দিনকাল ভালই কাটছিল। ঘুমথেকে উঠে মাঝেমধ্যে ইউনিভার্সিটি যাই, দোকানের ঝাঁপি খুলি, কফি-বিড়ি খাই, দুই-চার জন বন্ধুবান্ধবের সাথে গালগল্প মারি, সন্ধেবেলা বাসায় ফিরে টিভি দেখি – লুপটা এই রকমই চলছিল। দেশে থাকতে ভালই ছিলাম, ভালমন্ধ খাইতে পারতাম, এদিক-সেদিক যাইতে পারতাম, আড্ডাবাজির রমরমা দিন আছিলো সেইগুলান। হঠাৎ করে বলা নাই কওয়া নাই, যাদের সাথে গুলতানি মারতাম তাদের সিংহভাগই মেধাপাচারের শিকার হল। কিন্তু আ
আমাদের কম বেশি সবারই সহজ-সরল-কঠিন-জটিল-কুটিল-মারদাঙ্গা ভিডিও গেইম খেলার অভিজ্ঞতা আছে বোধয়। যারা খেলে তারা জানে, কতটা নিখাঁদ উত্তেজনা, মজা, ফূর্তী, বিনোদন জড়িয়ে ছড়িয়ে আছে একেকটি গেইমের পরতে পরতে। চ্যালেন্জকে পাল্টা চ্যালেন্জ করা, যুথবদ্ধতা, দলীয় আনুগত্য, লীডারশিপ, 'এক জীবনে কোনোদিনও পারব না’ এমন সব ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিয়ে জয়ের দিকে জোরকদম এগিয়ে যাওয়া…এ এক অন্য জগত। অদম্য নেশা।
সম্প্রতি ১ মার্চ ভারতীর পণ্য বর্জন কর্মসুচীর ঘোষণা দেখে একটু হেলেদুলে বসলাম। বাহবা দিলাম দেশের মানুষের দেশপ্রেম দেখে। নিজের দিকটা বিচার করতে হবে। আমি কতটা দেশ প্রেমিক সেটা সবাই কে জানাতে চাই। আপনারাও যদি একটু মনে রাখেন।
আমার এ লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্যই কয়েকটা মাউস ক্লিকের মধ্যে হাতের নাগালে চলে আসে। আবেদন করার প্রক্রিয়াটাও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন করে দিয়েছে, এমন কি রেফারেন্স লেটার পাঠানোর ব্যবস্থা সহ। যে জানে ফেইসবুক কীভাবে ব্যবহার করে, সে আবেদনও করতে পারেবে নিজে নিজেই এবং কোন রকম এ্যাজেন্টের সাহায্য ছাড়াই।
সকালে অফিসে এসে আশফিক অনিকের আই ইউ টি'র উপর একটা লেখা পরলাম এখানে দেখুন। লেখাটা অসম্পূর্ণ, ভুল তথ্য সম্বলিত এবং অনুমান নির্ভর। এই লেখার সূত্র ধরে যারা আই ইউ টি সম্পর্কে জানে না তাদের নেতিবাচক ধারণা হবার সুযোগ আছে। তাই মনে হলো এর উত্তর দেয়া জরুরী।
বাংলাদেশে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়া করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য এখনও একজন ডাক্তার বা প্রকৌশলী হওয়া। এদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যে প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে, তার মধ্য বেশ সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয় মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম। দেশে চারটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি রয়েছে, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ও চুয়েট এর নাম দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেই উচ্চারিত হয়। এ চারটি বিশ্ববিদ্যাল
একটি কালজয়ী উপন্যাস, প্রকাশকাল ১৯৫৬। লেখক সল বেলো। মুলত ছোট্ট আকৃতি ও বিষয়বস্তুর ব্যপ্তিগত কারণে এটিকে নভেলা (novella) আখ্যা দেয়া হয়।
আমি ভাবতাম মেয়েরা বড় হলে এমনিতেই তাদের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় দুই অপু ছিল। তাদের বড় বোনের বিয়ে হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। যদিও বড় বোন বেশি বড় তার পরেও তার বাচ্চা হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। বাচ্চা বড় করতে তো বাবার সাহায্যও লাগবে। তাই বোধ হয় বিয়ে না হলে বাচ্চা হয় না। টিভিতে হিন্দু আর মুসলিম বিয়ে দেখেছি তত দিনে। হিন্দু বিয়ের সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশ হলো মালাবদল, আর মুসলিম বিয়ের 'কবুল কবুল কবুল' বলা। এইটাই জানতাম। এই ঘটনা ঘটলেই মেয়েটার শরীরে এমন পরিবর্তন এসে যাবে ভেবে দারুণ ভয় হতো। কারণ ততদিনে 'জামাই-বউ' খেলতে গিয়ে কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার দোষ না। অন্যদের দোষ। এই খেলায় জামাই হলে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। শশুর-শাশুড়ি শালা-শালী হওয়া বেশি মজা। মাঝখান থেকে আমার পাওনা হলো বাবা হয়ে যাবার বাড়তি টেনশন! যদিও বাবা হইনি শেষ-মেশ। কিন্তু তাতে টেনশনে নতুন মাত্র যোগ হয়েছে। কারণ আটকুরে রাজার গল্পও শুনে ফেলেছি ততো দিনে।
বর্তমান সরকার তৃতীয় বছর পার করে চতুর্থ বছরে পদার্পণের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নানা বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশিত হয়েছে। এসব আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার- সরকার যেসব সেক্টরে সফলতার পরিচয় দিয়েছে, শিক্ষা তার মধ্যে অন্যতম। একটি জাতীয় দৈনিকের দেশব্যাপী পরিচালিত মতামত জরিপ থেকেও একই চিত্র উঠে এসেছে। দেশের মানুষ সরকারের তিন বছরে অনেক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেও কিছু কি