সম্ভবত ১৯৯২ সালের কথা আমি তখন স্কুলে পড়ি। সেইবার আমাদের বিন্দুবাসিনী স্কুল আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগীতার ফাইনালে উঠেছে ।সুতরাং দল বেঁধে সবাই গিয়েছি ক্লাশ শেষ করে জেলা সদরের মাঠে খেলা দেখতে। উত্তেজনাপূর্ণ খেলা গোলশুন্য ভাবে প্রথমার্ধ, দ্বিতীয়ার্ধ, অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে অবশেষে গড়াল টাইব্রেকারে। সবাইকে অবাক করে দিকে তাতেও ফলাফল সমতাই রয়ে গেল। পরে বাধ্য হয়ে দুই স্কুল...
‘ব্লগ’ জিনিসটার সাথে পরিচিত হই সে খুব একটা আগের কথা না। কয়েকটা সোসাল ইউটিলিটির সাথে পরিচয় ছিল, সে সূত্রেই এ সম্পর্কে জানা। পাশের বাসায় (ঢা.বি.)আইন বিভাগে পড়ুয়া এক ভাই নাকি নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাদিন ব্লগ লিখে, ব্লগে কমেন্টস্ দেয়। তারপর থেকে এ বিষয়ে আমার এক ধরনের অতি উৎসাহ দেখা দেয়। পরিচিত আরেক বড় ভাই পূর্বেই সচলায়তনসহ আরও কয়েকটি ব্লগ সাইট এর সাথে পাকাপাকিভাবে যুক্ত ছিল। একদা তার কা...
দশম শ্রেণীতে পড়াকালে-
বার্ষিক পরীক্ষায় রচনা আসে ‘একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা’
শুরুটা যেমনই হোক, শেষের দিকের কোথাও হয়তো লিখেছিলাম
‘পাড় ভাঙ্গার জন্য ঢেউই দায়ী।’
কিন্তু না! শিক্ষকমশাই খুবই অসন্তুষ্ট
সোজা-সাপ্টা লাল অক্ষরে লিখে দিলেন ‘অপ্রাসঙ্গিক’।
কুড়ি নম্বরের মধ্যে পেলাম সাত!
আমি জানি, আমার চাওয়ায় সর্বদা রয়েছে জলের সম্মতি
সম্মতি না ছাঁই! মা বললেন, “কিরে! বাংলার পন্ডিত, কম নম্বর ...
গেল কোরবানির ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম বেড়াতে। গ্রামের নাম ইউসুফপুর। অনেকে মিলে ঠিক করি ঈদের পরের পরদিন সকালে রওনা দিব। যেমন কথা তেমন কাজ, যথাসময়ে গ্রামের বাড়ি রওনা দিলাম। সঙ্গী ছিল অনেকেই, যাদের মধ্যে কয়েকজন সমবয়সী চাচা, এছাড়া ফুফা-ফুফু আর ছিল কয়েকজন কাজিন।
গ্রামের বাড়ির টানে আমি সেখানে প্রায় প্রতিবছর-ই ঈদের ছুটি কাটাতে দলবলসহ রওনা দেই। সেবারও এর ভিন্নতা হয় নি। গ্...
১.
আগে মেয়েরা যখন শরীর ঘেঁসে দাঁড়াতো টি-শার্টে রেখে যেত লিপস্টিকের রং
এখন মেয়েরা বুকে ঝাঁপায়, নিদ্রা যায় কোলে, জামায় লেগে থাকে দুধের দাগ!!
২.
শ্রেয়া ও শ্রেষ্ঠার দুনিয়ার আলো-হাওয়ায় আসার পাঁচ মাস হতে যাচ্ছে আগামীকাল ১২ তারিখ। এই জমজ নন্দিনীদের জন্মের সম্পূর্ণ কাহিনীই সচলায়তনে লিখে রাখার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শিশুরা রুটিন মেপে সম...
আমাকে আর কেউ পছন্দ করে কিনা তা আমার জানা নেই, কিন্তু পুলিশ নির্ঘাৎ আমাকে পছন্দ করে। তা নাহলে কি আর আমার পেছনে লেগে থাকতে পারে? বলুন, আপনারাই বলুন। আরে ভাই, আমিতো মানুষ, রোবটতো আর নই যে সব কিছু সবসময় ঠিক মত করতে পারব। আর মানুষ মাত্রেই ভুল করে।
হাজার হলেও বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙ্গালি আমি। তাই বাঙ্গালি ধাঁচ অনুসরণ করতে গিয়ে আমেরিগো ভেসপুচির দেশ আমেরিকার ম্যাসেচুসেটস নামক স্টেটের বোস্...
পুলিশের সাথে কেন জানি আমার বারংবার দেখা হয়েই যায়। ২০০৯ সালকে স্বাগত জানাবার জন্য ভ্রমণে বের হয়ে পুলিশের হাত হতে আমি নিস্তার পেলাম না। মাঝে মাঝে তাই মনে হয়, যেন পুলিশ ও আমি = লাইলী ও মজনু।
যাই হোক, এখন আমি মূল কাহিনীতে চলে আসি। কাহিনীর শুরুর অংশটি সরাসরি পুলিশের সাথে সাক্ষাৎ থেকে শুরু না করে একটু আগের ঘটনা থেকে শুরু করি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার বড় ভাই আমার কাছে বেড়াতে আসে। তা...
আমরা আশা নিরাশার সমুদ্রে উতাল পাতাল হাবুডুবু খেতে লাগলাম। হয়তো ওরা পরের ট্রেনে যেতে দেবে আমাদের। হয়তো আমাদের পাসপোর্ট ভালো করে পরীক্ষা করার পর ভুল ভাঙ্গবে। যদি কোন কারণে নিজেদের দুতাবাসে যদি খোঁজ করতে চায়, তাহলেও সময় দরকার ওদের! কিন্তু একটু পরই রাত নামবে, তখন থাকবো কোথায়? এসব নানা ধরণের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। ঘন্টা দু’য়েক পর উল্টোদিক থেকে ইস্তাম্বুলগামী একটি ট্র...
আমি লিখার চেয়ে পড়তেই পছন্দ করি বেশি। আমি ব্লগে আসি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কিছু জ্ঞান আহোরণ করবার জন্য। ভেবেছিলাম যে শুধু পড়বো আর মাঝে মাঝে মন্তব্য করবো। কিন্তু সচলয়াতনে লিখা না দিলে দেখছি আমার অতিথি সদস্যপদ ও হচ্ছে না, তাই কষ্ট করেও হলেও কিছু লিখছি। লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি মনের ভাব প্রকাশ করা কতোটা কঠিন একটি কাজ।
বই পড়ার অভ্যেস হয় যখন ক্যাডেট কলেজ এ পড়ি তখন। আমি যে পরিবারে বড় ...
৮. রক ইউ লাইক আ হারিকেন
পরীক্ষিত ও প্রমাণিত কিছু মেয়েলিপনা আছে আমার। মুরুব্বিদের দেখে জেনেছি, নারীমন ভাল করে দেওয়ার অব্যর্থ উপায় হল বাজার করা। এই রোগ আমারও আছে। এমনিতে প্রতিটা পয়সার হিসেব টুকে রাখলেও মন খারাপ হলে কেমন যেন হয়ে যায় সব। যেই আমি কেউ কিছু চাইলে খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করে জেনে নেই, কিছু কিনবার আগে তার যাবতীয় তত্ত্ব-তালাশ করি, সেই আমিই দুই হাতে খরচ করি, সবার ইচ্ছাপূরণ করে দে...