‘সে আমাকে কথা দিয়েছে যে আমি যদি তাকে লাল গোলাপ দেই তবে সে আমার সাথে নাচবে’- কান্না ধরা কণ্ঠে কথাগুলো ভেসে আসছিল একজন তরুন ছাত্রের কণ্ঠ থেকে; ‘কিন্তু কোথায়- আমার বাগানে তো কোন লাল গোলাপ নেই’।
পাশেই একটি ওক গাছের উপরের বাসা থেকে নাইটিংগেল পাখি ছেলেটির এই কান্না ভেজা আকুতির কথা শুনছিল এবং গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সে বিস্মিত হল।
কোন কোন মর্তবায় এরকম হয় যে পুরাতন কাদিম দোস্তের ফির মোলাকাত হাসিল করতে অনেক পাহাড়, অনেক টিলা পার হতে হয়, অনেক কাঠ ও অনেক খড়কে পুড়তে হয় দুঃসহ প্রতীক্ষার অনলে। ৭১ এর ১৫ ই ডিসেম্বরে স্বাধীনতার চৌকাঠে খাড়া বাংলাদেশের দারুল হুকুমত, বাংলার রাজধানী ঢাকায়, টাইগার নিয়াজি, শের-এ-পাকিস্তান, যখন তার জোয়ানির জানি দোস্ত জেনারেল স্যাম মানেকশ’র কাছে আত্মসমর্পণের, তার আঁতকা কুশকাস্তির বাতচিত করছিলেন
বিবেক
যুদ্ধ শুরু হতেই লুইজি নামে এক ব্যক্তি এসে তাতে যোগ দিতে চাইল।
সকলেই তখন তার অনেক প্রশংসা করল । অস্ত্র বিতরণের জায়গায় গিয়ে সে একটা অস্ত্র চেয়ে নিয়ে ঘোষণা দিল “ আমি এখন অ্যালবার্তো নামে এক লোক গিয়ে কে খুন করব”
সবাই জানতে চাইল অ্যালবার্তো টা কে?
সে উত্তরে বলল “ আমার শত্রু”
প্রশ্ন
সূচির ছোটো ভাইটার জন্ম নেয়ার পর থেকেই , সে তার বাবা মায়ের কাছে অনবরত আবদার করছে বাবুটার সাথে সে কিছুক্ষণ একা থাকতে চায়। তার বাবা মা ধরে নিলো অন্য আর সব চার বছরের বাচ্চাদের মতই সেও ছোটো ভাইটাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত এবং একা পেলেই সে হয়ত উল্টাপাল্টা কিছু করবে। তাই তারা প্রথমে রাজি হল না।
শেষ পর্ব:
সময় পেরিয়ে যায়। সময়ের সাথে ঋতু আসে ঋতু যায়, সেই সাথে কাটে পশুদের স্বল্পকালীন জীবন। তুলসীপাতা, বেনজামিন, কাক মোসেস ও কয়েকটি শুয়োর বাদে বিপ্লবের সেই পুরনো দিনগুলোর কথা কেউ মনে করতে পারে না।
ভাস্কো দা গামা কালিকটে ভিড়ার প্রায় এক শতাব্দী পরে ওলন্দাজ ইয়ান হাউখেন ফন লিন্সখ্যোতেন ১৫৮৩ এর সেপ্টেম্বরে গোয়াতে আসেন। লাইন ধরে সকল পর্তুগীজ রমণী মহানন্দে ভারতীয় খাবার খাচ্ছে দেখে তিনি তো অবাক। মূল খাবার ছিল সিদ্ধ ভাতের উপর পানির মত পাতলা স্যুপ ঢেলে তার সাথে মাছ, টক আমের আচার আর মাছ বা মাংসের ঝোল। ষোড়শ শতাব্দীর ইয়োরোপীয় যার মূল খাবার ছিল রুটি আর ঝলসানো মাংস, তার এইসব অচিন খানা দেখে অবাক লাগারই কথা। ভারতের পর্তুগীজেরা আপাত অপরিচিত খাবার খেয়ে হজম করত শুধু তাই নয়, একবারে খাঁটি ভারতীয়ের মত হাত দিয়েই খেত। রমণীরা কারো হাতে চামচ দেখলে তাই নিয়ে ভারি হাসাহাসি করত।
নবম পর্ব:
অষ্টম পর্ব: