প্রতি বছরই সাক্ষরতা দিবসে পুরনো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে- বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার আসলে কতো? সাক্ষরতা হারের হিসাব পাওয়া যায় মূলত তিন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে- সরকারি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইত্যাদি), বেসরকারি (ঢাকা আহসানিয়া মিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান ইত্যাদি) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, আইএলও ইত্যাদি)। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মাঝেই সাক্ষরতার হার নিয়ে জরিপ চালায় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত সেকেন্ডারি তথ্য হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে সাক্ষরতার হার নির্ধারণ করার চেষ্টা চালায়। মজার ব্যাপার হলো, সাক্ষরতার হার নিয়ে সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ফলাফলের মিল তো পাওয়াই যায় না; বরং একই ধরনের কর্তৃপক্ষের (যেমন- সরকারি) আওতায় একাধিক প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের মধ্যেও বেশ বড়সড় পার্থক্য দেখা যায়। সে কারণে এই মুহূর্তে দ্বিধাহীন মনে বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার কতো- এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া মুশকিল। বাংলাদেশ সরকারের আজকের ঘোষণা অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ সাক্ষর।
আমার বাবার শখ পূরন করতে ভর্তি হয়েছিলাম ইংরেজি বিভাগে। কি শিখেছি, কেন শিখেছি, কতটুকু শিখছি তা নিয়ে আমার প্রচুর সংশয় আছে । তবে চিটাগাং ইউনিভার্সিটির সেশন জটের কল্যাণে চার বছরের কোর্স ছয় বছরে শেষ করাতে ছাত্র অবস্থায়ই বেশ চাকরি টাকরি করার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।
জীবনের ছয় ছয়টা বছর যেখানে কাটালাম, তা নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে। তাই রেনেসাঁর এই গানটাই মনে পড়ে গেল ছবিগুলো কম্পাইল করার সময়।
সচলায়তনের অনেকেই হয়তো চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যাননি। আইয়ূন আঁরার লয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি গান এককানা ঘুড়ি জন……………।
প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা, তখন আমি একটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে কাজ করি । একিদন সকালবেলা আউটডোরে বসে রোগী দেখছি, এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সিস্টার-ইন-চার্জ, অঞ্জু দিদি । হাতে একটা ওষুধের ভায়াল ।
—দাদা, দেখেন তো, এইটা কি ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন?
অনেক আশা ছিল, অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক বিশ্বাস ছিল...এইবার নিশ্চয়ই জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে; এখন থেকে নিশ্চয়ই নিজেদের ভুল বুঝে ঠিক পথে চলতে পারবেন। কিন্তু আমরা আসলে গাধা, শুধুশুধু আশা করি, স্বপ্ন দেখি। আপনারা যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনি যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনাদের সমাজের সবাই আসলে একই রকমঃ কোন পরিবর্তন নেই...শক্তি থাকলে আর কিছুর পরোয়া করেন না!
জাতিসংঘ 2003 থেকে 2012 সাল পর্যন্ত এ দশককে সাক্ষরতা দশক হিসেবে অভিহিত করে। যার শ্লোগান হচ্ছে -“Literacy as Freedom".
১৯২৯ সালে এমন একটা ব্যাপার ঘটে ফলে সমগ্র আমেরিকার শিক্ষাবিদ মহলে বেশ একটা আলোড়ন ঘটে যায়। সকল শিক্ষাবিদগণ ব্যাপারটা দেখার জন্য ছুটে যান শিকাগোতে। কয়েক বছর আগে রবার্ট হ্যারিচসন নামে এক তরুণ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়িয়েছিলেন। এই সময় তিনি ওয়েটার, কাঠুরে, কাপড়ের ফেরিওয়ালা হিসেবেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপর মাত্র আট বছর পরে, তাঁকে-ই আমেরিকার চতুর্থ অর্থশালী বিশ্ববিদ্যালয়
আমি যে লেখাটিতে হাত দিয়েছি, সেটি লেখার মত পুরোপুরি যোগ্যতা আমার হয়ত নেই। কিন্তু চোখের সামনে Plagiarism করার ভয়াবহ কিছু ফলাফল দেখার পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে লিখতে বসলাম।
লেখালেখির ক্ষেত্রে, সহজ ভাষায় Plagiarism হল অন্য কারও লেখা, মতামত বা বক্তব্য নিজের নামে চালিয়ে দেয়া । এমনকি পুরাতন কোনো আইডিয়া নতুনভাবে উপস্থাপন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়াও Plagiarism(১,২)।
যাদের মফস্বল অথবা গ্রামের সাথে যোগাযোগ আছে, তাদের কাছে জোনাকী "পোকা" খুবই পরিচিত, জ্বলে-নিভে, নিভে-জ্বলে। একটা সময় এই জোনাকী পোকার পিছনে কত যে দৌড়াইছি, তার কোন ইয়ত্তা নাই। কোনমতে একটাকে ধরতে পারলেই হল। হাতের মুঠি বন্ধ করে আটকে রাখতাম (হাতে মুঠি বন্ধ করে ভিতরে কিছু ফাকা জায়গা তৈরী করা যায়), আর আংগুলের ফাক দিয়ে আলো দেখতাম, অন্যদের কেও দেখাতাম আর মনে মনে নিজেকে বাহাদুর ভাবতাম (আমি কতই না তেলেসমতি জান
রাস্তার পাশে এক টং দোকানে সিগারেট কিনছিলাম। পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু'জন খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ঘর্মাক্ত শরীর আর ক্লান্ত চেহারাই বলে দিচ্ছে প্রতিদিনের শ্রমিক তারা। কিন্তু তাদের কথোপকথন কানে আসতেই একটু সতর্ক হলাম, তুলনামূলক অল্প বয়স্ক লোকটি বলছে_