Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

নিবর্তনবাদ

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: সোম, ২২/০৮/২০১১ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি কিছু জানিনা ভাই! রাস্তা দিয়া হাঁইটা যাইতেসিলাম। দেখলাম অনেক লোক জড়ো হয়া রইসে। আউগায় গেলাম, ঠেইলা ঠুইলা সামনে গিয়া দেখি হাড় জির জিরা একটা পোলা, হাতটা বান্দা।

কিছু মনে কইরেন না ভাই, আমার মনে পড়লো তেলাপোকার কথা। তেলাপোকা উল্টায় গেলে যেমন ফড়ফড় করে কিন্তু কিছু করতে পারে না, ঐ রকম আর কি! আমি তেলাপোকা ডরাই। হাইসেন না ভাই, যতই বলেন জিনিসটা আমার সহ্য হয় না। ঘিন্নাও লাগে, আবার ডরও লাগে। তাই তেলাপোকা দেখলেই আমি পিটায় মাইরা ফালাই। উইড়া আসুক আর দৌড়াইয়া যাক, আমার হাত থিকা নিস্তার নাই। ভয়টা তাইলে কমে, শান্তি শান্তি লাগে।


অবশেষে একদিন মানুষ খেলুম

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২১/০৮/২০১১ - ১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শতবর্ষ পুরোনো অব্যবহৃত দীঘি। ঘন আঁশটে গন্ধী জলজ আগাছার ফাঁকে ফাঁকে শত শত শাপলা ফুটে থাকে এখনো। পরিত্যক্ত দীঘিতে কেউ আসে না জল নিতে বা গা ধুতে। দীঘির পাড় জুড়ে কবরস্থান। হাজার হাজার মৃত মানুষের হাড় ফসফরাস সরবরাহ করছে মাটিতে। শাপলা তুলতে প্রতিদিন দীঘিতে নামে দ্বাদশবর্ষীয় মুকুল।


সবাই তো আর একরকম হয় না......

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২০/০৮/২০১১ - ৯:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছুটির দিনে নীল আর সবুজ সারাটা দিন একসাথেই কাটায়। সমস্যা হয় স্কুল থাকলে। নার্সারির ক্লাস কতক্ষণই বা হয়! বড়জোর দুই কি তিন ঘণ্টা। এই সময়টাতে সবুজ একলা হয়ে পড়ে। তার তখন কিছুই ভালো লাগে না, শুধু বাইরে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে লাটাই হাতে ছুটে ছুটে ঘুড়ি ওড়াতে। ঝুপ করে পুকুরে পড়ে ডুব সাঁতার কেটে সামনে গিয়ে কাউকে চমকে দিতে মন চায়। কিন্তু এখানে কি আর সেসব আছে!


সংসারের টুকি-টাকি

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ২০/০৮/২০১১ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘সংসারের টুকি-টাকি’ বইটা হন্যে হয়ে খুঁজছে সোনালী।

খুব কাজের বই। এতে বলা আছে ধনে পাতা ফ্রিজে কি করে তাজা রাখতে হয়, জামায় হলুদ ভরলে কি করে সে দাগ ওঠাতে হয়, আলমারিতে পুরনো জামদানী কি করে নতুনের মতো রাখতে হয়...

সোনালী খুঁজছে ন্যাপথালিনের গুণ বর্ণনাকারী পাতাটা।


ভ্রমণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৮/২০১১ - ১০:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

স্বাতী এসে জানালার পর্দা সরিয়ে দেয়। বাইরে দুটি চাঁদ ঝুলে আছে। আমরা এখন ঈশ্বর-ঈশ্বরী।


গল্প চেষ্টা ১ঃ ভাঙনের শব্দ শোনা যায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/০৮/২০১১ - ৯:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘরে বসে মনোযোগের সাথে শাড়িতে সুঁই ফুটিয়ে যাচ্ছে পারুল। ঘর বলতে বস্তির একটা খুপড়ি। দুপুরের রোদ বেড়ার ফাঁকফোকর দিয়ে ঢুকে অসহ্য গরমকে আরো তাতিয়ে তুলছে। বিরক্ত মুখে পড়ে থাকা একটা কাগজ দিয়ে কয়েকটা ফোকর ঢেকে দিল পারুল।


জেগে ওঠো মা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/০৮/২০১১ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে রিকসায় করে এনে দিয়ে গেছে মেযেটাকে একটা ছেলে । ছেলেটা মেয়েটার কেউনা। রাস্তায় পড়ে ছিল মেয়েটা। শত শত পথচারির কারো সময় হয়নি রাস্তায় পড়ে থাকা মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে । যে যার মত করে কেটে পড়েছে। বাসটা চাপা দিয়ে চলে যাবার পর বিশ মিনিট পড়ে ছিল মেয়েটা রাস্তায়। কেউ ধরেনি। সবাই ভেবেছিল মরে গেছে। তাই হয়ত গায়ে পড়ে কেউ ঝামেলায় যেতে চায়নি। ঠিক এমন সময়ই


সমূদ্রযাপন !

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৩/০৮/২০১১ - ১১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অপ্রত্যাশিত জন্ম নয়, তাই বোধয় বেড়ে উঠায় আয়োজনের ত্রুটি ছিলনা কোথাও। পূর্ন স্বাধীন আর মুক্তমন তৈরির যাবতিয় চর্চার সুযোগ সেই ছোট্টটি থেকেই পাওয়া । আরও অনেকের মতোই ভুল প্রথম প্রেম এবং সঠিক সময়েই সম্মানজনক বিচ্ছেদ। জীবনের এইপর্যন্তকে আমি দীঘিযাপন হিসেবে চিহ্ণিত করি।


বাবা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: শনি, ১৩/০৮/২০১১ - ৫:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বাবার কোনো স্মৃতি নেই আমার। ছোট্ট বাচ্চাদের খেলনা রোবট কিংবা বহুমুখী ট্যাবলেট থাকে, আমার সেইসব-ও ছিলো না, আমি বড় হয়েছি কেবল সংখ্যার শূন্যতার ভেতরে, শ্রোডিঙ্গারের বেড়ালের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বকে সঙ্গী করে! মা আমাকে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিচালিত করে বড় করেছে, আমি এখন ভেবে ভেবে বের করতে পারি।


মৃত্যু

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/০৮/২০১১ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রথমেই বলে নেই এটা একটা ফাউল লেখা। ফাজলামী করে লেখা। কেউ এটাতে যুক্তি খুজতে যাবেন না।]

কাচ ভাঙার ঝন ঝন শব্দ আর চাকার মাটি কামড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো রাশেদের। সবাই চেচামেচি করছে। বাসের হেল্পার চিৎকার করে বলল, “চু*র পুত”।