আব্দুর রহমান
( আমার আসলে সবাইকেই কোনো না কোনো কারণে ভালো লাগে, ভয়ে বলতে পারি না , কে কি মনে করে না করে। আজ তাই ফাঁকতালে বলে যাই। )
ওই মেয়েটার হাসি ভালো
এই মেয়েটির কান্না,
সেই মেয়েটি দারুণ নাচে
তোমার ভালো রান্না।
ওই মেয়েটা চালাক ভীষণ,
তুমি একটু ন্যাকা,
আমার পাশে কেউ থাকে নি
আজো আমি একা।
বেঁচে আছি, সুখেই আছি
কেউ বাসে নি ভালো
প্রেমের শালা খেতা পুড়ি
পারলে পানি ঢালো।
বইয়ের দোকানকে কেন লাইব্রেরি বলে এই প্রশ্নের জবাব আজও পাইনি। এরকম না পাওয়া অনেক প্রশ্নের “এক্স-ফাইল” তৈরি আছে মনে ভেতর। উত্তর পাব এই আশাও রাখি না। আজকের গল্প ফার্মগেটের একটি “লাইব্রেরিকে” নিয়ে। আমাদের তেজগাঁর বাসা থেকে দশ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে ফার্মগেট। বড় ব্যস্ত এই জায়গা। বাসগুলো রাস্তা আটকে লোক উঠাচ্ছে আর নামাচ্ছে। পাশের ফুটপাথে বিক্রেতারা হাজারো পণ্যের পসরা সাজিয়ে হাঁক...
[justify]
আমার নানাভাই যৌবনে বেশ রাশভারি মানুষ ছিলেন। মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখের পুরোনো ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আরেকটা ব্যাপার বোঝা যায়, তিনি ছিলেন দুর্দান্ত সুর্দশন!
কথিত আছে, কেবল রাজপুত্রের মত পাত্রের দিকে তাকিয়েই ধনাঢ্য বাবা তাঁর দশ ছেলেমেয়ের মধ্যে সবচেয়ে আদরের মেয়েটিকে ছাপোষা চাকুরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কাজটা যে মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত ছিলোনা এই নিয়ে নানুমণি প্রায়ই প্রবল হাহুতাশ করেন।
আমার একটা আপেলগাছ ছিলো। তার ডানে-বামে আরো দুটো গাছ ছিলো। বাগানজুড়ে ছিলো আরো শখানেক। কিন্তু ঐ গাছটা শুধু আমারই ছিলো। আমাদের ছোট্ট উঠোনের পাড় ঘেঁষে একটু ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকত। বরফচাপা শীতের শেষে তার ডালে দোলনা ঝুলিয়ে দিত আব্বু। মেহদি একবার গাছে উঠে চুপিসারে দড়ি কেটে দিয়েছিলো। আর আমি ধপাস করে মাটিতে।
মেহদিটা ভীষণ দুষ্ট ছিলো। একবার আপেল ছুঁড়ে মেরেছিলো আমার দিকে। সেটা সোজা এসে লেগে ...
[justify]
১
খরগোশ আর কুকুরের ভ্রাতৃত্ব নিয়ে এই শহর, ব্রোসার্ড, সারা সকাল সমগ্র দুপুর ভিজতেছিলো ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি ও গুচ্ছ তুষারে। আর বিষাদপ্রত্ন নিয়ে সারি সারি ফিরছিলো মানুষদের গাড়ি চটক বাড়ি বাড়ি।
আমি চশমা খুলে রেখে-ও দৃশ্যায়নের আন্তরিকতায় চপল হয়ে উঠি। প্রগলভ কণ্ঠে ডাকে কাঁথা-লেপ-বিছানা, 'কালরাতের না ঘুমানো ঘুমটুকু বুঝে নাও।'
আবহাওয়া বার্তায় মোতাবেক জানতে পারি বিকেলে রোদের ক্ষমত...
“আব্বু উইঠা পড়, সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে ।”
“হুমমম...”
“আব্বু ক্লাস মিস কইরা ফেলবা।”
“হুমমম...”
“উঠে পড়... ”।
গাঁইগুঁই করতে করতে আমি বাথরুমে যাই। বেসিনের পাশেই রাখা গরম পানির কেতলি। সকালে ঠান্ডা পানি লাগলে আমার আবার হাঁচি হয়। বাথরুম টাথরুম সেরে খাওয়ার টেবিলে গেলেই নাস্তা রেডি। ভাবছেন আমি স্কুলে যাচ্ছি? উহুঁ হলো না, আমি রীতিমত দামড়া ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। সকালে যুদ্ধ করে আমাকে উঠাচ...
মে আই হেল্প ইউ?
[justify]
পাব থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে তবে আমাদের ইউনিভার্সিটি। আর তার আবার খানিকটা ভেতরে আমাদের ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং। অন্যরা যে যার বাসার পথে যাচ্ছে, কিন্তু আমি আর আমির মাসুদ কেবল ডিপার্টমেন্টের দিকে যাচ্ছি।
আমির মাসুদ ইরান থেকে আগত। উত্তর আমেরিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত। অত্যন্ত অমায়িক এই মানুষটি নিদারুণ যুক্তিবাদী। বিশ্বাসে অজ্ঞেয়বাদী। তার ন...
ছোটবেলা থেকেই বইয়ের মধ্যে ভালো লাগতো বাংলা (গদ্য/পদ্যের) বই আর যেকোন বাংলা রচনার বই। কারো বাসায় বেড়াতে গেলে এমন কি গ্রামের বাড়িতে গেলেও যেকোন ক্লাশের বই হাতের কাছে পেলেই আমি উল্টিয়ে দেখতাম, হয়তো দুয়েকটা গল্প বা কবিতা পড়েও ফেলতাম। তেমনি ভালো লাগতো রচনা বই। বিশেষ করে 'আমার জীবনের লক্ষ্য' টাইপের রচনা আর ভ্রমণ জাতীয় রচনা। রচনার ক্ষেত্রে একাধিক লেখকের লেখা পড়ার উদ্দেশ্য ...
আমাদের ইশকুলে যাবেন? আচ্ছা আচ্ছা বলে দিচ্ছি কিভাবে যেতে হবে। ফার্মগেট থেকে ঢাকা কলেজে যাওয়ার টেম্পো ধরবেন, এটাকে আমরা হেলিকপ্টার বলি। উঠলেই বুঝবেন নামকরণ কতখানি সার্থক। ভট ভট শব্দে কানের পোকা আর ঝাঁকানিতে বাতের ব্যথার অনেকখানি উপশম হতে পারে। যাওয়ার পথটা কিন্তু দারুন, একদম "সিনিক"। হেলিকপ্টার আপনাকে গ্রীন রোড ধরে সোজা কাঁঠাল বাগান পার করে উড়িয়ে নিয়ে যাবে গ্রীন কর্নারের সামনে ...