পর্ব - ৩ :
ঠিক যখন পিঠে নম্বর লেখা দলের লোকেদের সবাই বারান্দার দরজার দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে, সূখোভ কোনরকমে সব কাজ সেরে সেটার লেজের অংশটার সাথে জুড়ে গেলো। যার যা জামা-কাপড় আছে সব পরে থাকাতে তাদের মনে হচ্ছে বেশ মোটাসোটা, আর সবাই হেলেদুলে আড়াআড়ি ভাবে একলাইন ধরে জমায়েত হওয়ার ময়দানটার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। কেউ কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা নেই। বাতাসে শুধু পায়ের তলায় বরফ ভাঙার শব্দ।
সেদিন সকালে ভাগ্যদেবী বুঝি চোখ মেলে চাইলেন, কোন ভীড় বা লম্বা লাইন নেই। সোজা হেঁটে ঢুকে পরা যায়।
খাবার-হলের বাতাস যেন গোসলখানার মত ভারী। হিম-শীতল হাওয়া দরোজা দিয়ে ঢুকে ট্যালট্যালে লপসির ধোঁয়ার সাথে মিশে যাচ্ছে। এক দল টেবিলে বসা, আরেক দল টেবিলের সারীর মাঝের করিডোরে দাঁড়িয়ে, ফাঁকা সিট পাওয়ার অপেক্ষায়। চাপাচাপি-ঠেলাঠেলির মধ্যে এ ওকে উদ্দেশ্য করে চেচাঁমেচি করছে, প্রতিটা দলের দু’তিনজন বাটি ভর্তি লপসি আর কাঠের ট্রে ভর্তি জাউ নিয়ে খালি জায়গা খোঁজায় ব্যাস্ত। ওদিকে, ওই দেখো দেখো ঐ গোঁয়ার-গোবিন্দটা কি করে, কথা শোনে না, হাতের ট্রেটা ফেলেই দিলো, ঝপ-ঝপাৎ ঝপাস! হাত খালি থাকলে দাও ব্যাটাকে কষে একটা ঘাড়-ধাক্কা। ঠিকই আছে, অকারনে করিডোর জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা, জোচ্চুরির ধান্দা!
বন্দী শিবিরের কথা =
সম্প্রতি টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড পড়া ধরেছি। এবং আকন্ঠ মুগ্ধতায় ডুবে গেছি। স্বভাবদোষ হলো যে কোন লেখা খুব ভালো লাগলে অনুবাদ করে ফেলতে ইচ্ছা করে। প্র্যাচেটের লেখা অনুবাদ করার মত দুঃসাহস এবং বেকুবি মাফ করবেন। স্রেফ মুগ্ধ ভক্তের বালখিল্যতা হিসেবে নিলেই স্বস্তি পাবো। একদম ক্রম মেনে প্রথম থেকে শুরু করেছি। তাই Color of Magic দিয়েই প্রথম অনুবাদ।
অরণ্যে নিখোঁজ, কালচে শাখাটি ভেঙ্গে
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে তুলে নিলে তার ফিসফাস,
শোনা যায় বৃষ্টি-রোদন মেঘের কণ্ঠ,
বোবা ঘণ্টার গান, আহত মনের দীর্ঘশ্বাস।
বহুদূর হতে পৃথিবীর পথে
উন্মেষের এই আর্তি তার নিগূঢ় গোপনে,
পল্লবের ছায়াতে হার মানে যেন
আধ-ভেজা ধূসরতার তীব্র শরতে।
ধীর জাগরণে টুটে গেলে সেই অরণ্য-স্বপন,
শাখাটির গান ঠোঁটে শিষ হয়ে আসে,
ঘোর লাগে মনে- তীক্ষ্ণ সুবাসে।
প্রশ্নটিও সহজ, আর উত্তরও তো জানা........তবু আবার একটু চোখ বুলাই।
যদি বলি আপনার সহস্র নাম্বার পূর্বপুরুষটি সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকার কোন জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতের ঢালুতে বসে একটা আধপাকা কলা ভক্ষণ শেষে কলা ছিলকার উপর হাতের আঙুলগুলো রেখে অবাক হয়ে দেখছে –আরে এই ছিলকায়ও দেখি আমার হাতের আঙুলের সমান টুকরা! হাউ ফানি! অংক আবিষ্কারের এই ভুজুংভাজুং কেচ্ছা কি বিশ্বাস করবেন? না করলেও সমস্যা নাই। কিন্তু কল্পনাটি অসম্ভব কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কালের কোন আদম হয়তো ওই ভাবেই প্রথম গুনতে শিখেছিল যার অসংখ্য বিবর্তনের ফসল হিসেবে ৭০ হাজার বছর পরে আপনি কম্পিউটারে খুটখাট করার দুর্লভ সুযোগ সুলভে ভোগ করছেন।
আজকে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬০তম জন্মবার্ষিকী। ভেবেছিলাম বিজ্ঞানময় রুদ্র নামিয়ে ফেলব। কিন্তু হাতে ম্যালা কাজ। এমন সময় ছুটির দিনের সকালে দরজায় ঠক ঠক করল আলুর দোষওলা কিছু সাহিত্য সম্পাদক। কি আর করা? জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংক ডাকাতি প্রশিক্ষক সাইফুর্স সাহেবের আগেই উনাদের জন্য গাইড বই লিখে ফেললাম। সুদীর্ঘ পোস্ট, হাতে পর্যাপ্ত সময় ও মনযোগ নিয়ে পড়ুন। [তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট]
কোনখানে এক নারী ছিলেন, বয়স ৩০ ঘেঁষা। মানুষ তাকে প্রশ্ন করে- এখনো সন্তান হল না? তার একেকদিনের উত্তর একেক রকম হয়, কিন্তু তাদের সবসময়ের সাথী হয় জোর করে আনা হাসি।
“না, এখনো নয়”- মৃদু হাসতে হাসতে হতাশা ঢেকে বলা তার উত্তর!
যাবার আগে মানুষেরা বলা যায় “সারা জীবনের জন্য অপেক্ষা কর না। সময় এগিয়ে আসছে, জানো তো?”
তারা বিদায় নেয়। মহিলা তাঁর হাসি ধরে রাখেন। আর একাকী, সে কাঁদে।
১৮৭৬ সালে প্রকাশিত W W Hunter-এর A Statistical Account of Bengal এর মালদহ, রংপুর এবং দিনাজপুরের ভলিউম থেকে রংপুরের বন্যপ্রাণী অংশটি অনুবাদ করা হল।
স্তন্যপায়ী প্রাণী-
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা। অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়।
সাথে আমার দু-এক কথা, হয়ত মজা করে, হয়ত আরও তীব্রতায়, কিংবা কোন ভিন্ন দেখা থেকে।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য [url=http://www.aesop-fable.com ]http://www.aesop-fable.com [/url]-এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি। গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
****************************************