তোমারই ইঙ্গিত খুঁজি আমি নারীদের ভীড়ে,
আন্দোলিত রমণীর দুরন্ত প্রবাহ, চুলের খোঁপায়,
আধবোঁজা পলক, ফেনীল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া
হালকা পায়ের ভেতর।
হঠাৎ যেন খুঁজে পাই তোমার আয়তাকার নখ,
টুকটুকে চেরির মত, গতিময়
তোমারই মত এলোমেলো মোহনীয় চুল
সমুদ্রের জলে জ্বলতে থাকা তোমার গনগনে অবয়ব
আমার কোনো শেষ বার নেই, নেই চির প্রতিশ্রুতি;
বালির ওপর জয় তার পায়ের ছাপ ফেলে রেখে গেছে।
আমি এক দরিদ্র মানুষ, যে মানুষকে ভালবাসতে চায়।
তোমাকে চিনিনা, অথচ ভালবাসি,
কাঁটার উপহার দিইনা কখনো, বেচিনা তার ধার।
কেউ হয়ত জানতেও পারে, আমার হাতে তৈরী মুকুট
আশা করি, এর আগেও যেমন হয়েছে বিভিন্ন বারে, এবারের এই গল্পগুলিও বার্তা দেবে এই সময়ের।
তোমার আগে যদি আমার মৃত্যু হয়
অথবা আমার আগে তোমার দেহান্তর,
তবু যেন আমরা বেদনার সীমানা না বাড়াই
কারণ বেঁচে থাকার মত বিপুল আর তো কিছু নেই।
গমের ভেতর লুকোনো ধুলি, আর বালির ভেতর সূক্ষ্মতর বালি
আমাদের উড়িয়ে নেয়। মুহূর্তের ঝিরঝিরে স্রোত, বেঘোর বাতাস
আমাদের বীজের মতন বাহিত করে,
আমি ওদেরকে দেখে থেমে গেলাম।
এই নির্জন শুনশান রাস্তায় একটা দোকানের শাটারের সামনে ওরা কিছু একটা করছে।
মনে হচ্ছে ওরা শাটার খোলার চেষ্টা করছে। তবে শাটারটা বেশ ভারী আর মজবুত। তাই বেশ বড়সড় একটা শাবল ব্যবহার করেও ওটা খোলা যাচ্ছে না।
আমি আসলে রাতের বেলা একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম, নির্দিষ্ট করে কোথাও যাচ্ছি না আমি। এই এদিক ওদিক ইতিউতি ঘোরাঘুরি আরকি!
আমি ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।
তোমার হাসির রুপালি বিদ্যুৎ,
যেন কোনো বৃক্ষকে তড়িৎ-স্পৃষ্ট করে আধাআধি ভাগ করে দেয়,
যেন এক রিনরিনে সূক্ষ্ম তরবারি, আকাশ থেকে নেমে
ভেদ করে বৃক্ষের আমূল হৃদয়।
এ হাসি শুধু জন্মাতে পারে বনভূমি,
আর তুষারঝরা পাহাড়ের দারুণ উচ্চতায়, বাতাসের
অনাবিল আনন্দ যেখানে পত্পৎ ওড়ে। এ হাসি
প্রায় তিনশ’ দিন পার করে এই ধারাবাহিকের ১০০তম গল্পটি থাকছে আজ।
ঈশপের গল্পগুলিতে নানা জন্তু, গাছ, প্রকৃতি মানুষের মত কথা বলে, কখনো বা মানুষদের মত আচরণ করে। এই অবাস্তবতার মোড়কে ধরে রাখা থাকে আমাদের চারপাশের একান্তই বাস্তব জগৎটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। আজ শেষ পর্ব]
যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ (দ্বিতীয় পর্ব)
তুমি গান গাও, যেন আকাশে সূর্য ওঠে
যেন সবুজ জিভে রিনরিনে সুর ভাঁজে সরল পাইন
যেন শীতের বুক চেরে পাখির সুরেলা শিস
তোমার কন্ঠস্বর মুহূর্ত থেকে গমের তুষ ছাড়িয়ে নেয়।
সাগর তার গভীর শস্যভাণ্ডারে জমিয়ে তোলে ঘন্টাধ্বনি,
পায়ের খসখস, শেকলের ঢং আর গুঙিয়ে ওঠা কান্না,
জমিয়ে তোলে সুরহীন ধাতুর আওয়াজ, ভবঘুরে