এক।।
ঃ বুঝলে আহমেদ, আমরা ছিলাম এগারো ভাই। আমি সবার ছোটো। বড় ভাইয়ের সাথে আমার আঠারো বছরের তফাৎ। কেনিয়া তে এটা অবশ্য তেমন কোন ব্যাপারই না। বিশেষ করে আমরা যে গ্রামে থাকতাম সেখানে।
ঃ তোমাদের গ্রামের নাম কি হামফ্রে?
ঃ নাম জেনে কী করবে? উচ্চারণ করতে পারবেনা। ধরে নাও সোহালি।
ঃ এ নামটাও মন্দ নয়। বাংলাদেশে কাছাকাছি নামের একটা গ্রাম রয়েছে।
ঃ তাই নাকি? কী নাম সে গ্রামের?
৩.অনির ভীষণ জল ভীতি আছে। কিন্তু অনি দেখেছে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজকর্ম জল ছাড়া হয় না। জল ভীতির সাথে অবশ্যম্ভাবীভাবে জড়িয়ে থাকে স্নান ভীতি। ছোটবেলা থেকে অনিকে স্নানে নিতে মাকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে শীতকালে মা আর অনির মধ্যে এই স্নান করা নিয়ে কম লুকোচুরি খেলা হয়নি। মায়ের আঁচলে সেই সব দিনের অনেক গল্প আছে। খাওয়ার টেবিলে মাঝে মাঝে মা অনির ছেলেবেলার গল্প করে আর হাসে। বাবার স্টকেও অনি-তোড়ার ছেলেবে
আগের পর্ব গুলোর লিংকঃ
তৃতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55738
দ্বিতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55688
প্রথম পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55630
তানবুর
দ্বিতীয় পর্বের লিংকঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55688
জিপসি বুড়ি ইয়ালেল্লে
রণ শেখের গল্প ধীরজা পেরিয়ে এতদূর যাবে কে জানতো? শম্ভুনাথ তো চেয়েছিল কেবল হুন্দামুড়ির পেছনে লুকিয়ে থাকা আজব একটা দেশে যেতে, যে দেশের কথা সোনাপুর গঞ্জের হাটুরেদের মুখে মুখে ফেরে। অথচ নিয়তির কী খেলা দেখুন, তার জীবনটা জড়িয়ে গেলো বাগদাসারের সাথে।
(মোখলেস হোসেন)
প্রথম পর্বের লিঙ্ক
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55630
আহুরামাযদার গেদাল
অনেকদিন আগে এইদেশে একটি নদী ছিল। সে নদী প্রমত্তা, এ পারে দাঁড়িয়ে ওপার দেখতে পাবেননা - এমন তার বিস্তার। আমার দাদা-পরদাদারা গয়না নৌকায় নদী পার হয়ে গঞ্জে যেতেন, সোনাপুর গঞ্জ তখন অনেক দুরের পথ, যেতে আসতে পাক্কা দুই দিন। গয়না নৌকা দেখেননি তো? বিশাল সে নৌকা, এই যে মান্দার গাছটা দেখছেন - তা ধরেন নৌকার হালটাই হবে অত বড়, দুইজন মাল্লা লাগে সে হাল নাড়াতে। নৌকার মাঝখানে বেশ বড়সড় একটা ঘর, সে ঘরে দরজা আছে, জানালা আছে, আছে মাথার উপর খড়ের ছাউনি। ছাউনি থেকেই বোধকরি নাম হয়েছে ছই।
১
১.
দোকানদার প্রথমেই একটা বেড়ে প্রশ্ন করে বসল ...
“আসল বই কিইন্যা কী করবেন?”
আমি তার দিকে খানিকটা সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম। ব্যাটার মতিগতি ঠিক বুঝা যাচ্ছে না।
সে তার মত করে গম্ভীরভাবে বলতে থাকলো, “ইন্ডিয়ান বাংলার যত বই আছে, তার মধ্যে কেবল আনন্দ পাবলিশার্সের বাঁধাই-ই সবচেয়ে ভালো। অন্যগুলো অত টেকসই না। দু-তিনদিনেই ছিঁড়ে যায়, এমন অবস্থা।”
চোখের জল আটকাবার চেষ্টা করেন না মোহনা। জগতের এই একটামাত্র নির্জন স্থানে চোখের জল ঝরবার কার্যকারণ কেউ খুঁজতে আসে না। সেটা হলো মোহনা চক্রবর্তীর ঠাকুরঘর। তার শোবার ঘরের পাশের ছোট্ট ঘরটিতেই ঠাকুরঘর। কাঠ দিয়ে তৈরি পূজার ঘরটিতে মূল মন্দিরের মাঝখানে একটু উঁচুতে নানান দেবতার ছবি। আর মন্দিরের শিখরের উপর লাল কালিতে ওঁ লেখা। মন্দিরের গায়ে বিভিন্ন রকম ফুল, ফল, লতার সঙ্গে সংস্কৃত শ্লোক আর দেবতাদের প্রতীক দিয়ে
অনি হাঁটছে। দ্রুত পায়ে। দূর থেকে যে কেউ দেখে ভাববে কোনো স্থির লক্ষ্যের দিকে জোর পায়ে ছুটে চলছে ছেলেটি। কিন্তু অনি যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না বরং তীব্র এক অভিমান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এখন অভিমান আর দুঃখের ফারাক নেই। বুকের ভেতর অভিমান জমে জমে দুঃখের বোঝা হয়ে গেছে। নিজের প্রিয় জিনিসগুলো ফেলে আসার কথা ভেবেও ওর পিছু ঘুরতে ইচ্ছে হচ্ছে না তাই। ওর প্রিয় কয়েন এ্যালবাম, পঁচিশটা রঙ