তোমার আলোময় চুল কী ধীর অনুভব করি,
এক একটির পরখ করি নিবিড় সুন্দরতা
অন্য প্রেমিক অন্য চোখে দেখে নেয় ভালবাসার মুখ,
তোমার চুলের বিন্যাসে আমি পাই আমার মুগ্ধতা।
ইতালিতে তোমার নাম ওরা রেখেছে মেডুসা,
নাগিনীর মত আউলানো চূর্ণকুন্তল
আমি বলি তরঙ্গময়ী; আমার হৃদয়
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।
প্রথম পর্বঃ যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ
[আমার অন্যতম প্রিয় লেখক আইজ্যাক আসিমভ। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম।তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি।]
দূরে বিলীন হওয়া জাহাজের গল্প
একদা একজন রাজা বন্দী ছিলেন সুউচ্চ মিনার ওয়ালা এক বন্দীনিবাসে। সেই বন্দীনিবাসে নেই কোন দরজা নেই কোন প্রবেশপথ! শুধু একটি জানালা। বন্দীনিবাসে নেই কোন প্রহরী, নেই কোন লাঠিয়াল কি বরকন্দাজ!
প্রেম, আমি তামাম পৃথিবী ঘুরে, ছুঁয়ে এসে দুঃখের স্বাদ,
তোমার কণ্ঠস্বর, তোমার গীটারে স্পন্দিত রিনরিনে হাত,
হেমন্তকে চুমু দেওয়া আগুনের আঁচ, আর আকাশে ফিরে আসা
রাতের কাছে সমর্পিত হই।
আমি সবার জন্য চেয়েছি রুটি, স্বাধীন অধিকার;
যে শ্রমিকের কোনো আগামী নেই, তার জন্য বেঁচে থাকার মাটি।
কেউ যেন আশা না করে -- আমার রক্ত, আমার বেদনার গান বোবা হয়ে যাবে,
এমন মূহূর্ত আসবে একদিন, যেদিন বৃক্ষের, নক্ষত্রের
নীরবতা বুঝবে মানুষ, পাবে স্বচ্ছতার নিখাদ আওয়াজ,
আর বেহালার রিনরিনে স্বর ভরে উঠবে
অফুরান জ্যোত্স্নার সৌরভে!
হয়ত সেদিন এক অখণ্ড রুটি,
ধারণ করবে তোমার সফেদ ময়ান, তোমার কণ্ঠস্বর
আর হেমন্তের নিখোঁজ ঘোড়াগুলি
তোমার ধ্বনিময়তায় কথা ক'বে।
হয়ত তুমি এমনটাই হুবহু চাওনি কখনো,
তবু, ভালবাসা প্রাচীন রাখালী মধুর মত
ছলকে তুলবে মৃত্পাত্র আমার ।
সেদিন আনন্দ দিদির পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে, সচলায়তনে পোস্ট দিয়েই রাখি, কেউ পড়লে পড়বে, না পড়লেও ক্ষতি নাই।
আপাতত আমি ধুমায়ে মার্ডার-মিস্ট্রি-খুন-জখম পড়ছি। নেরুদার মতো বিখ্যাত কারও, প্রেমের মতো জটিল বিষয়ের কবিতা আনাড়ি হাতে অনুবাদ করার ফলে সচলেরা আমাকে প্যাদানি দেয়ার আগেই আশাকরি কয়েকদিনের মাঝেই ফর্মে চলে আসবো একটা খুন-জখম অনুবাদ নিয়ে!
আজ নতুন এক সূর্যোদয়, গতদিনের লেবাস ঝরে গেছে সব
আলোময় আঙুল আর ঘুম জড়ানো চোখের সাথে সাথে।
আগামী আসবে তার সবুজ পা ফেলে
আর ভোরের জলস্রোত কেউ রুখতে পারবে না
নদীর মত তোমার হাতের গতিময়তা
রোধ করতে পারে কি কেউ, প্রিয়তমা?
তুমি মুহূর্ত-স্পন্দন; আমৃত্তিকালম্বিত আলো
আর ঘন হওয়া আঁধারের মধ্যবর্তিনী
তোমার ওপর অসীম ডানা ছড়িয়ে দিয়ে আকাশ
তোমায় দুই হাতে সযত্নে তুলে সঁপেছে আমায়