সৈনিকের দুঃস্বপ্ন
গ্রেনেডশূন্য হাতটা কাঁপছে
দূরের মানুষগুলোর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী
মুহূর্ত আগের উন্মত্ততা ভুলে স্নায়ু অবশ হয়ে আসে আমার
আজকে রাতে এই মানুষেরা সার বেঁধে আসবে দুঃস্বপ্নের ঘোরে
কারো পা উড়ে গেছে, কারো বুক এফোঁড় ওফোঁড়
কারো বা খুলির ফুটো দিয়ে বেরিয়ে আসবে গলিত মগজ
সবাই মিলে নেড়ে চেড়ে দেখবে
আমার মাথার কাছের রকেট লঞ্চার
কিংবা ঘুমন্ত হাতের সজাগ স্...
পাশের ঘরের শাদা কুকুরটির নাম টম। যতক্ষণ ঘরে থাকি, কানে শব্দ আসে, বৃদ্ধামহিলা টমি-টমি বলে ডাকে। বৃদ্ধার ডাক শুনে টমিও উৎসাহিত হয়; পিছনে-পিছনে লেজ উঁচিয়ে হাঁটে; কিংবা দৌড়ায়। হঠাৎ টমির শব্দ থেমে যায়; সে কি খাওয়ার বায়না ধরে? রাগ করে? না-কি কাছাকাছি বসে? রাতদীর্ঘ হলে টমির টম-টম শব্দ আর কানে বাজে না। এক বিছানায় দু’জন ঘুমিয়ে পড়ে।
বাড়িতে একটি পোষা কুকুর ছিল। নাম কি ছিল তার মনে নেই। হয়ত নাম দে...
ঐ দিন তোমার সাথে হঠাৎ দেখা হবার পর;
ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলাম,
এতদিন পরে দেখা করিয়ে কী লাভ হল তোমার?
আমার ভুলটা কি আঙ্গুল তুলে দেখালে?
নাকি তোমারও যে মাঝে মাঝে ভুল হয় -
সেটার জন্য ক্ষমা চাইলে?
যথাবিধি ঈশ্বর নিরব।
হে ঈশ্বর, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে
তোমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
আমি তাকে দেখেছি, আর
সেও দেখেছে আমায়।
আমরা আগের মতই আছি,
আগের মতই ভালো - এবং
আগের মতই ভালোবাসাবাসির সীমারে...
অনেক দেরীর ভোর,
দুপুর রোদের গরমে
অলস পথচলা;
বরফ কুঁচি ঠান্ডা চুমুকে
স্বস্তির মৃদু উচ্ছ্বাস;
অসময়ের বিকেল ঘুমে
ভাঙা স্বপন,
টুকরো জীবনের ছন্দ।
নির্বান্ধব একলা ছাদ,
মন মাতানো এলোচুল হাওয়ায়;
গোধুলী আভার পরশে
মনে বাজে
বিদায়ের বিষণ্ণ সুর।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
[প্রিভিউতে কবিতার বড় একটা অংশ বেরিয়ে পড়ছে, সেটাকে কমানোর জন্যে এই উপক্রমণিকা।
কবিতাটা কাগু'র খাতিরে লেখা। ভদ্রলোক একের পর এক মেইলের জবাবে বড় কষ্ট করে ইংরেজী লিখছেন। বাংলা ভাষার ঠিকাদারি নিয়ে এতো কষ্ট করছেন যিনি, তার জন্যে এটুকু কষ্ট এমন কিছু নয়।
কাজেই, ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কাগু'স নেস্ট ... ]
সন্ন্যাসী কাগু-গুপ্ত,
জনকণ্ঠের ভবন আড়ালে একদা ছিলেন ছিলেন সুপ্ত।
মনের শান্তি নিয়...
আকাশের ভার মাথার উপরে, দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ,
মন বলে, “তুই হেরেই গেলি রে”, বোধ বলে- “তুই জিত্”।
“হারবি কি তুই
এ কুরুক্ষেত্রে!
ওঠ্, লড়, এই
লড়াই জেতরে…
এক কানাকড়ি সুযোগ হেলায় দিস্ নে হারাতে আর…”
নিজ কাঁধে তাই তুলেছি আমার স্বপ্নজয়ের ভার।
অনেক সয়েছি, নীরবে ক্ষয়েছি, ভুলেছি কি ছিলো লক্ষ্য
জানি আজ আমি নিশানা আমার, কেটেছে কৃষ্ণপক্ষ।
থেকে থেকে প্রান
করে আহ্বান
বাজে রণভেরী,
নাচে শয়তান
মনন-বো...
[পূর্বলেখঃ
কবিতা বুঝিনা। তাই পড়িনা, লেখার তো প্রশ্নই আসেনা। তবে পদ্য লেখা অতি পছন্দের কাজ, সেগুলো মুঠোফোনের বার্তা হিসাবে পাঠানোর কাজটা আরো পছন্দের।
হঠাত্ কী হলো, একদিন দেখি পাশা উল্টে গেছে! আমাকেই একজন বার্তা পাঠিয়েছে, আধুনিক কবিতা!
উত্তর না দেয়ার অভদ্রতা করার তো প্রশ্নই আসেনা। সাহস করে লিখে ফেললাম ক'লাইন, পাঠিয়েও দিলাম। চললো কদিন এভাবে। নিজের সাফল্যে নিজেই চমত্কৃত।
ক'দ...
কফিন বাসের কালে
কৃষ্ণ কানহাইয়া
১
কফিনে ঘুমাই
কফিন আমার ঘর।
এলার্ম ঘড়ির ডাক, জেগে উঠি ভোর বেলা
মরে কোন কালে , কফিনে ঘুমায় নিরীহ ড্রাকুলা।
অবাক খেলনা ঘড়ি-এক আয়েসী অজগর
একে একে গিলে খায়,
"পাখী সব , করে রব।"
রাতি পোহাইল না বলে
কফিনের ঘুম ভাঙে না সকালে ।
সাড়ে আট -সাড়ে পাঁচ গারদের ঘন্টা শেষে
পিল পিল পিঁপড়ের দল
সারি বেঁধে ফিরে যায়, পুরোনো কফিনে।
কফিনে ঘুমাই, কফিন মোদের সব
পিছে থাক জীবনের...
জহিরূল ইসলাম নাদিম
রাত ঘুম ঘুম শান্ত নিঝুম
এবং নিরিবিলি
আকাশ চুলে তারার দলে
কাটছে শুধু বিলি।
এখান থেকে অনেক দূরে
আছে আমার মা যে
আমি ভীষণ ব্যস্ত এখন
লেখাপড়ার কাজে।
জ্যোছনা রাঙা চাঁদটি যদি
হতো কোনো আয়না
ফুটত তাতে মায়ের ছবি
পুরত আমার বায়না।
সবাই গেলে ঘুমিয়ে তখন
বলছি ও চাঁদ শোনো
মাকে দেখার টিভি হ'য়ো
কথা বলার ফোনও।
ভয় পেয়োনা টিভি এবং
কথা বলার বিল
মিটিয়ি দেবে আমার সাথে
আমার ম...
[justify]সেই বয়সটা, যখন কারণ ছাড়া কান্না পেত, মার সাথে ভীষণ ঝগড়া হত, আবার সারাদিনের সব কথা মাকে না বললে অস্বস্তি, অস্বস্তি। নতুন বিল্ডিং উঠবে দেখে কলেজের লাল-জবা গাছটা যখন কেটে ফেলল, ম্যাগাজিনের কাজ করতে গিয়ে, আমার আর সিস্টার শিখা, দুজনেরই চোখ ছলছল। তারপর কাটা পড়ল লাইব্রেরির মাধবীলতার ঝাড়, আর ওড়াউড়ি বাদ দিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে পা রেখে হাঁটা শিখলাম, সে আরেক গল্প।
সবগুলো কবিতাই ২০০১-২০০২...