ম্যামের হাতে ডাস্টার ছিলো ছুড়ে মেরেছে
উঃ বড্ড লেগেছে।
-বাবা, পার্কের বই আছে?
-জ্বী স্যার।
-মেডিকেল সায়েন্স- সায়েন্স না আর্টস?
-স্যার, সায়েন্স।
-সায়েন্স তো বাবা নিজের ভাষায় বানিয়ে বললে হবে না, আর্টস বানিয়ে বলার বিষয়; আর সায়েন্স কীসের বিষয়?
-জ্বি স্যার, মুখস্থের।
-হ্যাঁ, এইবার ঠিক আছে, যাও।
শুক্রবার সকাল – সপ্তাহান্তের দু’দিন ছুটির কেবল শুরু; এই কিছুদিন আগেও এসময়টাতে আমাকে বিছানা থেকে উঠানো কারো সাধ্যে ছিলোনা!
হে বঙ্গ! ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন/তা সবে (অবোধ আমি!) অবহেলা করি/পরধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি …
মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তে আপাতঃসমর্থন থাকলেও যে প্রক্রিয়ায় এবং যে সময়ে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে, তা বিবেচনা করে আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দাবি ও অনুভূতির সঙ্গে একাত্ম পোষণ করতে চাই। এই মুহূর্তে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক এবং সে কারণে সরকারের উচিত সব দিক বিবেচনা করে এবারের মতো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা চালু রাখা। পাশাপাশি আগামীবার (ভালো হয় আরো কয়েকবছর পর থেকে চালু করলে, সেই আলোচনা নিচে রয়েছে) থেকে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তটিও এই মুহূর্তেই গ্রহণ করা উচিত। ভর্তি পরীক্ষার বদলে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আগামী বছরগুলোতে কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি করা হবে- তাও সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া উচিত।
মেডিকেল কলেজে এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে না, এটা মোটামুটি এতখনে সবাই জেনে গেছেন। এই সীদ্ধান্তের স্বপক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনাও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যদিও মনে হচ্ছে বিপক্ষের পাল্লাটাই অনেক ভাড়ি।
মেডিকেলে Admission Test এর duration কতটুকু? মাত্র ১ ঘন্টা!! আর ১০০ টা MCQ!! ব্যাপারটা একটু কেমন অদ্ভূত না?? আপনার ১২ বছরের চেষ্টা-সাধনার ফলাফল নির্ভর করছে মাত্র ১ ঘন্টার একটা পরীক্ষায়, আর ১০০ টা MCQ এর উপর!!!! সত্যিই কি এই রকম একটা Admission Test পারে, সত্যিকার মেধাবি খুজে বের করতে??
পুরাতন কিছু সিরিজ শুরু করে শেষ করা হয় নি। দায়দায়িত্ব পুরোপুরি আমার আলসেমির। এখানে আমার কোনো দোষ নাই। অনেক দিন হয়ে গেছে, তাই ওগুলো নিয়ে আবার শুরু না করে এখন কি করছি তার উপরে ভাবলাম কিছু লিখি। তড়িৎ প্রকৌশল আমার কাছে অনেকটা জাদুর মতন মনে হয়। পেছনের কার্যকলাপ কিছুই আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়না (সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে) কিন্তু শেষে গিয়ে ঠিক মতন ব্যবহার করলে লাইট বাল্ব জ্বালানো থেকে শুরু করে কম্পিউটার চালানোর মতন চমকপ্রদ সব ঘটনা ঘটানো সম্ভব।
ডিসক্লেইমার : এই লেখা একান্তই রসকষহীন এবং বোরিং হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (এখানকার মানুষজন এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায়) আমার খুব বেশি একটা নেই, কাজ করার অভিজ্ঞতাও বেশ সীমিত। তবে যতটুকু শিখেছি চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব নির্ভুলভাবে তুলে ধরবার।
ও হেড স্যার! আমার আশার হইতাছে কী গতি?
আমার পোলার পড়া লেখার করেন যে ক্যান ক্ষতি!
পাঠাইছিলাম পড়তে তারে হইতে মানুষ বড়
সেদিন জিগাই, এখন অ বাপ, মিছিলটা ক্যান কর?
আপনার কাজকর্মে না কি সক্কলে বিরক্ত
আপনে সরেন, চেয়ার ছাড়েন এই বেলা, এই অক্ত।
আর সব স্যার চইল্যা যাবে যদি না যান আপনে,
যার ইশারায় চলেন বলেন সে আপনের বাপ নে?
ভাড়া কইরা টিচার আইনা ক্লাশ চালাবেন কইলেন!
পৃথিবীতে যেদিন হাঁটতে শিখে ছিলাম সেদিন কে যেন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে বলেছিলো – “ ছুটতে থাক বাবা! ছুটতে থাক!”। সেদিন থেকে ছুটছি, কিসের নেশায় ভাবা হয়নি কখনো।
মাঝে মাঝে যখন পেপারে স্কুলের ভর্তির লাইন দেখি অথবা ছোট্ট শিশুকে বাগের ভারে কুঁজো হয়ে হাটঁতে দেখি তখন ছেলে বেলার কথা মনে পরে যায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না হয়ে যেন নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানের নাম।
২০১১ সালের আগস্ট মাসে আমাদের কাছে নতুন একটা কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করি।