Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

টিনের চশমা

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০১৫ - ১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধবধবে সাদা দেয়ালের বেশ বড়সড় একটি এয়ার কন্ডিশন‌ড রুম। আসবাব বলতে মাঝে একটি ছোট আকৃতির টি টেবিল, সেটিকে ঘিরে সোফা, একটি তিন আসনের, আর দুটি এক আসনের। একদিকের দেয়ালে বড় একটি এল ই ডি টিভি। তিন আসনের সোফাটির মাঝামাঝি লোকটি বসা। গায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামা, ক্লিন শেইভ করা ফর্সা চেহারার লোকটির চোখে একটি চশমা। চশমাটি একটু অদ্ভুত ধরনের! দেখতে রোদ চশমার মতো হলেও কাচের রং টা কেমন অদ্ভুত ধাতব!


লাল অণুগল্পত্রয়ী

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২১/০২/২০১৫ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
কেবল প্রাপ্তমনস্ক পাঠকের জন্য, অনুভূতিপ্রবণেরা গোডাইফার

[ একুশের দিনটি লাল একটি দিন বৈকি। এই দিনে এক বসায় লেখা তিনটি গল্প প্রচেষ্টাও কিভাবে যেন লাল হয়ে গেল। ফ্যাকাশে লাল না, রক্তের মত টকটকে লাল। তাই লালচে শিরোনাম দিয়ে দিলাম। আমি গল্পলেখক নই, ভুলত্রুটি ক্ষমার্হ। ]


-

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০২/২০১৫ - ৪:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিস্টোরি

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ৬:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ডিসক্লেইমার: এটা প্রচলঅর্থে ঠিক এই লেখকের মৌলিক কোনো গল্প নয়; এটা আমি শুনেছিলাম বন্ধুদের মুখে। সেটার অনেক সংস্করণ ছিলো। এটা সেগুলোর কোনো একটা কিংবা কয়েকটার যৌথরূপ।)

(১)


পৌনঃপুনিক

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ২৮/১১/২০১৪ - ১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

থ্যাঙ্কসগিভিঙের ছুটি চলছে। শেষ হলেই ফাইনাল।
এ ক'দিন সব চুদুরবুদুর বাদ দিয়ে দরজা আটকে পড়ে পাশনম্বর তোলার কসম খেয়েছিলাম, লাভ হয়েছে ডাইনোসরের ডিম।
ভাবলাম দু লাইন লিখি। এই আর কী।

____________________________________________________

[justify]
সাড়ে এগারটা বাজে।
বারবার ঘড়ির দিকে চোখ চলে যাচ্ছে। বারটায় ক্লাস শেষ, মানে আমার ছুটি। ইস্কুলেরও। মানে আমি যেখানে পড়াই।


দরজার ওপাশে

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০১৪ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"দরজা খোল অনি!" জেদ চেপে যায় বনি'র, কাঁপতে থাকে অল্প অল্প।

"না। দরজা খোলা যাবে না।" অনির শান্ত জবাব।

হঠাৎ হুটোপুটি শুরু হয়ে যায় দুজনের মাঝে। একই চেহারার দুই কিশোর। বনি গরাদের ফাঁক দিয়ে দুই হাতে অনির টুঁটি টিপে ধরে। গাঁক গাঁক করতে করতে একসময় ছাড়িয়ে নেয় অনি, আর এগিয়ে এসে প্রবল শক্তিতে ধাক্কা দেয় বনির বুকে। ছিটকে পড়ে বনি। তাকিয়ে দেখতে দেখতে ধপ করে বসে পড়ে অনি। হাঁপাতে থাকে দুইজন।


অহেতুক

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/১০/২০১৪ - ১২:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

ঘুম তাড়ানোর টোটকা হিসেবে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঝড়ের বেগে লেখা। গালমন্দ বেশি খেলে হয়তো আবার ঝড়ের বেগে মুছেও দিতে পারি।
কী আছে জীবনে, কন? হাসি
___________________________________

[right]'Death really did not matter to him but life did,
and therefore the sensation he felt when they gave their decision
was not a feeling of fear but of nostalgia...'


ফালতু গল্প ২ঃ পিতা, পুত্র ও পত্রিকা

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৯/২০১৪ - ৮:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছুটির দিনে বাসার ড্রয়িং রুমে বসে চায়ে বেশ আরাম করে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকা পড়ছিল আবুল। মনে মনে ভবছিল- নাহ্‌, বউ এর অন্যান্য রান্না বেশ কষ্ট করে গিলতে হলেও চা টা বেশ আরামসেই গেলা যায়। চায়ে তৃপ্তির চুমুক দিতে দিতে সে পাশের টেবিলে রাখা ‘দৈনিক শেষ অন্ধকার’ পত্রিকাটা তুলে নিল। চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়ার মজাই আলাদা। চায়ে বাড়তি স্বাদ আনে। পত্রিকা পড়ার সময় তার প্রথম পছন্দ বিনোদন পাতা। আর ‘শেষ অন্ধকার’ পত্রিকার বিনোদন পাতা তো তুলনাহীন! আড় চোখে আশেপাশে দেখে নিয়ে সে বিনোদন পাতায় উঁকি মারে। বাসায় ছয় বছর বয়সী ছেলে আছে। উঁকি না মেরে সরাসরি পাতা খুলে বসলে হঠাৎ ছেলে এসে হাজির হয়ে দেখে ফেললে লজ্জায় পড়তে হবে। সে যাই হোক, উঁকি মেরেই আবুলের হার্ট একটা বীট মিস্‌ করে। সানিইই!! চোখ চকচক করে ওঠে তার। সানির একটা বেশ ইয়ে টাইপের ছবি। আবুলের ভেতরে তখন যেন গনগনে গ্যাসের চুলায় ডাল টগবগ ফুটন্ত অবস্থা!


নিত্যগল্প ১,২,৩

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২২/০৯/২০১৪ - ৩:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জুতোটা খুব পছন্দ হয়ে গেছে। দাম চাচ্ছে তেত্রিশশো টাকা, এক দর। আমার বাজেট তিন। মিনিমিন করে বললাম, ভাই আঠাশশো রাখেন। দোকানী একরাশ বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকালো। উঁচুগলায় বলল, ‘ভাই এক দর লেখাটা দেখেন নাই? পুষাইলে নেন, না পুষাইলে আরেকখানে যান, আমার অন্য কাষ্টমার বইসা আছে’।


অনুবাদ প্রচেষ্টা-১

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৮:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খামারবাড়ির দেয়ালের উপর শরৎকালে সার বেঁধে কিছু পরিযায়ী পাখি বসে থাকত। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে কিচিরমিচির করে নানারকম গল্পগুজব করত, কিন্তু সবসময় গ্রীষ্ম, দক্ষিণের দেশ, চলমান শরৎকাল আর উত্তুরে হাওয়া কবে শুরু হবে সেটাই ছিল তাদের মূল ভাবনার বিষয়। একদিন ঠিক ঠিক তারা উধাও হয়ে গেল এবং খামারের সব হাঁস-মুরগীরা এই সব পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠল।

এসব দেখে একদিন খামারের একটি মুরগী ঘোষণা করল -“আগামী শীতে আমিও দক্ষিণের দেশে যাব।”