৭২৯…
ভর্তি রোল নম্বর।
ভীড় ঠেলে স্কুলের গেট-এ লাগানো A-4 সাইজের কাগজটায় নিজের রোল টা খুজে পেতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। তেমনি বেগ পেতে হয়নি স্কুল থেকে পাশ করে বের হয়ে যেতে। বেগ যা পাওয়ার পাই এখন, যখন হাজারো ক্লাসমেটদের মাঝেও কাওকে বন্ধু করে নিতে লক্ষাধিক বার চিন্তা করে নিতে বাধ্য হই। মনের রসায়ন ভীষন কঠিন…!
চান্স পেয়েছি দেখতে পেয়ে যেমন এক দৌড়েই বাসায় চলে এসেছিলাম, তেমনি স্কুল টাও এক দৌ ...
ক্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজীতে চান্স পাওয়ার পর একটা কারনেই খুব খুশি ছিলাম যে আব্বুর স্বপ্ন আরেকবার ধুলিসাৎ করতে পারসি (প্রথম বারেরটা ডাক্তার হওয়ার ছিল)। কত করে বললাম, বি.ই.ওয়াই.এ ইউনিভার্সিটিতে ম্যাস কমিউনিকেশনে পড়ি। আমাকে বলে, কি!! সাংবাদিক হইতে চাও! চুপচাপ ক্র্যাকে বিজনেসে পড়। কিন্তু আব্বুর সেই আশা আর পূরণ হল না। তো যাই হোক, ক্র্যাকে ক্লাস শুরু হয়। যেয়ে দেখি লিটারেচারের সব ...
প্রতারিত আমরা প্রতিনিয়ত হচ্ছি, কেউবা ট্রেনের টিকেট কিনতে, কুরিয়ারে টাকা পাঠাতে, গ্রামীন ফোনের ভৌতিক ইন্টারনেট বিলে, সিএনজি ওলার হাতে, ঘরে-বাহিরে সব জায়গায়। আমরা মুখ বুঝে সহ্য করি, ভদ্রতার খাতিরে অনেক কিছুই মাফ করে দেই, ঝগড়া বা ঝামেলায় যেতে চাইনা। আমিও নির্বিরোধী মানুষ, আমার শরীরে কেউ পাড়া না দেয়া পর্যন্ত কারো সাথে লাগি না। আর যদি লাগি তবে সেক্ষেত্রে আমার চেয়ে বেশী লাগা মানুষ খুব ...
ভাবলাম কিছু ফ্ল্যাশ ফিকশন লিখি। চেষ্টা করতে তো ক্ষতি নাই। এক্ষণে সুচিপত্র দেই : (১) টাইম অ্যান্ড মানিরে সিঙ্গুলার ধর্তে হবে (২) ফিরত (৩) ডিকশনারি এবং (৪) রাজনৈতিক যানজটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। চারোটাই ভিতরে পাইবেন। লেখক শুভাশীষের থেকে উত্তেজনা পাইলাম। তার ঋণ স্বীকার যাই।
১/ টাইম অ্যান্ড মানিরে সিঙ্গুলার ধর্তে হবে
শাহবাগের মোড় সৎরো মিনিট আটকা।
টাইড মে গো অ্যাহেড।
টাইম অ্যান্ড মানি ...
সৃষ্টি,তুই আমার জীবনের প্রথম সত্যিকারের বন্ধু, হৃদপিণ্ডের খুব কাছাকাছি কী করে একটা মানুষকে জায়গা করে দিতে হয়, তোর কাছেই প্রথম শেখা । আমাদের দুজনের ভীষণ গাঢ় বন্ধুত্বে কবে কী করে আরেকটা নাম যোগ হয়ে গেল - তুই, আমি, ছন্দা - আমরা কেউ জানি না ।
মনে পড়ে শৈশবের উচ্ছাস ভরা দিনগুলো, কী ভয়ানক দুষ্টু হয়ে উঠছিলাম আমরা! পাল্লা দিয়ে পড়াশোনা, খেলাধুলা, গোয়েন্দাগিরি আর আজগুবি সব স্বপ্নবোনা । তিনজন ত ...
ভোলাগঞ্জের রাস্তা পুরোটাই ঘুমের উপর দিয়ে গেল। রাস্তায় দু'একবার ঘুম ভেঙেছে যদিও তা রাস্তার ঝাকুনিতে। ঘুমের ব্যাপারে আমার ভালই সুনাম আছে। যে কোনো অবস্থায় যে কোনো স্থানে আমি ঘুমোতে পারি। নৌকার ইঞ্জিনের পাশে ঘুমিয়ে আমি নির্দ্বিধায় পাড়ি দিতে পারি মাইলের পর মাইল।
ঘুম পুরোপুরি ভাঙল ভোলাগঞ্জ পৌঁছার মিনিট পাঁচেক আগে। তাও আমাদের সহযাত্রি ফখরুল ভাইয়ের চিৎকারে। চোখ মেলতেই দেখলাম সা ...
আমার সৃজনশীল সাহিত্যে(!) হাতেখড়ি গুঁড়াকালে, স্কুলে যাওয়ার আগেই। বর্ণপরিচয়ের পর অক্ষরের পিঠে অক্ষর বসিয়ে শব্দ গড়তে শেখার পরই আমার রুলটানা খাতাটায় লিখেছিলাম বুনাব্দের(বুনো+অব্দ=বুনাব্দ) প্রথম ছড়া।
মেঘ ডাকে গুড়গুড়
পায়রা যায় অনেকদূর
মেঘের গুড়গুড়ানির সাথে পায়রার ওড়াউড়ির কোনো প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও এটি যে একটি অমর সাহিত্যকর্ম তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এরপর আর কী কী লিখেছি মনে নে ...
পাশ করার পরেই একটা চাকরি পেয়ে গেছিলাম। খুব বড় কোনো চাকরি নয়। তবে ও চাকরি করতে থাকলে নিজেকে মধ্যবিত্ত বলা যেত হয়তো। সাত-সকালে উঠেই নাকে মুখে কিছু দিয়ে একটা ঝোলাব্যাগ কাধে বেরিয়ে পড়তাম। তারপর কিছুটা হাটা, বাসের হ্যান্ডেলে ঝোলাঝুলি, রিকশা, তারপর অফিস।
আমাদের বাড়ির পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিলো। সেখানে দুটো নারিকেল গাছ, কিছু জঞ্জাল, একটা কবর, আর বেশ কিছু মানুষ। সেই মানুষদের যে বাড়ি, ...
একটি বিশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে আমি গত কয়েক বছর ধরেই নববর্ষে কোন না কোন গল্প লিখে আমার ফেসবুকের নোটে দিয়ে দেই। ভাবটা এমন যে বিশেষ দিবসে কোন পত্রিকা থেকে সম্পাদক সাহেব লেখা চাইছে আর আমি বিচক্ষণ লেখকের মত কিছু একটা লিখে দিচ্ছি।
আসলে প্রতিবারই এমন কিছু একটা ঘটে যে আমি নিজের অজান্তেই সেই কাহিনীটা সবার সাথে শেয়ার করার জন্যে লিখে ফেলি। এইবার তেমন কোন বিশেষ ঘটনা ঘটেনি, যেটা তখনই লিখে ফেলতে হবে। তবুও লিখেছিলাম এই জন্য যাতে ট্র্যাডিশনটা না ভাঙ্গে!
তেমন সিরিয়াস টাইপ কোন লেখা না। পহেলা বৈশাখের দিন সারাদিন যা যা করেছি তারই কিছু অংশ লিখেছি।
১লা বৈশাখ ১৪১৭।।
লেখিকা হওয়ার কোন যোগ্যতাই আমার নেই। কারন, আমি হলাম বাদশাহী আলসেখানার আলসেদের মত, লিখতে আমার মহা আলিস্যে। আর যদিও বা কিছু ছোট ছোট লেখা লিখে ফেলি মাঝে মাঝে, সেগুলো জনসাধারণের পাঠের উপযুক্ত মনে হয় না আমার। তাতে থাকে আমার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতির ছোঁয়া। পানিতে নেমে এখনও কাপড় ভেজার ভয় আমার কাটেনি। কেন যেন, ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলোকে আমার মনের কুঠুরিতে সযত্নে লালিত মুহূর্ত করেই ...