বলা হয়ে থাকে যে নিসর্গীরা যখন অবসর জীবন শুরু করেন, তখন তারা নানা কিছুর ভূমিকা ও স্মৃতিকথা লেখা শুরু করেন। এই লেখার মাধ্যমে আমি এটুকুই বলতে পারি যে আমি স্মৃতির সন্ধানে নেই, আমার মূল উৎসাহ ভবিষ্যতেই। যদিও উত্তর আফগানিস্তানের পাহাড়ে বসে আমি এই বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলাম,যেখানে মার্কো পোলো-ভেড়ার গবেষণা ও সংরক্ষণ সচেতনতা নিয়ে কাজ করছিলাম। ১৯৫২ সালে থেকেই নানা দেশে বুনো প্রাণীদের দেখার আনন্দ নিয়ে এবং মানুষে
রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার জন্য নিয়ে আসি খোকা
তখন বুঝতে পারি; চারদিকে কেন এত রঙের খেলা
ঐ মেঘে, ঐ জলে। আর কেনই বা ফুলেরা এত রঙে রঙ করা
বুঝি খোকা, রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার হাতে তুলে দেই।
যখন তুমি নাচবে বলে গান গেয়ে উঠি
তখন আমি সত্যি জেনে যাই; কেন গাছের পাতায় সুর ওঠে, আর কেনই বা
সমুদ্রের ঢেউগুলো একসাথে কল্লোল করে ওঠে পৃথিবী শুনবে বলে
বুঝতে পারি আমি, যখন গান গেয়ে উঠি তুমি নাচবে বলে।
বৈরী পরিবেশ আমাদের বেঁচে থাকার সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানার বড় একটা অংশ এসেছে এক অসস্তিজনক সূত্রে।
শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে! কেউ যদি যায় পিছ্লে প'ড়ে, প্যায়দা এসে পাক্ড়ে ধরে, কাজির কাছে হয় বিচার- একুশ টাকা দণ্ড তার ৷৷ চলতে গিয়ে কেউ যদি চায়, এদিক ওদিক ডাইনে বাঁয়, রাজার কাছে খবর ছোটে, পল্টনেরা লাফিয়ে ওঠে, দুপুর রোদে ঘামিয়ে তায়- একুশ হাতা জল গেলায় ৷৷
হর্সশো ব্যাট বা অশ্বক্ষুর বাদুড়টাকে আপনার হাতের তালুতে নিলে দেখবেন, এটা এতই ছোট যে তালুর কিছুটা জায়গা বেঁচে গেছে!
এই খ্যাতিমান জীববিজ্ঞানী এবং বিবর্তনবাদী তাত্ত্বিক ছিলেন একজন মুন্সিয়ান সুলেখক যিনি বিজ্ঞান প্রকাশ এবং প্রচারের মডেল হওয়া উচিত ছিলেন।
প্রস্তাবনাঃ
কাহলিল জিব্রান। কবি, চিত্রকর, দার্শনিক এবং কারো কারো কাছে মরমিয়া দ্রষ্টা।
অনেক অনেক বছর আগে, যখন বেশ কিছু নেরুদার কবিতা অনুবাদ করছিলাম, এক বড় ভাই সেগুলো পড়ে বলেছিলেন শার্ল বোদলেয়ারের কবিতা অনুবাদের চেষ্টা করতে। প্রথম চেষ্টায় খুবই কঠিন লেগেছিল অনুবাদ করা সেগুলোকে। তাও একবার একটি কবিতা অনুবাদ করে ফেলেছিলাম। আজকে হঠাৎ খোমাখাতায় ঘুরতে ঘুরতে সেই ভাইয়ের একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা পড়ে আবারও বোদলেয়ারের কথা মনে পড়লো। সেই সূত্র ধরে এই অনুবাদ প্রচেষ্টা…
মূল নিবন্ধঃ https://elifesciences.org/articles/41926
অনুবাদঃ ড. মোহাম্মদ আসিফ খান, স্বাস্থ্য গবেষক।
চিঠিটা পেয়েছিলাম আমেরিকান প্রকাশনা সংস্থা হারপারকলিন্স থেকে, সেখানে বলা হয়েছিল, “দ্য অ্যালকেমিস্ট পড়ে মনে হয়, ভোরে ঘুম থেকে উঠে সূর্যের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে, অথচ বাকি পৃথিবী তখনও ঘুমিয়ে।” বাইরে গিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম, নিজের মনেই ভাবলাম, “বইটা তাহলে অনুবাদ হতে যাচ্ছে!”