কী বলছে? - কী বলছে বুঝি নাই, তুই শুইনা দেখ। আবোলতাবোল, একই কথা বারবার বলে, ঘুরায়া ফিরায়া বলে। - ছোটভাইরে পাঠাইছি তার রিঅ্যাকশন নিতে, মাইকেল জ্যাকসনের ঘুমান্তিসের পরের দিন। এমজে পপসম্রাট, তিনিও, সুতরাং সাম্মাদিক ফিচলামি।
কিছু একটা তো কৈছে? যা কৈছে দশবারো সেকেন্ড লাগায়া দে। - হ কৈছে, মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন যুগান্তকারী।
১.
প্রায় মাঝরাত।
জানালাটা খুলে বাইরে তাকালাম।
ব্যস্ত এ শহরটা এখনও যেন ঘুমায়নি।
অনেকদূরে রাস্তার আলো দেখতে পাচ্ছি।
ঝাপসা।
শুধু আলোর কতগুলো বৃত্ত।
হলুদ সবুজ লাল আর নীল।
যেগুলো স্থির সেগুলো স্ট্রীটল্যাম্প।
আর যেগুলো চলছে সেগুলো গাড়ির হেডলাইট।
রাত আমার ভালো লাগে।
ভালো না লাগে বলে এভাবে বললে মনে হয় ঠিক হবে, দিনের থেকে রাতটা ভালো যায়।
অন্ধকারে সবকিছু কেমন যেন ধোঁয়াটে হয়ে যায়।
প্রথম যুদ্ধ
বানু বিবি যখন নিতান্তই অপ্রাপ্তবয়স্কা কিশোরি, রুস্তম বেপারী তখন বয়:প্রাপ্ত যুবক। দুজনের বাড়ি ছিল নদীর দুই পাড়ে—পূর্বে বানু বিবি আর পশ্চিমে রুস্তম বেপারী। কিন্তু প্রকৃতির কী খেয়াল, নদীর ভাঙন বানু বিবিকেও নিয়ে এলো এই পাড়ে। ভাঙনের পর বানু বিবির বাবা নতুন ঘর তুললেন শরিয়তপুর এসে। পাশের বাড়িটিই ইকবাল আহমেদ বাচ্চুর—যেই বাড়িতেই দিনমজুরের কাজ করেন রুস্তম বেপারী। সেখানেই বানু-রুস্তমের প্রথম পরিচয়।
আমার স্ম্তিশক্তি ভয়াবহ রকমের খারাপ। গতকালকের ম্যাচে সাকিব কাকে কাকে বোল্ড করেছে কিংবা গত পরশুর খেলায় বার্সা শিবির ক'বার রিয়েলের জাল ছিন্নভিন্ন করেছে---এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও আমি মনে রাখতে পারি না। সেজন্যেই বোধোয় বন্ধুদের স্ম্তিশক্তি দেখে আমার বরাবরই দারুণ হিংসে হয়। এমনো বন্ধু আছে, যাদের কিনা ক্লাস ওয়ানের ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি পর্যন্ত মনে আছে। আমি দেখি আর অবাক হই। এতোটুকুন মগজের মধ্যে এতো এতো
সকালে ঘুম ভেঙ্গে প্রতিদিন শুনি 'আমরা করবো জয়’
হারমোনিয়ামের রিডে তার আঙুলগুলো কিছুটা ত্রস্ত-বিষাদমাখা
অনেকটা বহুদূর ঘুরে আসা
ঘোড়ার ক্ষুরধ্বনির মতো ক্লান্ত--নুয়েপড়া
সারাটাদিন গানের ভেতরকার করুণ সুরখানি আমাকে নাড়াতে থাকে
(আগের পর্বগুলো পড়া না হয়ে থাকলে একটু চোখ বুলিয়ে নিন)
কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন
কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন - ২
আমার কওমী মাদ্রাসায় পড়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের শোনাই। এইটা অবশ্য অনেক আগের কথা। কওমী মাদ্রাসায় ক'দিন পড়েই সেখানকার পাট চুকিয়ে ফেরত আসি স্কুলে। তখন অনেক ছোট ছিলাম বলে সবকিছু বুঝতে শিখিনি। কিন্তু এখন মনে হয় এইটা খুব মূল্যবান একটা অভিজ্ঞতা ছিল, যা আমাকে সমাজের একটা অংশকে ভালোভাবে চিনতে শিখিয়েছে। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে জঙ্গী বা অর্ধশিক্ষিত মানুষ না, কিছু অসহায়, নিগৃহীত মানুষকে দেখি।
[justify]তোমার মৃত্যুতে পৃথিবীর তিনভাগ জল হয়ে গেছে অশ্রু, রাজপথ হয়েছে সাহসী মিছিল। অদ্ভুত সুন্দর এই বাক্যটির রচয়িতা মোজাম্মেল বাবু। বাবু বুয়েটে পড়ত, কবিতা লিখত, রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সেসময় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না তেমন কোন ছাত্র আছে কি? “হঠাও এরশাদ বাঁচাও দেশ” শ্লোগান দেয়নি তেমন কুলাঙ্গার কাউকে খুঁজে বের করাটাই মুশকিল সে সময়য়ের জন্য। আমাকে যারা চেনে তারা নিশ্চয়ই আমার এই “কুলাঙ্গার” শব্দচয়নে একটু ভুরু কুঁচকাবেন। আসলে সেটা একটা সময় ছিলো আমাদের জন্য, নিজে বাঁচার আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থ সংরক্ষণের লড়াইয়ে যারা অংশ নেয়নি তাদের জোর গলায় কুলাঙ্গার বলাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না আমি।