[justify]
ঠিক এক মাস আগে আমার জাহান্নামের পথে হাঁটা শুরু।
ঘটনার শুরু এক সী-ফুড রেস্তোরাঁয়। আমার ওয়েটারের বাচনভঙ্গীতে অদ্ভূত এক এ্যাকসেন্ট – প্রায় পূর্ব ইউরোপীয়। কিন্তু না, তাও পুরোপুরি নয়। আমি তাই ওকে জিজ্ঞেস করলাম ও কোত্থেকে এসেছে। “জাহান্নাম,” সপাট জবাব। তারপর আমি কোনরকম প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই ও আবার বলে উঠল, “...ইয়ে, ঠিক জাহান্নাম সদর না, তবে সন্নিকটবর্তী কাউন্টি। দোযখের উপশহর থেকে।”
মেয়েটি হঠাৎ করেই এসেছিল আমার সংসারে। এমন নয় যে তাকে চাইনি আমি। বরং উলটো। তাকে চেয়েছিলাম, খুবই চেয়েছিলাম। সে আসবার আগে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি অনেক রাতে। স্বপ্নে তার সাথে কথা বলেছি, তার সাথে হেসেছি। হাত দিয়ে তার মাথার চুল এলোমেলো করে দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। সত্যিই কি সে আসবে? সত্যিই কি সে আসবে আমার সংসারে?
তার সাথে আজকেও আমার আবার দেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমার সময়টা মনে আছে, ঠিক সাড়ে আটটায় ভদ্রলোক বের হবেন। সটান গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চৌরাস্তার মোড়টায়, যেখানে রহিম চাচা আজকাল মাঠা বিক্রি করে। এক গ্লাস মাঠা হাতে নিতেই দেখলাম লোকটা আসছে।
সমীকরণ
ভূমিকা :
শ'র যখন মন খারাপ থাকে,স তখন মনমরা থাকে।স বলে এটা নাকি ভীষণ সংক্রামক।শ থেকে স-এ নাকি এটা মারীর মত ছড়ায়।
স'র মন খারাপ হলে শ'র তোড়জোড়টা হয় দেখার মত।মনমরা তো নয়ই,বরং উচ্ছাসটা ফুলেফেপে ওঠে শ'র। "ভালো থাকা" টা ভাগাভাগিও করতে শ'র ভারি উৎসাহ।
উপসংহার :
নিয়মিত, ছন্দময় পতন। শাড়ি উঠে গিয়ে কালো উরু ঝিক ঝিক। রোদটা চড়া খুব, চামড়ার উপর মোমের মত গলে গলে পড়ে। প্রতিপতনে ভেঙ্গেচুড়ে আসে নিঃসংকোচ সুঠাম দেহ। চাপড়া চাপড়া কালো মাটির সঙ্গে মিশে যায় গুড়ো গুড়ো হয়ে, মুহূর্তেই আবার ঝিকিয়ে ওঠে কালো উরু।
পাহাড়ি, স্যার!কয়লা তুলে
হুম? রূপক চমকে তাকায় , তোতা মিয়া অবশ্য বাঙালি, এ যাত্রায় তাদের গাইড।
এইখানে নদীতে কয়লা পাওয়া যায় স্যার, আর চিনামাটি।
নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা বাপটাকে দেখে একবার।
বাড়ির সামনে বসে ধূপের ধোঁয়ায় হেরোইনের গন্ধ ঢাকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় রত।
বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখে গৃহশিক্ষক বসা।
এই লোকটাকে তার খুব একটা পছন্দ না। তবুও রেখেছে। কথা বেশি বললেও যন্ত্রণা দেয় না। কোন অনর্থক নালিশ করে না।
দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায় দোতলায়।
[justify]ও অফিসে রওনা হলে আমি নিজের মতো একা হয়ে পড়ি। চুলায় পানি ফোটাতে দেই। ডাইনিং টেবিলে পড়ে থাকা এঁটো থালা আর অর্ধেক চা-সহ চায়ের কাপ সিঙ্কে রেখে পানি ছাড়ি। চায়ের বাকিটা আস্তে আস্তে রঙ পালটে পানির রঙ নিতে থাকে। পানি ফুটে গেলে কাপে ঢেলে চায়ের একটা ব্যাগ ছাড়ি। পানি তার বর্ণ বদলায়। দেয়ালে একটা টিকটিকি টিক-টিক আওয়াজ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আমাদের ছবির পেছনে অদৃশ্য হয়।
[left]“গ্ল্যামারফ্যান বাঙপাকিম্যান,” সিলেব্লগুলির মাঝখানে বিরতি দিতে দিতে মন্দ্রমধুর কণ্ঠে বললেন তিনি, “একজন যুবক, একজন কমিউনিটি নেতা, এবং একজন অটোগাইনেফিলিক ট্রান্সসেক্সুয়াল ছিলেন।”
আমার মেয়ে গতরাতে ওকে প্রথমবারের মত বাড়ি নিয়ে আসলো। বাইরের রাস্তা থেকেই হাত ধরাধরি করে, হাহা-হিহি করে হেসে গড়িয়ে পড়তে পড়তে।
আমি হাসলাম না। আমি মেয়ের সঙ্গীকে কিচেনে নিয়ে গেলাম। এক্ষেত্রে যে ‘ভাষন’-টা দিতে হয় দিলাম, নিয়মকানুন-বিধিনিষেধগুলি জানিয়ে দিলাম। আরো জানিয়ে দিলাম যে, সে যদি আমার মেয়ের মন ভাঙে – তাহলে আমার কাছে জবাবদিহি করতে হবে তাকে।