সম্ভবত ২০০১ সালের দিকের কথা। মিরপুবে আপার বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যাবেলা আমি , জাকির ( জাকির হোসেইন, এখন সহকারী কমিশনার) আর এহসান ( এহসানুল হক, এখন এলজ়িইডি তে কর্মরত) কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম ১০ নাম্বার গোল চক্করে কোন এক চায়ের দোকানে।তখন শুক্র শনিবারে বুয়েট বন্ধ থাকায় প্রায়ই আমি সপ্তাহান্তে মিরপুরে চলে আসতাম কিছুটা পারিবারিক ছোয়া পাবার আশায়। এহসানের চাচার বাসা আর জাকিরের বাসাও একি ...
একদিন - প্রতিদিন
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন যেনো আমি সময়ের সাথে চলি
কুউ কুউ কুউ শব্দে একটানা বেজে চলেছে ঘড়ির এ্যার্লামটা। সকাল এখন সাড়ে ছটা। বাইরে অন্ধকার। শীতকালে সূর্যের দেখা পাওয়া অমাবস্যায় চাঁদের দেখা পাওয়ার মতো ঘটনা এখানে। তারপরও যেদিন আকাশ দেবতা প্রসন্ন হন, মেঘ দেবীর সাথে খুটোখুটি কম হয় সেদিন আলো রাজকন্যা মুখ ভার করা হাসির মতো একটা আবছা আবছা আ...
বিশাল ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। সাধারণ(!) দৃশ্যই চোখে পড়ছিল। রাত তখন ১০ টার মত বাজে। হঠাৎ দেখি জীর্ণ পোশাক পরা বৃদ্ধ এক লোক রাস্তার প্রায় মাঝখানে দাড়িয়ে আছে।
মনে হলো, ধুর কোন ভবঘুরে হবে হয়তো, কাছে আসতেই বুঝতে পারলাম ব্যাপারখানা কি। ভবঘুরে হোক আর যাই হোক, লোকটার মাথা মারাত্মকভাবে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেসই করে ফেললাম,
"এই যে ভাই। আপনার কি হয়েছে? মাথা কেটে রক্ত ঝরছে, আর আপন...
অবশেষে আরেকটি চুরির সংবাদ দিতে হচ্ছে ।
ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচয় বছর পাঁচেক আগে । তিনি গণিত ভালবাসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা বিষয়ক কোন একটা শাস্ত্রে তার ডিগ্রী থাকলেও তাই তিনি ছাত্রদের গণিত করান, গনিত বিষয়ক ম্যাগাজিন বের করেন । গণিত করে তিনি হয়ত বিমলানন্দ পান । এই পর্যন্ত ঠিক আছে , কিন্তু সমস্যা হয় তিনি যখন আমাকেও গণিতে আক্রান্ত করতে চান । ...
এখানে অর্থাৎ এই পরবাসে আসার পর থেকে আমার বেশির ভাগ সময় কেটেছে ভারতীয়দের সাথে।বিশেষ করে দক্ষিন ভারতের ছেলে পিলের সাথে।আজ তো প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। কোথাকার কোন আমি, কোথাকার কোন শ্রীনিবাসন --- ভাগ্যের অদ্ভুত খেয়ালে পাঁচ পাঁচটি বছর ধরে এমন ভাবে আছি---যেন সে আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই।
আমার যাদের সাথে ওঠাবসা, তাদের মাঝে সঙ্গত কারনেই আমি বর্ষীয়ান। আমার বয়েসের সব চাইতে কাছাকাছি যে আছে, ...
আক্ষরিক অর্থেই ছলছল করছে এখন চোখ ! গলার কাছে আটকে আসছে ব্যাখাহীন এক ব্যথা ! বারো বছর খুব দীর্ঘ সময় নয় হয়তো, মহাকালের হিসেবে । অথবা খুব দীর্ঘ সময়ই, জীবন-মরণ উত্কণ্ঠার এই সময়ে । বারো বছরে বনলতা ইসকুলের বালিকারা, বধুঁ হয়ে ছেড়ে গেছে বর্ষাকাঠি গ্রাম...বারো বছরে দূর্গার শূন্যতা ভুলে অপু হয়তো বার কয়েক দেখে এসেছে কোলকাতা...সর্বজয়ার হাতে সকরুণ সাদা শাঁখায় হরিহরের মৃত্যচিহ্ন বসে গেছে ! কিংবা ...
এসি বাসের বেশী বিপদ
-------------------------
ঘাড় শক্ত করে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছি, হাত দু'টো পেটের ওপর রাখা; ঠিক পেট নয়, আসলে বেল্টের ওপর রাখা। পুরো শরীর কাঠ হয়ে আছে! বাসটা যখনই ঝাকুনি দিচ্ছে, প্রাণপণে ঢোঁক গিলে ভেতরের জিনিস ভেতরেই ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেকেউ দেখলেই বুঝতে পারবে- এই পাবলিক, বাসে উঠলে 'সেইরকম' হয়ে যায়!
অথচ ঘটনা কিন্তু সবসময় এরকম নয়। আমি ঢাকার রাস্তায় 'লোকাল'-এ চড়া পাবলিক; ইদানি...
অনেকদিন পর শহীদ কাদরীর "একটি উত্থান-পতনের গল্প " কবিতাটা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে । আমি বুঝতে পারি আমার সময় এসেছে , একটি আত্নজীবনীমূলক ব্লগে লেখার সময় এসে পড়েছে । আগে কাদরীর কবিতাটিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন
একটি উত্থান-পতনের গল্প
শহীদ কাদরী
আমার বাবা প্রথমে ছিলেন একজন
শিক্ষিত সংস্কৃতিবান সম্পাদক
তারপর হলেন এক
জাঁদরেল অফিসার ;
তিনি স্বপ্নের ভেতর
টাকা নিয়ে লোফালুফি খেলতেন
...
ঢাকা শহর আইসা আমার
আইসা ঢাকা পকেট ফাকা
টক ঝালের চটপটি
একেবারে গা মাখা
রিকশার চাকা বাকা বাকা
রিকশার পিছনে ববিতা আকা।
ভাপা পিঠা সাজিয়ে রাখা
আধ কেজি তাতে ধূলো মাখা
টি।এস।সি বসুন্ধরায়
আর একবার পা রাখা।
ব্যস্ত মা রাধা বাটা
খাচ্ছি সব তেলে ছাকা
তাজা মাছের বেছে কাটা
অনেক তাতে স্নেহ মাখা।
ভোর সকালে ফাকা ঢাকা
তারই মধ্যে উড়ছে টাকা
ধরতে তারে চলছে কেউ
মাথায় নিয়ে তরকারীর ঝাকা।
ছু...
আগের পর্ব : শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় - বন্ধুত্বের দিনগুলো : পর্ব ১
আমরা তখন “সঙ্গম” নিয়ে মেতে উঠলাম।প্রথম সংখ্যা বের করতে হবে। লেখা জোগাড় হচ্ছে। লেখা আসছে। আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি। দীনভাই কবিতা দিলেন। শেখভাই গল্প। পলাশ, ঋতো, জাহিদ, সুমন লিখলো। পলাশের একটা বড়োকবিতার খন্ডাংশ চারপাতাজুড়ে সেখানে গিয়েছিলো। পুরোকবিতাটা পরে তার বইয়ে এসেছিলো। সাদিক একটা প্রবন্ধ দিয়েছিলো। খুবই বাজে টাইপ...