দমে দমে বাড়িয়েছি কষ্টের দাম, অন্যসব নিঃশ্চুপ জেনে নিবিড় ভঙ্গিতে চেপে ধরি বকু... এবিশ্বাসে স্মৃতি পেল লোপ, ফিরবে কী শিগগির... সুযোগ না-পেয়ে স্বপ্নের পেছনে; ঘুমন্তশ্বাসে কাউকে নিচ্ছি না একা উষ্ণ-আলিঙ্গনে; তাকেও সাক্ষী রাখছি বুকপকেটে শরীরে-লোমে। কিন্তু সুরার ফ্যাসাদে বেশ আড়ষ্টতা জিহ্বায়... চুপচাপ থাকা সহ্য হয় না, দিশেহারা তুমিই বলো ওহো; বিগতকল্পনা। তুমি ফিরবে না জেনে খারাপ লাগছে না কা...
ভালেবাসা বড় বোঝা
জান্তব প্রাণ ধরেছি মুঠিতে
পারি কি ইচ্ছে হলেই মুঠি খুলে দিতে।
কে কবে চিবুক ধরে সিঁথি কেটে দিয়েছিল চুলে
তাড়াতাড়ি হাঁট্ বাবা,ঘন্টা বেজে যাবে স্কুলে ।
কিচ্ছু ভুলি নি -মা
অমাবস্যা -প্রতিপদ থেকে লক্ষ্মী পূর্ণিমা।
যে ছেলে মেলায় যেত ,বাবার তর্জনী চেপে ধরে
তর্জনী-মধ্যমার ফাঁকে
সিগারেট তার গলগল ধোঁয়া ছাড়ে।
কিচ্ছু ভুলি নি বাবু,ক্রিকেটের ব্যাট
ফ্লাওয়ার কর্ক , প্...
আজ অনেক দিনের পর-
রাত্রিজাগা প্রহর শেষে
চক্ষেতে ঘুমঘোর।
আঁধারমাখা আবছা আলোয়
সূয্যিমামার খুনসুটি,
আর এক দুটা কাক,
অলস সুরে গান-
আনন্দেরই ঝর্ণাধারায়
ভাসুক আজ এই প্রাণ।
আজকে আমার হৃদয় নাহয়
থাকুক আমার মতো,
দুঃখের শেষে উঠুক হেসে
মিলাক ব্যথা যতো,
হৃদমাঝারে উঠুক সুখের
কালবোশেখী ঝড়-
আজকে আমার দুচোখেতে
দেখবেনা কেউ জল,
হঠাত্ উদাস মন অকারণ
করবেনা ছলছল,
অভিমানের আজকে ছুটি;
মনের আ...
আমার মগজের ভেতরে-বাইরে-চারপাশের সমস্তকিছুর শব্দ অস্তিত্বে অনুনাদে আঁচড়ায়; কেঁপে উঠে সময় চারদেয়ালের বৃত্তে।
তাই ভেঙ্গেচুরে পড়বার পূর্বমুহুর্তে কাগজে কলমে আর্তচিৎকার লিখি.........
গলা টিপে ধরেছে অন্ধকার।
যে অন্ধকার
গুনগুনিয়ে মৃত্যুর সুর ভাঁজে,
আমার চোখদুটো উপড়ে ফেলতে চায়,
চেতনাকে আছাড় মারে হৃৎপিন্ডে,
চেতনায় আছড়ে পড়ে,
নিঃশব্দে হাসে,
নিঃশব্দে কাঁদে।
যে অন্ধকার
ধুসর কালিতে ল...
ঐ রিক্সা, যাবি?
-কই যাইবেন?
সামনের রিক্সার আগে।
-সামনের রিক্সা কই জাইবো?
জানিনা।
-কী আছে ঐ রিক্সায়???
জানিনা।
আমার পূর্ব পুরুষরা, কাদা পানির জেলে চাষি,
পান্তা মরিচে বাঁচে, অদ্য।
আমরা করি দারিদ্র বিলাসিতা।
আধপেটা মায়ের ঘরে ভরপেট শিশুগুলো,
বেড়ে ওঠে সে নিয়মেই।
নিজের ভিটেয় পরবাসী শিশুগুলো,
মার খেয়ে, অনাহারে কাঁদত দিন রাত।
ভিটির জমিটা এখন বাবার কবরের উপর।
মা ও সেদিন পিছু হট...
কাফকার পোকা
বড় বেশী তেষ্টা পায় রাতে
তাই শিয়রে জলের গেলাস, জল আছে তাতে।
কেন জানি আজ রাতে
ভুলে গেছি গ্লাসের ঢাকনা তুলে দিতে।
ইদানিং ভুলগুলো
বড় বেশী এলোমেলো।
তেষ্টাতে ঘুম ভেঙে গেলে,
দেখি পোকাটি আগুন ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জলে।
তারপর সে কি ছটফট-চিৎকার চেঁচামেচি
একাই শুনেছি আমি-একাই জেগে আছি।
কলমখানি তুলে নিলাম টেবিল হতে
ঈশ্বর আমিই এখন-পারি ওর জীবন ফিরিয়ে দিতে।
মাঝরাতে কলম হ...
বসতে গিয়ে পাশাপাশি ,
অসাবধানে হাসাহাসি ।
ওড়না খানির স্পর্শ যদি লাগে,
আর কিছু নয়, স্পর্শটুকু
সরিয়ে রাখি সঙ্গোপনে
আমার মানি ব্যাগে
খুব কি যাবে রেগে...
কৃষ্ঞ কানহাইয়া
আলো এবং অন্ধকারের বৈপরিত্যে বিশ্বাসী আমি
হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ি বর্ষার জলে|
কবিতার জন্য লোভ?
কিংবা শেষ ট্রেন ধরবার তাড়া?
বন্ধু,
আমি শুধু দুমুঠো ভাত এবং একটু অনুভূতিহীনতার জন্যই বাচতে চেয়েছিলাম|
এইসব থাক,
আজ বরং তোকে আমি অন্ধকারের গল্প শুনাই|
এই যে নদী এলোমেলো শহরের আলো
পেছনে উল্লসিত জীবনের বার-বি-কিউ
সবকিছু পেরিয়ে আমি বার বার এসে দাড়িয়েছি পাহাড়ের প্রান্তদেশে
ভুল আলো ভুল মানুষে...
শীতের দিনে তীব্র কুয়াশার ভেতর এলোমেলো ভাবে হেঁটে যাই
ঘাসের চূড়ায় ভোরের স্বচ্ছ শিশির ,
আর ভুল করে জেগে ওঠা পাড়ার সাদাকালো কুকুরট্
ওরা আমার সাথী হয়;
আমার ভালই লাগে।
ঝাঁ ঝাঁ রোদে হাঁটাহাঁটি পুরোনো অভ্যাস
মনের জীবাণূগুলো মেরে ফেলি প্রখর তাপে,
বেঁচবে বলে এক ঝুড়ি লাল গোলাপ নিয়ে
আট-নয় বছরের ছেলেটা আমার পিছু নেয়,
চারটা টাকার বিনিময়ে কিনে নেই দুটো ফুল
ছেলেটার চোখ খুশিত...
বাগানের পথ ,
একটি জোনাকী মৃত।
কোলাহল নেই ,
তার শূণ্য পা ঝুলে নেই বৃক্ষ শাখে
নেই স্বজনের হাহাকার ।
এমন সমাহিত মৃত্যুতে কেবল পোকাদের অধিকার।
কৃষ্ঞ কানহাইয়া