হঠাত্ বালিশ নিয়ে এতো গবেষণা কেন ? এর পিছনে একটা গল্প আছে ।
মাস দেড়েক আগে আমার ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল বিধায় সাত দিন যাবত্ আমাদের সিসিমপুর গোষ্ঠীর দেখা সাক্ষাত্ হয় না । ইকড়ি, শিকু, হালুমকে খুব মিস করছি । অসম্ভব খারাপ লাগছে ইকড়ির জন্য (ইকড়ি আমার একমাত্র বন্ধু, সবচাইতে কাছের জন । আমাদের বন্ধুত্বের কাছে গিলগামেশ আর এনকিদুর বন...
[justify]
তিনি তল্লাবাগেই থাকতেন তখন। আমারও ওই পাড়ায় নিয়মিত আনাগোনা, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বসে আছি, ক্লাস শুরুর নাম নেই, পুরো বেকার। সারাদিন আড্ডা চলে, সুনীলের ভাষায় বন্ধুপ্রীতি প্রায় সমকামীদের মতই। গলির মাথায় সিগারেট কিনতে গেলে মাঝে মাঝে দেখা হয় তাঁর সাথে, কখনো কখনো তিনি পরিচিত হাসিও দেন, মনে হয় পাড়ার একজন বখাটে যুবকই ভাবেন আমাকে। আর আমিও তাঁকে বলতে পারিনি ...
তখন মাত্র ক্লাস টেনে উঠেছি। স্কুলের সবচেয়ে সিনিয়র হিসেবে একটু গরম গরম ভাব দেখাই। যেকোন অনুষ্ঠান আয়োজনের একচ্ছত্র এবং অলিখিত ভার আমাদের উপর। কোন স্যারের বিদায় অনুষ্ঠান, ঈদে মিলাদুন্নবীর মিলাদ মাহফিল কিংবা রবীন্দ্র-নজরুল স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠান সব দায়িত্ব আমাদের। স্যারেরাও আমাদের উপর ভার দিয়ে ঝামেলা মুক্ত থাকতে চান। আমরা মাইক ভাড়া করা, ডেকোরেটর ভাড়া করা, মানপত্রের অর্ডার দেয়...
===নিশা===
"সে যেদিন আমার বুকে মুখ গুঁজিয়া ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিয়াছিল, সেদিনের কথা আমি ভুলি নাই ।...সেই অন্ধকার গভীর রাত্রে সে আর আমি একা ।...তাহার অশ্রুজলে আমার বুক ভাসিয়া যাইতেছে ।.."
"...সেদিন অন্ধকার নয়, সেদিন জ্যোত্স্নায় পৃথিবী ভাসিয়া যাইতেছে । আমাকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া যে উন্মাদনা সে প্রকাশ করিয়াছিল, তাহারও ভাষা নাই ।..."
"...কোনদিন তাহাকে কিছু বলি নাই । অথচ তাহার নিত্যসঙ্গী ছিলাম ...
(বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষিতে সহপাঠি সোনিয়া ওয়াল্টার’কে নিয়ে…)
ইউনিভার্সিটির একটা গ্রুপের আয়োজিত ককটেইল পার্টিতে আমি আর আমার বন্ধুরা প্রায় আধা খোয়া গেছি ঘোরে। সন্ধ্যার দিকটায় কালো একটা সূর্য উঠেছিল আমার ছায়ার সাথে ষাট ডিগ্রী এঙ্গেলে, বাতাসের সাথে আড়াআড়ি দক্ষিণে, হাইপোথেটিকালি। ক্রমশ সেই গলিত অন্ধকারের তীব্র রোদে গুটিয়ে গেলো নগরের সব ইলেকট্রিক আলোক উৎস। সে ছায়া পোহাতে আমরা বস...
২০০২ সালের আজকের এই দিনে, স্বাপ্নিক বুয়েট '৯৯, হারিয়েছিল তাদেরই সহপাঠী কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্রী সাবেকুননাহার সনিকে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুকির নেতৃত্বে তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদলের একদল সন্ত্রাসীর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস,এম হলের টগরের নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসীর বন্দুকযুদ্ধে ক্রসফায়ারে পরে মৃত্যুবরণ করে সনি।
সনি হত্যার বিচার এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত...
সবার, সবকিছুর একটা শুরু থাকে।
আবার শুরুরও একটা হয়তো শুরু থাকে অনেক ক্ষেত্রে।
জন্মের শুরুর শুরু, মৃত্যুর শুরুর শুরু, এইভাবে চলছেই...ধুত, আসলে আমার এই গল্পের, হ্যাঁ, গল্পের মতোই মনে হতে পারে অনেক জায়গায়, শুরুরও একটা প্রারম্ভ আছে, দীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর মতো।
ধরা যাক, আমি একটা মানুষ বা তার কাছাকাছি জায়গায় ছিলাম অনেকটা...এই...২০০৬ সালের শুরুতে, মানে তখন অনুভূতিগুলো অনেকটা ওরকম...
দীর্ঘদিনের লালিত বাসনা সত্যি সত্যি যে বাস্তবায়িত হইবে ইহা আমি কখনও চিন্তা করিতে পারি নাই। আমি জাপানের নাম বহুদিন হইতেই শুনিয়া আসিতেছি। এইটি একটি উন্নত দেশ এবং টোকিও একটি উন্নত শহর। আমি সেই শহরেই আজ অবস্থান করিতেছি। আজ বিশ্বের বহুদেশের জনসাধারণ এবং ফুটবল তারকারও এই টোকিও শহরে শুধু অবস্থান করিতেছে না, তাহারা ফেরত যাওয়ার সময়ে কি কি ক্রয় করিয়া দেশে যাইবে সেই প্রস্তুতিও লই...
সচলে এই আমার প্রথম পোস্ট। নির্দিষ্ট কোন প্ল্যানিং ছিল না; সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম...রাত্রি জাগরণের মুসাফির-মুসাফির ভাব আর চায়ের তৃষ্ণা,- দুটোই ছিল চোখেমুখে। মুজগুন্নী মহাসড়কে অনেক শান্তিপ্রিয় মানুষ,- প্রৌঢ়, বৃদ্ধ, বোরখা-আটকা মহিলা এমনকি কিশোরীরা- ঘোরলাগা একটা শান্তিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে এইসব দেখতে দেখতে আমারো একটা পরিব্রাজক-পরিব্রাজক অনুভূতি হচ্ছিল। মুজগুন্নী পার্কের উত্তরপা...
আমি দেশ ছাড়ি ১৯৯৬ সালের অগাস্ট মাসে। দিনটাও মনে আছে, অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখ। গুমোট একটা গরম ছিল সেই সকালে। আকাশটাও অনেক মেঘলা ছিল, সেই রঙের সাথে মিল রেখে আমার মনটাও ছিল বেশ ভারি। বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু, কিন্তু সেই সকালের প্রবল বর্ষণটা আর দেখা হয়নি, ম্যাকডোনাল্ড ডগলাসের বিমানটা বৃষ্টির আগেই আমাকে একটানে নিয়ে গেছে অনেক দূরে। ছিল দুটো স্যুটকেস, তাতে বোঝাই বঙ্গবাজারের বেঢপ কাপড়-চোপড় ...