আকবর বাদশার বিয়ের বাতিক ছিল, তার বউয়ের সংখ্যা কোন বইয়ে ৩৬ কোন বইয়ে ৩০০ দেখতে পাই। বউ ছাড়াও হেরেমে ঢলাঢলি করার জন্য দুনিয়া চষে হাজার পাঁচেক মেয়ে মজুত ছিল তার। বীর্য বিলিয়ে বেড়াতে আকবর তুলনাহীন ছিলেন, সব জাতের সব ধর্মের মেয়ে চেখে দেখার স্বভাব ছিল তার। মিরিয়াম ছিল আকবরের খ্রিস্টান বউ। গোয়ার পর্তুগীজ যাজক সম্প্রদায়ের লোকের চোখ চকচক করে ওঠে আকবর মিরিয়ামের বিবাহে, মোগল বাদশাকে খ্রিস্টান কর
মাসখানিক আগে ছোটভাইয়ের কল্যানে একটা কিন্ডল হাতে আসায় পড়ার নেশাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাই অবসর সময়ে নিউক্লিয়ার অস্ত্র দিয়ে শহরজনপদ ধ্বংস করার আর ওয়াশিংটন ডিসিতে বায়োলজিকাল হামলার কাজ মুলতবি রেখে শুধুই পড়ছি। সিরিয়াস কিছু না, কমফোর্ট রিডিং যাকে বলে। পুরোনো সব সাইন্স ফিকশান আর ভূতের গপ্পো। তো এই গল্পটা পড়তে পড়তে মনে হলো এইটাকে কনটেমপরারি সময়ে ঢাকার পটভূমিতে এনে ফেলতে পারলে
হেরেম আর হারাম একই জিনিষ, নিষিদ্ধ মাল। হেরেম একটি আন্তর্জাতিক শব্দ, যেমন পুলিশ...যে ভাষাতেই বলেন পাবলিক বুঝবে। মুচকি একটা হাসিও দিতে পারে। তুর্কী সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হওয়া হেরেম প্রতিষ্ঠানটিকে আমাদের ভারতীয় মোগল সম্রাটেরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শাজাহানের হেরেম জীবনের খানিকটা বর্ণনা পাওয়া যায় জেমস হুইলার লিখিত “The History of India from the Earliest Ages: pt. 1.
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অন্যতম প্রধান রপ্তানীদ্রব্য ছিল আফিম ও আফিমজাত মাদক। বাংলায় উৎপন্ন আফিম চড়াদামে চীনে বিক্রয় করা কোম্পানীর অন্যতম মুনাফার উৎস। আফিম চীনে নিষিদ্ধ মাল তখন, এই নিয়ে কোম্পানীর চীনের সাথে দুইবার মারপিটও হয়ে গেছে। এই লিখাটি ১৮৫১ সালে “The Records of The Bengal Government” হতে নেয়া, ঐ বইয়ে বাংলাদেশের আফিম ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত লেখেন কোম্পানীর শুল্ক, লবণ ও আফিম বোর্ডের
পত্রপত্রিকায় “সম্পাদক সমীপে” নামে একটি অর্থহীন পাতা বরাদ্দ থাকে, যেখানে টিকাটুলি রায়েরবাজার বরিশাল নেত্রকোনা প্রভৃতি স্থান থেকে মানুষ এলাকার পানি সমস্যা, ভাঙা রাস্তাঘাট অথবা কৃমি সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ করে চিঠি লেখেন। এসব চিঠি লিখে কেউ সমস্যা সমাধান করেছে বলে কখনো শোনা যায়নি, শেষ পর্যন্ত এইসব চিঠি হয়ে দাঁড়ায় মূল্যহীন স্থানীয় সংবাদমাত্র। মোটামুটি অনর্থক এই কাজটি করার ঐতিহ্য আমাদের প্রাচ
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এলাকা আজ থেকে চারশ বছর আগে ছিলো নির্বাসিত পর্তুগীজ অপরাধীদের অভয়ারণ্য, আরাকান থেকে সুন্দরবনের তীরে দস্যু হার্মাদ১ এর নামে লোকে কাপড় ভিজিয়ে দিত। আজকের লিখাটি ১৮৬৯ সালে টমাস হার্বার্ট লেভিন লিখিত The Hill Tracts of Chittagong and the dwellers therein বইটির কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
অস্ট্রিয়ান বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইম্পিরিয়াল অস্টেন্ড কোম্পানি ১৭১৭ সালে ভারতের সাথে ব্যবসার পত্তন করে। প্রথম প্রথম লাভ করে ঠিকই কিন্তু মাত্র চোদ্দ বছর পরে ইংরেজের চড় খেয়ে তারা ভারত থেকে কেটে পড়তে বাধ্য হয়। নিচের অংশটি ১৮১২ সালে প্রকাশিত ডেভিড ম্যাকফারসন লিখিত “The History of the European commerce with India” এর কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
…..........................................
পূর্ব বাংলা বরাবরই এক ঝামেলার জায়গা, হিন্দুস্তানের মহান সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার মোগলে আর আরাকানের মগে ব্যাপক যুদ্ধ চলতো। আরাকানের রাজার শাসনাধীন সুন্দরবনে পর্তুগীজ দস্যুর দলও উৎপাত কম করতো না।