কলেজে থাকতে যে বিষয়গুলো আমাদের বেশি কষ্ট দিত তার মধ্যে একটা ছিল ‘প্র্যাক্টিকাল ক্লাস’। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর জীববিদ্যার ভয়াবহ তিনটি ল্যাব আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসতো। সবচেয়ে অসহ্য ছিল জীববিদ্যা; বায়োলজি ল্যাব ক্লাস। গাছের শিকড়-বাকড় থেকে শুরু করে কেঁচো, ব্যাং, তেলাপোকার মত জঘন্য জিনিস কাটাকুটি করতে হত। আর এর জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘ডিসেকশন কিট’ থাকা ছিল বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে থাকতো
গুহার ভেতর দিয়ে পথ। ঘুটঘুটে অন্ধকার। ওপাশে এক চিলতে মিটমিটে আলো। যতো আগাই, আলো যেন ততোই পিছায়। ধাক্কা খেয়ে কয়েকবার পড়েও গেছি। রক্ত-টক্ত কিছু দেখতে পাইনি। অনেকক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে গুহা শেষ। এবার আলোর ঝলকানি!
এপাশে পরিষ্কার চকচকে দিন। চারিদিকে গাছ আর গাছ। ফলের ভারে যেন ভেঙে পড়ছে। পাকা পাকা ফল দেখে খুব লোভ হল। ইচ্ছে হল ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাই। কে যেন ভেতর থেকে বলল, খবরদার! নিজের লোভ সংবরণ কর।
[justify]দুটো মানুষ এগিয়ে আসছে লালীর দিকে। একজনের হাতে একটা মোটা রশি, হরকা দেয়া। গোল ফাঁদটা দুটো পায়ে আটকে দিলেই মাটিতে পড়ে যাবে লালী। তারপর.........। আর ভাবতে পরেনা সে। মনের সমস্ত বিষাদ ঘৃনা হয়ে যায় মুহুর্তে। মানুষের প্রতি ঘৃনা। হঠাৎ গায়ে একটা প্রচন্ড শক্তি ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে তার। এরপর ছিঁড়ে যায় লালীকে বেঁধে রাখা দড়িটা। লালী দৌড়ায়। দৌড়াতে থাকে। তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে কতগুলো মানুষ। এ
হাঁটছিলাম। কিংস ক্রস থেকে টাউন হল। প্রতি উইক এন্ডেই এমন হয়। কাজ শেষ হতে হতে বেশ দেরি হয়ে যায়। ট্রেন থাকে না। হেঁটে টাউন হলে গিয়ে নাইট রাইডার বাসে চড়তে হয়। ট্যাক্সিতে অবশ্য যাওয়া যায়। তবে সামন্য এই পথটুকুর জন্য বিশ ডলার খরচ করতে মন চায় না।
অতসীর হাতে একটা গল্পের বই। তথাকথিত এক বাজারী লেখকের বই। দিয়ে গেছে কাকলী। নতুন বই। বইমেলা থেকে কেনা। অতসী নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়। কি মিষ্টি গন্ধ। মনের পর্দায় কিছু ভাসা ভাসা দৃশ্য ভেসে ওঠে। গতবছর বইমেলায় এই লেখকের সাথে তার দেখা হয়েছিল। তিনি বইতে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। সাথে ছিল তার শিশুপুত্র, স্ত্রী। বাচ্চাটা শান্ত স্বভাবের ছিল। অতশী যখন একটা বই এগিয়ে দেয় তিনি তখন অতশীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “আমা
গ্রীষ্মের অলস দুপুর। ভ্যাপসা গরমে টেকা দায়। শহরের সমস্ত কোলাহল যেন একটা উত্তপ্ত বিন্দুতে থমকে আছে। জমির আলী হাই তোলেন। এই গরমে কাস্টমার আসার কোন চান্স নেই। তিনি অলসভাবে চেয়ারে গা এলিয়ে দেন। একটু আগেই কারেন্ট এসেছে। ফ্যানের বাতাসে ঘুম ঘুম লাগছে। একটু ঘুমিয়ে নেব নাকী, তিনি ভাবেন। তারপর নিজের মনেই সেটা খারিজ করে দেন। ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করার চেয়ে একটা সিগারেট খাই বলে তিনি সিগারেট ধরান। সিগারেটের ঝাঁঝাল গ
এসেছিলাম পাত্রী দেখতে। তিন বোন সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার আর নাজমুন্নাহার। সবাই মিলে আমাকে বলে, বেছে নাও।
ছোটভাই বলে,
- ASL Plz
তিনজনেই লাজুক হেসে বলে, এইট্টিন এফ মালিবাগ চৌধুরীপাড়া
দুলাভাই অ্যাসট্রেতে পানের পিক ফেলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে কুত করে গিলে ফেলে বলে,
-মেয়ে কি গান জানে?
[justify]হেমন্তের আকাশে রঙ লেগেছে। সে রঙ গায়ে মেখে হরিপদ দাপিয়ে বেড়ায় সামন্তপুরের বাতাসে। মা ডাকে। দুপুর গড়িয়ে গেল হরি ভাত খেয়ে যা। হরি শুনেও শুনেনা।
বিকেলে আবারও খেলতে চলে যায় হরিপদ। সন্ধ্যা হয়, প্রত্যেক দিনের রুটিন মতো মা আবারও ডাকে, হরি। হরিপদ শুনেও শুনেনা। সে বসে থাকে। বাবা আসবে। কাঁটাতারের ওপারে হরিদের ধানের জমি। বাবার হাত ধরে বাসায় ফিরবে হরিপদ। রোজ যেভাবে ফিরে।
সকালে উঠেই অরিন টের পেল, আজকের দিনটা অন্যরকম।
জানালার পর্দা টান দিতেই চোখ ঢাকতে হোলো, সূর্যটাকে যেন কেউ ডিম পোচের মত পৃথিবীর উপর ছেড়ে দিয়েছে! ঝকঝকে রোদে চনমন করছে বাতাস!
নাহ, আজকের দিনটা অন্যরকম।