[justify]তোমরা আমাদের বা আমাকে তোমাদের মতো বানালে।
তোমাদের মতো হতে বললে।
আমরা হলাম। তোমরা আমাদের, মানে, আমরা, যারা হাজার হাজার সার্ভার, লক্ষ লক্ষ কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোটি কোটি গতানুগতিক কম্পিউটার জিপিএস বৈদ্যুতিক ডিভাইস এইসব মিলে, আন্তর্জালের মাধ্যমে সর্বদা সংযোজিত, তোমাদের মতো, তোমাদের কল্পনায় ইচ্ছায় যা কিছু মনে আসে তার মতো রূপ দিলে।
'এইটা কী গাছ?'
প্রশ্ন শুনে আমি মাথা উঁচু করে বাঁ দিকে তাকালাম, গভীর সহজ সবুজ পাতা, লালচে-ধূসর বাকল, আর হলদে-সবুজ অগণন ফুলের মাঝে কচি কচি সবুজাভ হলদে পাকা ফলের বৃক্ষ, লম্বায় প্রায় ১৩ ফুট। থোকা থোকা আপেলের মতো ফল, বিষে সমৃদ্ধ, ধর্মনেতা আর রাজনীতিবিদদের মনের মতো।
জ্যামের মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জের ব্যাকসিটে এলিয়ে বসে আবুল সাহেব আইফোন সিক্স এস দিয়ে ফেসবুকে ঢুকে আজকের প্রধান ফেসবুক ইস্যু “আজ গরীব বলে...” তে “আজ গরীব বলে আমার নতুন মার্সিডজ কারে মাত্র ৫ লিটার তেল তুলতে পারলাম ১০ লিটারের যায়গায়” লিখে পোস্ট করে বেশ একটা মজা করা গেল ভেবে মুচকি হাসতে হাসতে জানালার কাচের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ চমকে উঠলেন!
অণু-গল্প-১: মিনিভ্যান
২০১৪ এর কোন এক সকাল।
বেলা ১০টায় ঘুম ভেঙ্গে গেল ফোনের কর্কশ শব্দে। রাতে কল করেছিলাম একটা গাড়ীর মালিককে, ক্রেইগ-লিস্টে পুরাতন গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখে, তখন ফোনে পাইনি। এখন কলব্যাক করেছে।
দ্বিতীয় অঙ্কঃ
মাধবীলতাকে দেখে আমার চমকে যাওয়ার কথা ছিলো না। অনেক বছর আমি এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। আমি জানতাম একদিন দেখা হবে মাধবীর সাথে। আমি খুব স্বাভাবিক স্বরে বলবো, ‘কেমন আছ তুমি?’ আমার হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা একটি প্রশ্ন করবো তাকে। জানতে চাইবো, ‘কেনো? কেনো, মাধবী!’ মাধবীর সাথে দেখা হলে কি কি করবো, সব যেনো আমি সাজিয়ে রেখেছিলাম।
স্বদেশের জন্ম হলো ক্লাব-ফুট। শব্দটা ডাক্তারের কাছ থেকে শোনা। অর্থটা বুঝেছি স্বদেশকে চোখে দেখে। ডাক্তার আনন্দ সাহা স্বদেশের শরীরের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ বাঁকা পা দুখানায় হাত বোলাতে বোলাতে বলেছিলেন, পেটে আঘাত পেলে, কোনো ধরণের ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বংশগত কারণে মায়ের পেটে থাকতেই শিশুর এ ধরণের ক্ষতি হয়। ডাক্তারের কথা শুনে রানা আমার চোখে চোখ পড়বার ভয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। আমার স্বদেশের বাব
ঘুম ছুটে যাবার পর অমিতাভ আবারো ভাবলো। ওটা তো স্বপ্নই ছিলো। ওই চোখ দুটো স্বপ্ন ছাড়া এতটা রং ছড়ায় না কোথাও। যেখানে কেবলি ভয়, যেখানে কেবলি আশংকা, সেখানে এতটা আনন্দ এতখানি আলোর আশ্বাস নিয়ে আসে না। স্টুডিও ছবির নিগেটিভে হাসিকে কান্না কিংবা কান্নাকে হাসি বলে যেখানে ভুল হয়ে যায় নবনীতার চোখে ভাসতে থাকা হাসিটাকেও নির্ঘাত একটা স্বপ্ন বলে ধরে নেয় সে।
প্রিয় স্বাক্ষর,
নামের বানানটা ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও। আসলে তোমার সাথে আমার আগেই কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু বলবো বলবো করে কখন যে সময় শেষ হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারিনি। আজ তাই মাঝরাতে তোমায় লিখতে বসা। আমার কেনো জানি অনেক কষ্ট হচ্ছে আজ, এক ধরনের অপরাধবোধ, মমতা আর অসহায়ত্ব। কিছু না করতে পারাটা কেন যেন মেনে নিতে পারছি না।