।।এক
ছোটবেলায় দুনিয়ার কিছু বুঝে ওঠার আগে থেকেই বিদেশ যাওয়ার খুব শখ ছিল। কিন্তু বিদেশ কী জিনিস সেটাই ঠিকমত বুঝতাম না! বিভিন্ন সিনেমা আর পরিচিতদের গল্পের সুবাদে দার্জিলিং, নেপাল আর কাশ্মীর ছিল আমার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নের চূড়ান্ত সীমানা। একটু বড় হওয়ার পর সেই সীমানা বেড়ে গেল বিলাত-লন্ডন পর্যন্ত। বইয়ের পোকা হওয়ার পর- উত্তর মেরু, ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, স্ক্যান্ডিন...
প্লেনে উঠে যাই চোখ মুছতে মুছতে, আর দেখি অসহায়ের মত আমার বাবা মা তাকিয়ে আছেন আর হাত নাড়ছেন। এরপরে প্লেনে উঠে আবার নিজের স্বভাবসুলভ কাঠিন্য ফিরে পাই, একটু লজ্জার হাসি হেসে তাকাই আমার স্ত্রী আর শ্যালিকার দিকে। তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, কারন দুজনেই এমন ভাব করল যেন, আসলে এই ঘটনাটা জীবনে ঘটেনি। আমিও ভাব ধরে জিজ্ঞেস করি আমার শ্যালিকাকে, টিভি কিভাবে চালায়, টাচ স্ক্রিন আগে কখনো দেখিন...
সন্ধ্যার আকাশ জুড়ে পাষাণ তারাদের মেলা দেখতে দেখতে একই আকাশের নীচে কোথায়, কোন দুরতম জানলায় অস্পষ্ট মুখের আদল বদলাতে বদলাতে কার চেহারায় স্থির, তার হদিস এই জন্মে আর নাই জানা হলেও, এইটুকু হাতড়ে হাতড়ে পাওয়াই যায়, সাইকেলের বয়স ছিলো ষোলো, দুই বেণীর তখন সবে মাত্র তেরো...মাথা পাগল হাওয়ায় হাওয়ায় সেই মাফলার উড়ে যাবার কিছুদিন আগে শেষবারের মতো গ্রামে এসেছিলো দুরদেশী যাত্রাদল...দুই বেণীর রজঃপা...
ক.
প্রতিটি ভ্রমণ শেষে অজ্ঞতা তীব্রতর হয়--দেখি, ভ্রমণস্পৃহা আরো তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে জানালার গ্রিল
আর এই ব্যকরণহীন ভোরে আমার হাত ও পা তীব্রতর হয়ে বারবার ছুটে যাচ্ছে জানালার গ্রিলের দিকে।
খ.
যখন ঝড়ের পর ঝড় এসে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়--আর আমরা স্বপ্নের ভেতর দিয়ে ডুবতে-ডুবতে পেরিয়ে যাচ্ছি মাঠের পর মাঠ--ঠিক তখন
এই বৃত্তাকার পরিক্রমায় এক-একটি ঝড় বারবার বদলে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রিয়াবো...
বাংলা লিখতে এমনই অভ্যস্থ হয়ে গেল সে যে লেকচার নোটগুলি পর্যন্ত ঘ্যাচম্যাচ করে বাংলায় লিখে যায়। আমাকে বল্লো, "নোট নেয়া ছাড়া আর কিছুই তো হাতে লিখি না, সব তো টাইপ করি। নোট বাংলায় না নিলে বাংলা লেখার চর্চা কেমন করে হবে?" কথা ঠিক। এ লেখার শিরোনামটা এরকমই একটা লেকচার-নোট থেকে নেয়া, পুরানি কাগজপত্র ঘাটতে ঘাটতে পাওয়া।
আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের অতি চ...
পেটের উপর ধুপ্ করে চরে বসে আমার ভাতিজা সামি, আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাতিজা। তারপরে মনে পড়ে যায়, আজকে আমার শেষ দিন ঢাকায়, আজকে রাত ১০টায় ফ্লাইট। ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে নিউ ইয়র্ক। আর ২ দিনের মাঝে না গেলে আমার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। মুখ আর মনের মাঝে তিক্ততা নিয়ে উঠে বসি। সামিকে জড়িয়ে ধরি, সকাল বেলাতেই চোখ ভিজে আসে সামির কথা ভেবে, আবার কবে দেখব সামিকে, জানি না। কিন্তু বাসায় এমনিতেই সবাই কাঁদুনে ...
যারা এখনও ব্যপারটা জানেন না, তাদের জন্য মোটকুদের দেশে -১ পড়ার অনুরোধ থাকল। আর বাকিরাতো জেনেই গেছেন যে আমি তল্পি তল্পা, ঘটি, বদনা, রাধুনির মসলা, আমের আচার, বঙ্গর কাপড় চোপড় আর আমার সাধের ভুড়িখানা নিয়ে বউ এর পিছুপিছু মোটুদেশে চলে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে যেই অধ্যাপকের সাথে যোগাযোগ করে এসেছিলাম, চলে আসার দুদিন পরে ভাবলাম বসরে সালাম দিয়ে আসি। এবারই প্রথম মুখোমুখি সাক্...
আমার যখন দেড় বছর বয়স তখন একজন ভদ্রমহিলা তার ছ'বছরের মেয়ের হাত ধরে আমাদের মফস্বল শহরের টিনের-চালা বাংলো বাড়িতে কাজ করতে এলেন। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির বউ ছিলেন, বাচ্চা হবার সময় শহরে বাবার কাছে এসেছিলেন, তার স্বামী নিচ্ছি-নেব করে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিলেন না। ছোটো মেয়েটাকে নিয়ে কাজ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জীবনে চলে এলেন। রাতারাতি 'আদরে বাঁদর' করার মতো দু'টা মানুষ পেয়ে গেলাম আমি! আমার যত আব্দার ...
স্কুলে 'সপ্তর্ষি' অর্থাত্ আমরা সাত বিচ্ছু ছিলাম অতি কুখ্যাত ! পড়াশুনোয় মন্দ ছিলাম না , এক থেকে দশেই আটকে থাকতো সবার রোল নাম্বার...সেকারনেই অনেকবার মরতে মরতেও বেঁচে গেছি | ক্লাস নাইনে তখন , সময়টা ২০০১...টিচাররাও মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে --চলেই তো যাচ্ছে মেয়েগুলো ; আর তো মাত্র কটা দিন !! মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার; জিনিষটার কিছুই বুঝি না তবু ফাঁক পেলেই ঘাঁটাঘাঁটি করি .....
[justify]
আমার জীবনের লক্ষ্য কী? ছোটবেলায় রচনা আসলে লিখতাম ডাক্তার বা প্রকৌশলী। কোনদিনই কিন্তু লিখিনি ভালোভাবে থাকতে চাই।
ঐ বয়সে মনে মনে সাধ ছিল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। যদিও ভালো করে বুঝতামই না কাজটা কি। ক্যাডেট কলেজে পড়লাম ৬ বছর। ঐ সময়টার মাঝপথে এসে লক্ষ্য পরিবর্তন হল। চোখে স্বপ্ন সেনাবাহিনীতে যাব, দেশের সেবা করব। এসএসসি পরীক্ষার পর আবার লক্ষ্যচ্যুত হলাম।
আমাদের সময়ে কম্পিউট...