Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

ছয় শব্দের গল্প-২।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০৩/২০১১ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবারো জোর করে লিখলাম কয়েকটা। এর কয়টা গল্প হলো আর কয়টা শ্লোগান, কে জানে?

১৩। ভাঙ্গা দালান। পূর্ণিমা । অশরীরিরা আমাদের দেখছে।
১৪। ঘুমে যাকে ছুঁই, জাগরণে তাকে পাইনা।
১৫। সাগরে মুক্তো থাকে। মুক্তোতে অশ্রুর সাগর।
১৬। আকাশের ঝড় ঘর ভাঙ্গে, ঘরের ঝড় ----?
১৭। টাকার র‍্যাপিংএ ভালবাসার খুঁত ঢাকা পড়ে।
১৮। গরুটা ভালবাসা চেয়েছিল। স্টেইকটাকে যত্নে চিবুই।
১৯। বন্ধুটি বলেছিল, ‘কাল আসিস’। মাথা খারাপ!


ছয় শব্দের গল্প।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৩/২০১১ - ৩:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাফির লেখা দেখে আমারো ছয় শব্দের গল্প লিখতে ইচ্ছে করলো। বলা যায় গায়ের জোরে লেখা। প্রথম কয়েকটা মন্তব্য হিসেবে আগে পোস্ট করেছিলাম।


ষড়ল গল্প - ১

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: বুধ, ০৯/০৩/২০১১ - ২:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।


নিজের সঙ্গে

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ০৫/০৩/২০১১ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তরের এই শহর যখন ছাড়ি তখন অনেককিছু বাকি। সুলতানি আমলের সুবিখ্যাত মসজিদ। এখানকার কুখ্যাত সীমান্ত। সুমিষ্ট ফলের বাগান। ছয়মাসে দেখা হয় নাই অনেক কিছুই। হবেও না আর। খালি ভোরবেলা ছাদে উঠে দেখলাম একটা বিরাট পুকুর এই বাড়িটার ঠিক পিছনেই। কখনো জানি নাই। কয়েকটা হাঁস ভাসে সেইখানে। শেষদিন ভোরবেলায়।


ব্রায়ানের আলমারি এবং অন্যান্য

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/০৩/২০১১ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনমাঝি

[left]
গবেষনা

ওর গবেষনা প্রায় শেষের পথে। ওর ফাইন্ডিংসগুলি যে বিতর্কের ঝড় তুলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা কোন ব্যাপার না, শেষ পর্যন্ত ও প্রমান করেই ছাড়বে যে ফ্রান্সিস বেকনই শেক্সপীয়রের নাটকগুলি লিখেছিলেন – শেক্সপীয়র না।


৩টি চিরকুট গল্প ও একটি ফ্রি

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৬/০২/২০১১ - ৫:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূলঃ সুজাথা

অনুবাদঃ মনমাঝি

[left]
৫০ শব্দের মধ্যে একটা হত্যা-রহস্যের গল্প

কুমার সুদর্শন, সদাহাস্যময় যুবক। দু'মাস হল সাম্পাথ যোগ দিয়েছে তার সাথে। একদিন রঙিন পানির আসরে কুমার সাম্পাথকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল।

"আমি বলছি তুমি ৫০ শব্দের মধ্যে একটা হত্যারহস্যের গল্প লিখতে পারবে না।"

"অবশ্যই পারবো।"

"কিভাবে ?"


একজোড়া মায়াবিনী চোখ।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৫/০২/২০১১ - ৮:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝুম বৃষ্টির মধ্যে যখন বাসে উঠলাম তখন বাজে ঠিক সাড়ে চারটা।

'ছাতিটা আজকাল বড্ড জ্বালাচ্ছে বুঝলি', শফিক বাসে উঠেই বলতে লাগল ‘বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই খুলে যায়...এই যে দ্যাখ !'


কল্পনীড়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/০২/২০১১ - ১০:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘড়িতে ঘণ্টার কাঁটা প্রায় নয়টা ছুঁই ছুঁই। বাস আসতেও দেরী করছে। অফিসে ঢুকেই বসের গোমড়া মুখ দেখার সম্ভাবনা রশ্মিকে বিন্দুমাত্র ভাবালো না। বাসে করে আসা যাওয়ার এই সময়টুকু তার সবচেয়ে প্রিয়। সারাদিনের মধ্যে শুধু এতটুকু সময়ই তার একান্ত আপন। এই সময় তাকে নিয়ে বাবা-মার হা পিত্যেশ শুনতে হয়না, বসের থেকে কাজের তাড়া খেতে হয়না, বাজার করা, রান্না করা, কোন কিছু নিয়েই মাথা ঘামায় না রশ্মি। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, দুশ্চিন্তাকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য এই মুহুর্তটাকে সবকিছুর থেকে আলাদা করে তুলে রেখেছে সে। রশ্মির নিজের একটা কুটির আছে। কোন এক পাহাড়ের চূড়ায়। কাঠের তৈরি ছোট্ট একটা নীড়। বারান্দায় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেওয়া যায়। বিস্তীর্ণ আকাশ, সবুজে ঘেরা পাহাড়, চারদিকে নীরবতা, শুধু পাখির কিচির মিচির শব্দ।


একমুঠো বেকায়দা ভালবাসা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৬/০২/২০১১ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘এই সুমন তোমার মোবাইল নম্বরটা দাও তো’


বুবুনের পাহাড় দেখা।

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ১১/০২/২০১১ - ১১:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
বুবুনের ঘরের জানালা দিয়ে একটা পাহাড় দেখা যায়।
একটা গোলগাল নীলচে মতো কাঠখোট্টা পাহাড়। শীতের বেলায় পুরো পাহাড়টা ঘোলাটে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে।
দুপুরে মা ভাতঘুমে কাবু হয়ে পড়েন, বুবুন দখিনের ব্যালকনিতে পুরোনো ইজিচেয়ারটার হাতলে বসে দাদাভাইকে খবরের কাগজ পড়ে শোনায়।
বার বার ওর চোখ চলে যায় পাহাড়টার দিকে....
রোদ-রং মাখা বিতিকিচ্ছিরি একটা পাহাড়, কেমন গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ..