তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবারই কোনও ইচ্ছা কখনও আমার ছিল না। সারাজীবন ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছি, উচ্চ মাধ্যমিকে খারাপ রেজাল্টের কারণে সে স্বপ্ন যখন চুরমার হয়ে গেল তখন বাবার জোরাজুরিতে পরীক্ষা দিতে গেলাম জাবিতে। ঢাবির পরীক্ষার আরও পরে ছিল। আমার ইচ্ছা ছিল বিজ্ঞানের কোনও বিষয়ে পড়ার, ফার্মাসী/বায়োকেমিস্ট্রি ছিল প্রথম পছন্দ। বিবিএর কথা মাথাতেও আনিনাই কখনও। ফর্ম প...
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দেশব্যাপী বিশাল এক ইভেন্টের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা আমরা খেটে মরছি। নাওয়া নাই খাওয়া নাই অবস্থা। নারী নিয়া আমার অনেক মাথা ব্যাথা থাকলেও নারী দিবস নিয়া কোনো মাথাব্যাথা নাই। কিন্তু এইখানে অর্থকরীর ব্যাপার আছে, তাই এই খাটাখাটনি।
আমাদের এক বন্ধু আছেন। বড় ভাইয়ের মতো। তোজো ভাই। আমরা ডাকি মুশকিল আছান নামে। এই দেশে তার জন্য অসম্ভব কিছু নাই...
ডেলাওয়ারে আসার পর পর যে এখানে কোন বাঙালীকে চিনতাম না, তা মনে কয় কয়েক লাখবার সচলায়তনে বলে ফেলেছি। প্রায় এক বছরের মাথায় আমার শ্বশুর আসেন আমার শালীর সমাবর্তনে (ধুগোদার আবার দাঁতের ঝিলিক দেখলাম)। তিনি এসে তার এক বন্ধুর বন্ধু এর খোঁজ বের করেন ডেলাওয়ারে। তাঁর মাধ্যমে পরিচয় হয় আরো প্রায় ৩০টা বাঙালী পরিবারের সাথে। এত বাঙালী পরিবারের সাথে পরিচিত হয়ে আমি আর আমার স্ত্রীতো আন...
[justify]
আর টেনশন ভাল্লাগেনা। কোন ক্যারিয়ারপাগলী যুবতীকে বিয়ে করে গৃহক হয়ে যাবো মনস্থির করলাম।
গৃহক = গৃহিণীর ম্যাসকুলিন সংস্করণ, পুরোদস্তুর আবাসিক স্বামী। সকালে উঠে বউকে নাস্তা বানায় দিবো। বউ অফিসে চলে গেলে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে ঝিমাবো। তারপর উঠে একটু এক্সারসাইজ করে রান্নাবান্না কোটাবাছা করবো। এর ফাঁকে ফাঁকে কিছুক্ষণ ফোনে আলাপ্সালাপ বন্ধুবান্ধবআত্মীয়স্বজনদের সাথে। শ্বশুরশা...
আরো একটি বছর বেঁচে থাকলাম পৃথিবীতে। এই সুজলা সুফলা সুন্দর পৃথিবী আমাকে আরো একটি বছর উপভোগ করার সুযোগ দিল। আমি তাকে কি দিলাম সে কথা নিতান্তই অবান্তর। শৈবাল আবার শিশিরকে কি দিবে? অনেক অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। জন্মদিন মনে হলেই আজকাল মনে হয় সায়াহ্নের দিকে আরো এক কদম এগোনো হলো আমার। আজ এই গোধূলি বেলায় পিছনে তাকাতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। ভাবতে ইচ্ছে করে স্কুলে - কলেজে কিংবা ইউনিভার্স...
আমাদের গল্পের নায়কের নাম ধরে নেই আসলাম। মেডিক্যাল কলেজ থেকে যখন পাশ করে বের হলো , তখন ১৯৭৭ সাল । দুচোখে তার স্বমানধন্য চিকিৎসক হবার স্বপ্ন ,একমাত্র ছেলে হওয়াতে পরিবারের সব দায়িত্ব কাধে , বয়স্কা মায়ের অনেক আশা তাকে ঘিরে । বাবাকে খুব ছোট থাকতে হারিয়েছে , তার পর নানা অভাব অনটনে ভীষন কষ্টে পড়াশুনা করে এতদুর এসেছে ।ব্যর্থ হবার ভয় তাকে প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায়, রাতে দু:স্বপ্ন ...
একটু ফেসবুক আর আমি
না, এটা হৈমন্তী শুক্লার গানের কোন নতুন রিমিক্স ভার্সন নয়। আমার সুদীর্ঘ প্রায় দুই বছর ফেসবুক জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতি কথা। আমি তখন অনেকদিন গড়িমসি এবং বিশ্রাম নেয়ার পর সবে আবার চাকুরীতে ঢুকেছি। গায়ে কাজ গছে না, সারাক্ষন বিরক্ত, ক্লান্ত। মেয়ের স্কুল, অফিস এবং সংসার সব মিলিয়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আর অফিস দেখলেও মরে যেতে ইচ্ছে করে। কাহা ফিলিপস এর শান শওকত আর কিধার এ...
লেভেল ওয়ান- টার্ম ওয়ান
আরি!! মেয়েটাতো জোস ! অন্যরকম !
এরকম তো দেখিনাই আগে !
একি! সামনে গেলে বুক ধর-ফর করে ক্যান ?
কথা বলতে গেলে হাঁটু কাঁপে...
শিট ম্যান!! লক্ষন তো ভালো না!
প্রেমে পড়লাম নাকি? আচ্ছা ওয়েট করে দেখিতো...
মিডটার্ম আসলো- গেল...
আরে ধ্যাত! মেয়েটাতো ব্যাপক পেইন দিচ্ছে!
মাথার ভেতর খালি এক জিনিসই ঘোরে ক্যান এখন, মাথার
20% ram দেখি ভালোবাসা.exe ই খায়া ফেলল; ঘিলুর
টাস্ক ম্যানেজারে অলওয়েজ রান...
ডাকটিকিট অথবা কয়েন সংগ্রহ করেননি ছোটবেলায় এমন কাউকে আদৌ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবশ্য আজকালকার জমানার কথা আলাদা, কম্পিউটার - কনসোল - টিভির ব্যাপক দৌরাত্বে এইসব হবিগুলো আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। আগে এত কিছু ছিলো না বলেই মনে হয় ডাকটিকিট জমানো কী কয়েন সংগ্রহকেই ব্যাপক আকর্ষণীয় মনে হতো। অবশ্য সেটা ভেবে দুঃখ করেই বা লাভ কী - বিটিভিতে আলিফ লায়লা, সিন্দবাদ দেখতাম কত আগ্রহ নিয়ে; ...