ছোটবেলায় প্রথম যে বইটি পড়ে দুনিয়ায় টিঁকে থাকার রীতি-নীতি সম্পর্কে জানতে পারি সেটি ছিল ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর করা ঈশপ-এর গল্পের অনুবাদ - ‘কথামালা’। আমার বাবার আমাকে প্রথম উপহার যা আমার মনে পড়ে। বইটি হারিয়ে গেছে। গল্পগুলি রয়ে গেছে মনের ভিতর। যত বড় হয়েছি, গল্পগুলি তত বেশী করে অনুভব করেছি। আবার কখনো কখনো সেগুলি থেকে অন্য রকমের মজা পেয়েছি। সম্প্রতি ইচ্ছে হচ্ছিল গল্পগুলি ফিরে পড়ার। ভাবলাম, আপনাদের-ও সঙ্গী করে নি-ই। ইংরেজী পাঠের অনুসারী বঙ্গানুবাদ করেছি, তবে আক্ষরিক নয়। সাথে ফাউ হিসেবে থাকছে আমার দু-এক কথা।
[গল্পসূত্রঃ স্থানীয় গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে]
লাল চুলের একজন জার্মান ছাত্রী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া তে ঢুকল হন্তদন্ত হয়ে। কাউন্টার থেকে মেন্যু পছন্দ করে বিল চুকিয়ে গিয়ে একটি টেবিলে বসল সে। খাওয়া শুরু করতে গিয়ে তার খেয়াল হল যে সে কাটা চামচ আনতে ভুলে গিয়েছে। অগত্যা তাকে উঠতে হল কাটা চামচ নেয়ার জন্য। “আমার কাটা চামচ টা প্লিজ”-কাউন্টারে গিয়ে হাসি মুখে বলল সে। কাউন্টারে থাকা লোকটিও তাকে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কাটা চামচ দিয়ে দিল।
[justify]
উইলিয়াম ম্যাকালক সম্পাদিত ১৯১২ সালে প্রকাশিত Bengali Household Tales অবলম্বনে আজকের গপ্পো ছাগল, বাঘ আর হনুমানের কিচ্ছা।
…........................................................................
একপাল ছাগল নিয়ে কিছু লোক শহরে যাচ্ছিল বেচতে। পথে এক মাদী আর মদ্দা ছাগলের হল প্রেমপিরীতি। প্রেমিক ছাগল বলল, “হে ভালোবাসা। এই দুষ্টলোকেরা আমাদের নিয়ে বেচে দিবে বাজারে, তারপরে যারা কিনবে তারা বাসায় নিয়ে আমাদের কেটেকুটে ভুনা করে খাবে। গ্রামগঞ্জে পলায়াও লাভ নাই আবার এরা ধরে বেচে দিবে বা কেটেকুটে ভুনা কষাবে। হায় নিষ্ঠুর জীবন, বাঁচার উপায় কি?”
২৭ মার্চ, ১৯৭১
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
সম্পাদকীয়
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তান নিয়ে অনেকদিন ধরে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আজ বাস্তবে পরিণত হল; পাকিস্তানের দু’অংশ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
[justify]ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। ভেড়ার পাল নিয়ে যখন সে পরিত্যক্ত গীর্জার কাছে পৌঁছালো তখন গোধূলীর আবছায়া নেমে এসেছে চরাচরে। কালের আঁচড়ে জীর্ণ গীর্জার ছাদ ধ্বসে পড়েছে অনেক আগেই। এককালে যেখানে তোষাখানা ছিল, এখন সেখানে সগর্বে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সুবিশাল সাইক্যামোর গাছ।
একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
'বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র' একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো বাংলায় অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই অনুবাদগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
“মা, কি লিখব বাবাকে?” চার বছরের কনর প্রশ্ন করে আমায়। জবাব দিলাম লিখে দাও “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। ওইটুকু ছেলে আমার, সবে লিখতে শিখেছে। কতটা আনন্দেই না লিখে ফেলল বাবাকে লিখা তার প্রথম চিঠি। পরদিন পাঠিয়ে দিলাম ডাকে। কনরের সেই চিঠি তাঁর বাবার হাতে পৌছুলো লন্ডনে, ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছুদিন পড়ে। এরিকই খুলল সেই খামে ভরা চিঠি। কিছু মুহূর্ত পেরুলো নিঃশব্দে, যা কোনদিন ভুলবার নয়।