গত কয়েকটি দিন ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশের ফেরিওয়ালারা পাঁচ মিনিট পরপর হাঁক দিয়ে গেছে । বাতাসে ইলিশের গন্ধ, রাস্তার মোড়ে মোড়ে গলি-ঘুপচিতেও রুপালি ইলিশের হাতছানি। ফেরিওয়ালাকে দাম জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় না। তবু মাঝে মাঝে দলবদ্ধ মানুষের উৎসাহে সামিল হয়ে মুখ ফস্কে বেরিয়ে যায় - কত করে কেজি?
যারা জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কোন না কোন কলোনিতে কাটিয়েছেন তাদের এই লেখাটা না পড়ার জন্য অনুরোধ করছি, কারণ ‘কলোনি’ শব্দটা শোনার সাথে সাথে তাদের মনে এতো বেশী স্মৃতি ভীর করা শুরু করবে, যে সেই স্মৃতির ঢেউ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে নিতে পারে। আর যাদের জীবনে কখনো কলোনিতে থাকার সুযোগ হয় নি তাদেরকেও এই লেখাটি না পড়ার জন্য অনুরোধ করব কারণ এটা তাদে
পর্ব ১ ।। পর্ব ২
(আপনাদের দাবিতে এবারের পর্বটাকে একটু বড় করে পোষ্ট করলাম। আশা রাখি আপনাদের প্রশ্রয় থেকে বঞ্চিত হব না।)
অনেক অনেক কাল আগের কথা, আমাদের এলাকার সরকারী বিজ্ঞান কলেজ মাঠে এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হইছিল। টিমের কোচ আছিল মিন্টু ভাই। উনার কোচ হবার ইতিহাস ছিল একটু চমকপ্রদ। মিন্টু ভাই ফুটবল ভাল খেলতেন কিন্তু ক্রিকেটটা একেবারেই যাচ্ছেতাই। প্রথম প্রথম মাঠে নামতেন উনি খুব হম্বিতম্বি কইরা, ওপেনিং নামতেন ব্যাটিং এ। পোলাপান মানুষের খেলা আছিল, তখন প্রায় খেলাতেই তিনি ২৫ বলে ৫ রান করতেন। খেলতামই ১০-১৫ ওভারের
গোলরুটির চেয়ে গোলারুটিই বেশি মজার। বড় মামী এ ব্যাপারে ফার্স্টক্লাশ। নানারকমের গোলারুটি বানাতে তার জুড়ি নেই। আটা গুলে তার মধ্যে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে পিয়াজ রুটি। কাঁচা মরিচ দিয়ে মরিচ রুটি। আর কালো জিরা দিলে বেশ টোস্ট টোস্ট ভাব আসে।
কী বিপদেই না ফেলেছিলেন আমাকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল!