল হতে পারে। আর কিছু না হলে সরবত খানের বিড়ম্বনার সাথে তো পরিচয় হবে।
উত্তরাধুনিক সাহিত্য সমালোচক শরিফুল মালিকের বাসায় ঢুকেই বাকহীন হয়ে গেলেন রজনীগন্ধা পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক সরবত খান।