এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
[justify]১.
সে এক অদ্ভুত মায়াভরা গ্রাম, মুখ তুললেই আকাশ, নক্ষত্র, মেঘ, ছায়াপথ, মহাবিশ্ব। কত কত ভাঙা পাড়... কত বজ্র... কত ঘূর্ণিঝড়... মাথাভর্তি স্বপ্ন আর কুলকুল বাঙালির স্বর... পাতার আওয়াজ পেলে নিজের ভেতর থেকে চমকে উঠে দেখি পাশে মেঘ... মহা-মহা তারা... আহা সময়-- ফ্লোরসেন্ট স্বপ্নের মতো বড়ো বেশি কম্পনপ্রিয়-বড় বেশি পতঙ্গ স্বভাব।
ফসল, তুমি কি জানো প্রেমিক আলপথ্
তোমাকে বানান-চিন্তা দিয়েছে দুঃখের?
বলো তো অ’ মানে ধান... এই বাংলাদেশে
প্রেমে প’ড়বো বারবার রাখালের বেশে
-বিভাস রায়চৌধুরী
তীর্থের কাক ১ তীর্থের কাক ২ তীর্থের কাক ৩
জানালা খুলে পুলিশ দুজন এয়ার ফ্রেসনারের ক্যান খালি করলেন ঘরে।
আপনার টাকা কোথায়?
[center]আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক
সব পেলে নষ্ট জীবন
তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলোয়
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাঁচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
দূরবীনে চোখ রাখবোনা
না না না না ...
এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার
শিশুকালের বর্ণবিভেদ নিরেট মাথায় তেমন একটা ছাপ না ফেললেও ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলো বুঝতে শুরু করি
বয়স বাড়ার সাথে সাথে। তবে আরো একটি ব্যাপার এর সাথে শুরু হয় নিজের আজান্তে। তা হলো নিজেই
অন্যদেরকে নানা শ্রেণীতে ফেলে দেয়ার প্রবনতা। আমার মনে আছে ছোট বেলায়, মানে ফোর ফাইভ ক্লাশেও পড়ার সময় আমার সবচাইতে বড় খেলার সাথি ছিল আমাদের বাসায় যে মেয়েটা আমার মাকে ঘরের কাজে সহায়তা করতো ওই মেয়েটা।
আমার বাবার শখ পূরন করতে ভর্তি হয়েছিলাম ইংরেজি বিভাগে। কি শিখেছি, কেন শিখেছি, কতটুকু শিখছি তা নিয়ে আমার প্রচুর সংশয় আছে । তবে চিটাগাং ইউনিভার্সিটির সেশন জটের কল্যাণে চার বছরের কোর্স ছয় বছরে শেষ করাতে ছাত্র অবস্থায়ই বেশ চাকরি টাকরি করার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।
আমার বড়মামা জীবনে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন। লিখেওছিলেন। মাত্র দুটো লাইন—
ওগো গন্ধ বিধুর ধূপ
তুমি কেন আজি চুপ।।
লিখে দেখাতে চেয়েছিলেন বাংলার রাসমোহন সাহাকে। সাহা স্যার থাততেন সোলায়ম্যান ম্যানসনে। আমাদের ছোটো নদীটির পাড়ে।