মোহাম্মদ জবুথবু হয়ে ল্যাবের সোফায় বসে আছে। ঝিমুচ্ছে। কানাডা সরকার ইরানের দূতাবাসকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমন দুঃসময়ে বেচারার ইরানী পাসপোর্ট হারিয়েছে, আরো হারিয়েছে কানাডার স্টাডি পারমিট। বাস্তবতার কড়াঘাতে সে মূহ্য।
আমি একটা ফোনের জন্যে অপেক্ষা করছি। এই ঘনঘোর দুঃসময়ে মোহাম্মদ নিশ্চয়ই আগের মতো বিনা নোটিশে দার্শনিকতা কপচানো শুরু করবে না। এই ভরসায় সোফার অন্য প্রান্তে গিয়ে বসলাম। মোহাম্মদের ক্লান্ত বন্ধ চোখটা মুহূর্তে খুলে গেলো। ধীরে ধীরে ঘাড়টা ঘুরালো আমার দিকে। আমি মুখে হাসি নিয়ে ভয়ে ভয়ে তাকালাম।
ম্যামের হাতে ডাস্টার ছিলো ছুড়ে মেরেছে
উঃ বড্ড লেগেছে।
চাচ্চু ওর নাম নয়। কিন্তু আমরা সবাই ওকে চাচ্চু নামেই ডাকি। কারণ সালাম সালাম হাজার সালাম গানের প্রখ্যাত গীতিকার ফজল-এ-খোদার পুত্র সে। ওর বাবা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় ভাই।ভাইয়ের পুত্র হিশেবে ও আমাদের ভাতিজা।আর ভাতিজা আমাদের চাচ্চু ডাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, গায়ে গতরে উচ্চতায় ভাতিজা আমাদের সমান সমান আকার ধারণ করলেও ওর আচরণ বাবুসোনা টাইপের। বয়স বাড়ছে কিন্তু ভাতিজা আমাদের বড় হচ্
৪র্থ পর্ব
৭০ এর নির্বাচনের ভূমিকা
১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে আমি মেজর জেনারেল মুজাফফরউদ্দীন এর স্থলাভিষিক্ত হবার জন্য ঢাকায় রওনা হলাম। আমার এই নতুন পদের সাথে আমাকে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চলের দায়িত্বও গ্রহণ করতে হবে।
মিনার মাহমুদের মতো একজন লড়াকু মানুষ আত্মহত্যা করবেন এটা মানতে এখনো কষ্ট হচ্ছে। তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ‘আত্মহত্যা’ ব্যাপারটা যায় না। কী বর্ণাঢ্য একটা জীবন ছিলো তাঁর! য়্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ এরকম বর্ণিল জীবন আমাদের প্রজন্মের আর কারো তো ছিলো না! বিশেষ কোনো একটি অভিধায় বিশেষায়িত করা যায় না তাঁকে। তাঁর চরিত্রের মধ্যে একই সঙ্গে দায়িত্বশীলতা এবং কাণ্ডজ্ঞানহীনতার অপূর্ব মিশেল ছিলো। যে কারণে মিনারকে আমার আনপ্রেডিক্টেবল মনে হতো সব সময়। আমাদের প্রজন্মে মিনার মাহমুদ ছিলেন কীর্তিমান এক রহস্যপুরুষ। যে রহস্যের সিংহভাগই চির অনুদ্ঘাটিতই থেকে গেল।
১.
ঘনিয়ে আসা ঝড়