Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

অন্যরা ও অন্যরা

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে, আমরা যে বাসায় থাকতাম তার একটা বিবরণ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। আমরা থাকতাম একটা বেসরকারি কোম্পানির চাকুরেদের জন্য তৈরি একটি কোয়ার্টারে যেখানে মাত্র দুইটা বিল্ডিং ছিল। বিরাট এলাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা, এক কোনায় দেয়াল ঘেষে সামনাসামনি দুইটা ৫ তলা বিল্ডিং। আমরা থাকতাম সামনেরটার নিচতলার ডানপাশে। বিরাট বারান্দার তিনদিকে ৩টা ঘর। প্রতিটা ঘরের বারান্দার দিকে একটা দরজা, আবার একটা করে দরজা দিয়ে


একদিন মধ্যদুপুরে

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৮/২০১১ - ৮:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামিরার জীবনটা আরো অনেকভাবে শেষ হতে পারে। জীবনের শুরুটা মানুষের হাতে না থাকলেও শেষ কিভাবে হবে তা কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে মানুষই নির্ধারণ করে, সামিরা ভাবে। মৃত্যুটা পৌঢ়-নরম বিছানায় হবে, আশেপাশে থাকবে চেনা-অচেনা অনেক মুখ, নাকি রোমাঞ্চে ভরা জীবনের পেয়ালা হুট করে উল্টে যাবে। অথবা নিঃসঙ্গতাই দিবানিশি সঙ্গ দিতে দিতে একদিন হাত ছেড়ে দিয়ে বলবে, যাই তবে। কিংবা একদিন মধ্যদুপুরে যখন মা’রা বাচ্চাদের বলছেন, এই তো তরকারি হয়ে গেছে, আর বাচ্চারা স্কুলের পোশাক না খুলেই একবার খাবার টেবিলে আবার ছুটে যাচ্ছে প্রিয় কার্টুনের সামনে। আর লাঞ্চ টাইমের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় দ্রুত অফিসের দিকে ছুটছেন কর্মীরা আর ভাবছেন আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে মুক্তি। আর একের পর এক যাত্রীর থেকে মুখ ফিরিয়ে অলস গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে একটা রিকশা, রিকশা জমা দিয়ে যেতে হবে বাড়ি, আজ বৌ মুড়িঘণ্ট রাঁধবে বলে। এমন সময়ে কেউ ভাবতে পারে এই জীবনটা শেষ করে দেয়া যায়?


নির্বাক প্রেম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৭/২০১১ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইজ এয়ারপোর্ট এর ৩ নম্বর বহির্গমন গেট এর সামনে বসে আছি। গন্তব্য ত্রেবেসু এয়ারপোর্ট হয়ে ভেনিস। ফ্লাইট এর এখনও ঘন্টা খানিক বাকি।উইজ এয়ারপোর্টটা এতটাই ছোট যে ওয়েটিং জোন এ অপেক্ষা করা বা জরুরী নিন্মচাপে সাড়া দেওয়া ছাড়া সময় ক্ষেপন এর সুযোগ বড্ড সীমিত।কিন্তু আমার মন সেটা মানলে ত!


আইডেনটিটি ক্রাইসিস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/০৭/২০১১ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল খুব বেশী মনে পড়ে সেই শিমুল তুলা গাছটার কথা। এখনও কি আছে সেই গাছটা? সেই ছোট্ট বেলায় তার সাথে হয়েছিল পরিচয়। টিলার গায়ে ঘেঁষে ঘেঁষে যখন ঘুড়ি ওড়াতাম কি বিস্ময় নিয়ে দেখে থাকতাম ওই বিশাল মহিরুহটার দিকে। এত প্রকান্ড হতে পারে একটা গাছ! ওর শেকড়গুলো এত উঁচু কেন? আচ্ছা ওই শেকড়ের ফাঁকে কি বড় বড় অজগরের বাসা?


মেয়েটি কখনো জানবে না...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৮/০৭/২০১১ - ১০:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পথ চলতে গিয়ে অনেকের সাথেই দেখা হয়; সেটা হোক জীবন চলার পথে কিংবা দৈনন্দিনের ক্ষুদ্র গন্তব্যের পথে । কিছু মুখ মনে থাকে, কিছু মুখ হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে । কিছু মুখ ভাবায়, কিছু মুখ জাগায় । এই মুখগুলো জায়গা করে নেয় হৃদয়ের কোনো অজানা কোণে । সবসময় নয়, মাঝে মাঝে হয়তো কোনো একাকিত্বের মুহূর্তে কিংবা কোনো কোলাহলমুখর ক্ষণে এরা ভেসে উঠে মনের পর্দায় ।


মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারে না

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৭/২০১১ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯২৯ সালে এমন একটা ব্যাপার ঘটে ফলে সমগ্র আমেরিকার শিক্ষাবিদ মহলে বেশ একটা আলোড়ন ঘটে যায়। সকল শিক্ষাবিদগণ ব্যাপারটা দেখার জন্য ছুটে যান শিকাগোতে। কয়েক বছর আগে রবার্ট হ্যারিচসন নামে এক তরুণ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়িয়েছিলেন। এই সময় তিনি ওয়েটার, কাঠুরে, কাপড়ের ফেরিওয়ালা হিসেবেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপর মাত্র আট বছর পরে, তাঁকে-ই আমেরিকার চতুর্থ অর্থশালী বিশ্ববিদ্যালয়


আই মিস ইউ সুইটহার্ট

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৯/০৬/২০১১ - ৬:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এই মুহূর্তে আমাদের মাঝখানে স্পেস ঠিক ছয় ফিট। বছর দু’য়েক ধরে আমাদের মধ্যে যে স্পেস সৃষ্টি হয়েছিল তার থেকে এটা অনেক কম, যদিও এই ছয় ফিটের স্পেসটা এমুহূর্তে ঠাণ্ডা, স্যাঁতস্যাতে মাটিতে ঠাসা।

আমি তোমাকে খুব মিস করি সোনা।


একটি আত্মপ্রকাশের গল্প

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৬/২০১১ - ৭:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভেজা রোদ্দুরে হাটতে হাটতে আর যাই হোক ক্লান্তি আসেনা। ২১ শে জুন, ২০১১ সাল, আজ কির্তনখোলা নদীর ধারে লাইনটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আমার এটা সবসময় হয়, কোন লাইন কিংবা গান মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে।

“শব্দেরা কোথা হতে এসে হাত পা চেপে ধরে
আর আমার শুধু উত্তুরে হাওয়ার টানে
দিনমান বয়ে চলা
গ্রাসাচ্ছনে আরো জোটে সুপ্রাচীন চাঁদ, জল, আর খেরো খাতা।।”


পিতৃত্বের টানঃ ইউ ক্যান্ট ডিফাইন অর মেজার বাট ওনলি ক্যান ফিল

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার ধাদুয়া গ্রামের এক কৃষক পরিবার। অর্থবিত্তের মাপকাঠিতে ওদের বড়োজোর নিম্নবিত্ত বলা যেতে পারে, তার থেকে বেশি কিছু না। বাপটা বুড়ো তবে একেবারে পোড়ো না। টুকিটাকি কাজকাম করার শক্তি-সামর্থ আছে, আর তা করেও বুড়ো। তার ছেলেটা জোয়ান, মোষের মতো খাটতে পারে। তার’ও আবার ছোট্ট একটা এক বছরের ছেলে আছে।


স্বপ্নজাল

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৮/০৬/২০১১ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে খানিকটা এগুতেই শুরু হয়ে গেল তুমুল বৃষ্টি। ছাতা-টাতা নিই নি সাথে, স্কুলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ভিজে একেবারে জবজবে হয়ে গেলাম। ও মা! দেখি ক্লাসে না গিয়ে সবাই মাঠে দাপাদাপি করছে!