অভীক আর নকুল এবার ভালো করে তাকালো ছায়ামূর্তির দিকে, এক পা ঘোড়ার রেকাবে আটকানো, অপর পা রাস্তা ধরে লাফাতে লাফাতে এগোচ্ছে।
"অগ্নিমূর্তি, হ্যাহ!?", অবশেষে মন্তব্য করলো অভীক।
" না।" বললো ফুরফুরা, "মানে, আসলে কি বলবো। এ হলো এমন লোক যে ঠাডা পড়া কি সেই কৌতুহল মেটাতে, ঝড় বৃষ্টির রাতে মাথায় তামার শিরোস্ত্রাণ চাপিয়ে কোন পাহাড়ের মাথায় খোদাতালাকে গালি গালাজ করতে রওনা হবে। ইয়ে, তোমাদের কাছে কোন খাবার হবে?"
" মুরগি আছে একটু।" বললো নকুল, "যদি তোমাদের কাহিনী খুলে বলো।"
পর্ব = ৭
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
ওরা লম্বা একটা তারের টুকরো ভেঙ্গে নিয়ে এক কোনায় লুকিয়ে রাখলো। সূখোভ কয়েকটা তক্তা পেরেক ঠুকে জুড়ে দিয়ে একটা মই বানিয়ে গপচিককে পাঠালো স্টোভের পাইপটা ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য। ছোকড়াটা একেবারে কাঠবেড়ালির মত চটপটে, তরতর করে খাম্বা বেয়ে উঠে দু-একটা পেরেক ঠুকে তার মধ্যে তার জড়িয়ে সেটা পাইপের তলা দিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিল। সে নিজ থেকেই পাইপটার প্রান্তের কাছটায় আবার বেঁকিয়ে দিলো, ছেলেটার উৎসাহ দেখে সূখোভ আর কিছু বললো না। আজকের বাতাসের গতি খুব বেশী না হলেও কাল যে হবে না সেটাতো আর বলা যায় না, আর এই বাঁকানোটা ধোঁয়া বেরুনো রোধ করবে। ভুলে যাওয়া যাবে না যে স্টোভটা সারানো হচ্ছে ওদের সবার নিজেদের স্বার্থেই।
টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড এর Color of Magic অনুবাদের পর্ব ৩। আপনাদের মন্তব্য থেকে শোধন করে করে অনুবাদ নিয়ে এগোচ্ছি। নাম আবার বদলে গেছে তাই। চাকতি জগত > চক্রাধাম > চক্রধাম। জাদুর রঙ থেকে বদলে করেছি "মায়ারাগ"। অনেক বাহানা শেষে এবার আসল গল্প শুরু হয়েছে।
সকলের মন্তব্য উপদেশ কাম্য।
সুমনার হার্টের অসুখের কথা আত্মীয়স্বজনদের সবাই জানেন, তাই খুব সাবধানে, যেন চমকে না যান এইভাবে সুমনাকে তার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ জানানো হলো।
সচলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে লেখা দিতে ইচ্ছা করলো। তাই টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড এর পর্ব-২। আগের পর্বে নাম ভিন্ন ছিলো, সেটা এখন আর পছন্দ হচ্ছে না। তাই পালটে দিলাম।
প্রথম পর্ব এখানেঃ চাকতি-জগতঃ জাদুর রঙ। পর্ব ১
সৃষ্টিকর্তাদের সৃষ্ট বিশ্বজগত কারিগরিভাবে যতই নিখুঁত হোক না কেন, কল্পনাশক্তির অভাবে তা চক্রাধামের দৃশ্যপটের কাছে তা খুবই মামুলি মনে হবে।
পর্ব = ৬
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
এই বিস্তির্ন তুষার ঢাকা প্রান্তরে জানালার কপাটগুলো তুলে লাগানোর মত কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু কিল্গাস বললো, “ভান্যিয়া (আইভান নামের সংক্ষিপ্ত রুপ), আমি একটা জায়গার খবর জানি যেখানে দারুন ফেল্টের (Felt : পশম বা লোমকে চেপে তৈরী এক ধরনের মোটা কাপর) রোল আছে যেগুলো ফ্রেমের সাথে জুড়ে ছাদের কাঠামোর অংশগুলো তৈরী হচ্ছে। ওগুলো আমি নিজের হাতে সরিয়ে রেখেছিলাম। চল, ওগুলো চুরি করে নিয়ে আসি।”
কিল্গাস জাতে লাটভিয় কিন্তু রাশান ভাষায় কথাবার্তা বলতে পারে একেবারে স্থানীয়দের মত। ওদের গ্রামের কাছে একটা প্রাচীন মতাদর্শীদের (Old Believers, এরা ১৬৬৬ ইং সনে এই মতাদর্শীরা আদর্শগত বিরোধের কারনে রাশান অর্থোডক্স চার্চ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন করে ফেলেছিল) একটা উপনিবেশ ছিল এবং একারনে শৈশব থেকেই তার রাশান ভাষা শেখা হয়ে গিয়েছিল। তার ক্যাম্পের জীবন মাত্র দুই বছরের, কিন্তু এরমধ্যেই সে সব কায়দা-কানুন বুঝে নিয়েছে। এখানে দাঁত দিয়ে কামড়ে আদায় করে নিতে না জানলে কিছুই পাওয়া যায় না। ওর আসল নাম জোহান এবং সূখোভও ওকে ভান্যিয়া বলেই ডাকে।
পর্ব = ৫
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।
জঙ্গিবাদ মূলত একটি সামরিক কৌশল, যেটা মানুষের মধ্যে ভয় সঞ্চার করার মাধ্যমে একটা ভৌগোলিক অঞ্চলের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের চেষ্টা করে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, কোনো একটা গোষ্ঠী যদি সামর্থের দিক থেকে খুব দুর্বল হয়, বা তারা যাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের খুব বেশি বাস্তব ক্ষতি করার ক্ষমতা না থাকে, সে ধরনের গোষ্ঠীই সাধারণত এই ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। যদিও এ কথাও সত্যি যে প্রা
পর্ব = ৪
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।
গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”