চাঁদের খবর নিতে হয় না। চাঁদ এসে নিজেই ঢুকে পড়ে মোবাইলে, ফেসবুকে, ই-মেইলে। ঈদ আসছে টের পাই তাই চাঁদ ওঠার অনেক আগে। তখনও রাস্তায়। আকাশটা যথেষ্ট ফরসা, তবু আজান শোনা যায়। ফোনে মেসেজ টোন শুনি, রিং টোন নেই। এই যে ইফতার হলো, রাস্তায় পড়ে আছি, তবু ফোনটা বাজে না। বাজবে না। আর বাজবে না। কখনই বাজবে না। সে তুমি রাত তিনটাতেই বাড়ি আসো, ইফতার পেরিয়ে যাক, তবু ফোন বাজবে না সেই পুরনো নাম্বার থেকে। এই হলো নিয়ম, এভাব
(১)
বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ?
জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে !
বলেন ?
সকাল সকালেই আসে রোজ, ঠিকমতো
ঘড়িটা ঘুরছে পুরনো নিয়মে, এই মেঘ
এই রোদ, এই ঝরে বৃষ্টি, সকলই নিয়মবদ্ধ
এই ভুলে যাওয়া, এই দৈনন্দিনতা সেও
নিয়ম, ব্যত্যয় ঘটে না কখনো, সবাই
মানিয়ে নেয়, মেনে নিতে হয়...
আমি বুঝিনা, আমি আসলেই বুঝি না
শুধু রোজনামচার খাতা হাতড়ালে দেখি
বিস্তর সাদা পাতা, বিরাট শূন্যতা
মাত্র ক’দিন হলো বাংলা টাইপ শিখেছি। তাই বানান ভুলগুলোকে মার্জনা করবেন আশা করি। তাছাড়া এইচ এস সি তে বাংলা প্রথম পত্রে ৩৫ পেয়েছিলাম……
আমার এই লেখাটি একদম নিজের মনের ভাবনা।কাউকে আঘাত করা বা কার মতামতকে ভুল প্রমান করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই। একবছর হল কানাডায় এসেছি। প্রায় প্রথমদিন থেকেই শুনছি কানাডা একটি multicultural country. সবার সব ধরণের স্বাতত্রকে খুব সন্মান করা হয় নাকি এই দেশে।খুবই আনন্দের সাথে দেখলাম আসল ঘটনা। হাসিহাসি মুখে ঠিকই সবরকমের বর্ণবিভেদই চলে এই দেশে।
১৯২৯ সালে এমন একটা ব্যাপার ঘটে ফলে সমগ্র আমেরিকার শিক্ষাবিদ মহলে বেশ একটা আলোড়ন ঘটে যায়। সকল শিক্ষাবিদগণ ব্যাপারটা দেখার জন্য ছুটে যান শিকাগোতে। কয়েক বছর আগে রবার্ট হ্যারিচসন নামে এক তরুণ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়িয়েছিলেন। এই সময় তিনি ওয়েটার, কাঠুরে, কাপড়ের ফেরিওয়ালা হিসেবেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপর মাত্র আট বছর পরে, তাঁকে-ই আমেরিকার চতুর্থ অর্থশালী বিশ্ববিদ্যালয়
বাবা-কে নিয়ে দীর্ঘ একটা লেখা লিখবার ভাবনা মাথায় ঘুরছে অনেক দিন থেকেই। ভেবেছিলাম হয়তো লিখবো কি করে বাবার কাঁধটাকে পেয়ারা গাছ বানাতাম, বাবার হাঁটুতে বসে সুরেলা কন্ঠের তিল-ওয়াত শুনতাম সেই অবুঝ সময় গুলিতে, আর বাবা গা-ভর্তি পাউডার দিয়ে ঘর থেকে বের হবার পর সেই পাউডারে স্লিম কাটতাম, কিংবা বাবার পাঞ্জাবির পকেট থেকে কিভাবে 'চিজ' আবিষ্কার করতাম । কিন্তু একবারও পেরে উঠছিনা। আমার দুর্বলতাটা কাটিয়ে উঠত
১.
কবরস্থান ,কাফনের কাপড় , কবর শব্দ গুলো আসলে কেমন ? অনেক ছোট বেলায় নানা-নানীর কবর দেখেছি , একটু বড় হয়ে দাদা-দাদী , আরেকটু বড় হয়ে মামা র কবর দেখেছি ।
আমি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে আগ্রহবোধ করি। এ কারণে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে আমি তাদের সাথে আলোচনা করি। আমার ল্যাবে একজন ইরানি ছাত্র এসেছে। নাম মোহাম্মদ। ঠিক আমার পিছে বসে, উল্টোদিকে ফিরে। সে অতিরিক্তরকমের ফিলোসফিক্যাল এবং অতিরিক্তরকম বাচাল। একবার শুরু করলে আর থামতে চায় না। প্রায়ই নৈর্ব্যক্তিক বাস্তবতা/অবজেক্টিভ রিয়েলিটি আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায়। আর যেকোন কথা থেকে ঘুরেফিরে নৈতিকতা, নৈর্ব্যক্তিক বাস্তবতা আর বিজ্ঞানের দর্শনে চলে যেতে পারে সে। একবার বাসা ভাড়া করা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চলে গিয়েছিলো নন-টিউরিং কম্পিউটেবল ফাংশনে। তাকে জায়নামাজ ভাঁজ করতে দেখেছি। আবার বিয়ার পার্টিতে বিয়ার খেতেও দেখেছি। এখন আবার খারাপ সুগারের উছিলায় বিয়ার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। বিশ্বাস নিয়ে সে দোদুল্যমান। আজ অজ্ঞেয়বাদী আস্তিক তো কাল অজ্ঞেয়বাদী নাস্তিক। শেষবার সে অজ্ঞেয়বাদী আস্তিকে স্থিত হয়েছে এবং বিশ্বাসের একটা সুসংবদ্ধ গাণিতিক সিস্টেম সে প্রস্তাব করেছে। এটার একটা ভালো দিক আর একটা খারাপ দিক। ভালোদিক এই যে সে স্বীকার করেছে যে সব শেষে এটা একটা বিশ্বাসই কেবল। খারাপ দিকটা এই যে এই সুসংবদ্ধ সিস্টেমে তার নৈতিকভাবে খুন করার সুযোগ রয়েছে।