এক,
একফোঁটা দিয়েছিলাম শিরোনাম শেষে অবারিত বিষ - একফোঁটা নিয়েছিলাম শ্বাস - একফোঁটা ইতিহাস, অস্ফুট পাপ! আজ এসো ঝাড়বাতি সরিয়ে ফিরিয়ে আনি - ফিরিয়ে আনি লন্ঠনে লন্ঠনে জাগা বেহুতাশ চলে যাওয়া অভিমানী-ছায়াময়-স্থিরতা - সনাতন নাম তার সনাতন ---
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি : এটা একটা মৃত স্ট্যাটাস
অপ্রতিমের ডেস্ক
ফোনটা তৃতীয়বার রিং করে কেটে গেলো। আরেকবার। দ্যা ডায়াল্ড নাম্বার ডাস’নট অ্যাকজিস্ট প্লিজ চেক দ্যা নাম্বার এন্ড ডায়াল এগেন। তিন মিনিট কেটে গেলে।
হ্যালো। সালাম ওয়ালেকুম।
কেমন আছো।
জি। কে ? চিনতে পারলাম না?
ও, আচ্ছা। ঠিক আছে। ভালো থেকো।
আগরতলার রাজপথে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত নগরে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি।
***********
[b]
তুমি কিংবা তোমাকে লেখার চাইতে বরং এইসব কথা - নিজস্ব কথোপকথন নিজস্বতার সাথে। নিজস্বতায় নিজেকে মেলানোর চাইতে বরং তুমি নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখো - আমাদের অনন্যতর নিজস্বতা অনন্য কোন অভিন্নতা খুঁজে পেলো কিনা ----
গেট দিয়ে ঢুকতেই দারোয়ানের সাথে দেখা। আটকালো না। না আটকানোরই কথা।
সপ্তাহখানেক আগেও বাড়িটার প্রতি অন্যরকম এক টান অনুভব করতাম। আর এখন?
বাড়িওয়ালা থাকেন দো’তলায়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী অফিসার।
নক করতেই কাজের লোক দরজা খোলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। বললাম বাড়িওয়ালা বাসায় কিনা।
হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ে সে। গেটে দাড় করিয়ে রেখে ভিতরে চলে যায়।
স্কুল পালানো কিশোর
স্কুল পালিয়ে খেলতে যাওয়ার মুহূর্তে রতন তার বাবাকে দেখে অন্য একজন মহিলার সাথে রিকশায় চেপে কোথায় জানি যাচ্ছে, তার মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠে আর এই হাসির পেছনের কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যায় এভাবেই স্কুল পালিয়ে যাওয়ার সময় সে তার মা'কে দেখেছিল অন্য কোনো পুরুষের সাথে এবং তখন তার মন খারাপ হয়েছিল আর এখন মন খারাপে কাটাকাটি হয়ে সে সাম্যবস্থায় উপনীত হয়ে তৎক্ষনাৎ সিগারেট ধরাতে কোনো ভুল করে না।
সময় বড় নিষ্ঠুর। শুধুই ধুলো উড়িয়ে পালিয়ে যায়। বোকা বয়স তার পিছেই ছুটতে থাকে। আর সেই ধুলো চুলে আটকে রঙ পাল্টে দেয়। এই টপ টু বটম বেরসিক সময়ের পিছে কেন দৌড়াতে হবে? ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের মতো হলে কী ক্ষতি হতো? সময়ের তোয়াক্কা না করে ননস্টপ দাঁড়িয়ে থাকা। ইস, সময়টাকে যদি কানে ধরে ঘুরিয়ে কুড়ি বছর পেছনে নেওয়া যেতো! জীবনটা ডিভিডি প্লেয়ারের মতো হলেও মন্দ হতো না। ইচ্ছে মতো প্লে করা যেতো, নইলে পজ দিয়ে আটকে রাখারও সুযোগ থাকতো। তা না হয়ে উনি হলেন নদীর মতো, গড়িয়ে পড়া ঝর্নার মতো। শুধুই সামনে এগিয়ে যায়। একেবারে ননস্টপ জার্নি।
হালকা হালকা বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলগুলো দুলছে, আকাশেও সাদা সাদা মেঘ, বছরের এই সময়টা খুব ভালো লাগে হৈমন্তীর| মাটিতে শুয়ে আনমনে কি সুন্দর আকাশটা দেখা যায়, কখনো কখনো মেঘ দিয়ে কি সুন্দর হাতি-ঘোড়া, আরও কতকিছু যে তৈরী হয়ে যায়, সবাই কি তা বোঝে? যখন বিলের ধারে ঘুরঘুর করে তখন হঠাৎ কখনো একটা সাদা বক সাই করে উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে, আর ঠিক বিলের মাঝখানটায় টুক করে বসে খপ করে একটা মাছ ধরে নেয়| কত মজার মজার জিনিস দেখা যায় নদীর কাছের জঙ্গলটায়, যে না গেছে সে কি করে জানবে? একটা বড় গাছ অনেক দিন হলো ভেঙ্গে গেছে, অর্ধেকটা পাড় এর জল ছুইছুই, সেটার উপর বসে একলা একলা পা দোলাতে ভালই লাগে| হৈমন্তীর এই ভালো লাগা গুলো ওর মা বুঝলে তো|
রাস্তায় বের হয়েই রোদের ঝাপটায় চোখ কুঁচকে গেল শমির। কড়কড়ে রোদটাকে উপেক্ষা করে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে লাগলো ও। এখন আর কোন কিছুই গায়ে লাগবে না। শমি আর রাহাতের সাড়ে পাঁচ বছরের সম্পর্কটা খুব সম্ভবত আজ শেষ হয়ে গেল। আজকে রোদ-ঝড়-জল সব কিছুকেই উপেক্ষা করবে শমি। ফুটপাথ দিয়ে ওকে একলা হাঁটতে দেখে দু-একটা রিকশা “কই যাবেন আপা?” বলে হাঁক দেয়। উত্তর না পেয়ে চলে যায় তারা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে ছেলেগুলো শিস দ
বাকি রাতটা ব্যথায় ছটফট করেছে দিব্য। বাড়ির কেউ আর ঘুমাতে পারেনি। সকাল হতেই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ল। এক পা নিজের কাছে। আরেক পা মায়ের কোলে। মেসির সাথে ফুটবল খেলতে গিয়ে গোড়ালি এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন ইজিবাইকে করে ছুটছে ডাক্তারখানায়।