বন্ধু ভাবলেই প্রবেশ-দুয়ারে জেগে ওঠা ক্ষণ, শূন্যদিন!
অনিচ্ছায় কোথায় যে দাঁড়াই!... চাওয়া যে দশানন
দৃষ্টিকার্ষণ ছুঁলে তুমিও অন্যদিকে জাগাও বর্ণ ও জল
ঘুমে ঘুমে দেহের করতলে আমিও অ-নির্মিত সুখফল
গাঢ়ঘুম আর রাত্রিযাপন বোবাপাথর পার্রসোনাল কথা
আহত জলের সিলেবাসে তুমি জাবরকাটা— অস্থিরতা…
২.
অধিক ঋণের কম্বিনেশন একবারই হয়; যেমন বিষাদবেগ
না-ফেরা ব্যাপারটা হয়ত অহংকার; বুকসিন্দুকের উদ্...
হায় ইলিশ, প্রিয় ইলিশ, সংগ্রামের ইলিশ, কবিতার ইলিশ, জাতির ইলিশ, স্বপ্নের ইলিশ-তুমি শুয়ে আছো কুচি-কুচি বরফের শাদা জোছনায়।
কী নরম, কী শীতল, কী মায়া-মায়া চোখে তাকিয়ে আছো বাঙালিপনার নিরেট সম্ভাবনায়! তোমার শুভ্র শরীরে উপুড় হয়ে আছে আমাদের উৎসবের কলস।
তোমার কী মনে পড়ে মেঘনার সঙ্গমে ডিম ছাড়তে ছাড়তে অনুভব করেছিলে ফাঁস ফাঁস জালের কঠিন বেড়াজাল? মনে কী পড়ে?- সোদাগন্ধময় মাটির বুকে কতবার লেজ নে...
প্রৌঢ়ের আত্মকথন
আজ ছয় মাস হলো চা খাই না
বাসায় মেহমান আসলে নেহাত্ ভদ্রতা করে বলি,
এক কাপ চা দেই?
সলজ্জ না শুনলে মনে মনে খুশিই হই
এখনো চা বানানো শিখে কুলাতে পারি নি
ইচ্ছা করে না
ভালো লাগে না ।
বারান্দায় মানিপ্ল্যান্ট গাছগুলির যত্ন দরকার
কারনে অকারনে আসি যাই ওদিকটায়
পানি আর দেয়া হয় না ওদেরকে
মানুষই নেই, গাছ দিয়ে কি হবে?
দখিনের জানালাটা খোলা রাখি প্রতি রাতে
যদি তুমি এসে দাঁড়াও এ...
বেতস লতা তেঁতুল পাতা
অল্প হাওয়ায় তিরতিরিয়ে কাঁপে
শুভ্র রঙ্গিন মোমবাতিটা
যায় গলে যায় একটুখানি তাপে ।
মোমবাতিটা পুড়ছে কেন
কাপছে কেন চিকন চিরল পাতা
মোহন ঢঙ্গে আগুন জ্বলে
ঝড় বইয়ে দেয় শরীর অনাঘ্রাতা ।
আমার দোষই সবাই দেখে
নিরজনে একলা আমি কাঁদি
পুড়ছি বলে কাঁপছি বলে
আমিই অপরাধী ?
মোঃ জাহিদ হোসেন
চোখে চোখে কথা হলেই সহৃদয় সুনসান আর
বর্ষাদিন!
দৃষ্টির ঠিক পেছনে দেখি পুরাতন ভাব বিনিময়
আমাকে জড়াতে চায় গুহামুখ আর মাটির বাকল
আমাকে খুলে রাখিও একেলা; ওহো খোলা জানালা
কান্নারও যদি অদল-বদলে হয় বিশ্বাসে; শঙ্খমালায়
কুয়াশার চাদর ফেরাও দৃষ্টি; অদৃশ্যে হই আত্নভোলা
সহস্রকুয়াশামুখ দেখে আমাকে বেরুতে হয় সকালবেলা!
মনে পড়ে ...
গাঁয়ের খুব কাছ ঘেঁষে এঁকে বেঁকে চলে নদীর বুকে
সাজনা গাছটার বড় ডাল থেকে বিরাট ঝপাং লাফ;
কখনো সারাদিন এক দঙ্গল ছেলের সাথে একাত্মা হয়ে ঘুড়ি ওড়ানো,
কখনো বা তাদের সাথেই লাটাইয়ের মালিকানা নিয়ে ব্যাপক বিবাদ;
মাঝে মাঝে ভর দুপুরে আমবাগানে একটা চোরা হানা
পেয়ারাবাগানও রেহাই পেত না এক আধ দিন;
মুঠো মুঠো রোদ্দুর হাতে পুড়ে ক্ষেতের আল ঘেঁষে ছুটে যেতাম
এক গাঁ থেকে আরেক গাঁ কিংবা তে...
মহাপ্রভু ছক্কা চালেন খেলার ছলে,
তাঁর খুশিতে ছক্কা ঘোরে ওলটপালট
ঘূর্ণনে তার রঙ বদলায় দুনিয়াদারি-
একই খেলায় কাটান তিনি অনন্তকাল।
চার উঠলে আস্তাকুঁড়ে গলিত শব,
দুই উঠেছে? হত্যা করো অবোধ শিশু।
তিন ফোঁটাতে লাঞ্ছিতা মেয়ের জারজ প্রসব।
লাখে একবার ছয় পড়লে
ভিখিরিকে আমীর করে
প্রভু মোদের আত্মশ্লাঘায় সুড়সুড়ি খান।
মহাপ্রভু ছক্কা ছোঁড়েন ইতস্তত-
আঘাতে তার চূর্ণ হৃদয়
লাগছে মড়ক আসছে প্রলয়...
ঈশ্বর পারেননি, আমি পারি ক্যামনে। ঈশ্বরের ঘুম নেই; তাই আমার ঘুমও বিধিসম্মত নয়। যার বিষ নেই তার কামড়ে যদি লোশনঘন মাংস খসে পড়তে পারে; তবে আমি বিষ ঢাললে বিচার হবে কেন?
সূর্য পুড়িয়েছে আমাকে। খুব কি সহজে হয়েছি তার সন্তান! আমি যখন আগুনের খেলা শিখেছি তখনও প্রমিথিউস ছিলেন দুগ্ধ শিশু। আমি আগামেনন নই- হেলেনকে ছেড়ে দেবো অন্য হাতে। অবাধ্য আফ্রোদিতি আর সাইকির জন্য একটি নির্দেশ দিতে জিউস ভুল ক...
বলছি কাগজের কাফনে মোড়া ক্ষয়িষ্ণু টেবিলের দীনতা, শাপ আর ক্লান্তি।
ফলে এখানে ওখানে রক্তের দাগ, হয়ত দাগ নয় কাগজের অভিমান-
একদা এইখানে, কেউ কবে ডায়রিতে পুরেছিল প্রেম, ভুল গানের পংক্তিমালা
জড়ানো কয়েকটা পাপড়ি, সহবাস
মাথা রেখে ঘুমিয়েছিল একটুকু হাত পেতে
অথবা ঘুণ, কেটেছিল সময়ের গেড়ো, মূলত গল্পহীনভাবে
আজ যেখানে ভর করেছে অসংখ্য আঁকিবুকি, জ্যামিতিক টান, ফর্মূলা
এবং ঝরে যাওয়া কোনো কলমের প...
আজ তোমাদের মৎস্য শিকারের দিন
ঠিক ঠিক বড়শি নিয়েছিলে, তেমন টোপ?
সোনালী চুবড়ি ভরুক রূপালী তারায়
হারিয়ে দিও, পার যদি- প্রতীক্ষিত ক্লান্ত বকপাখি
গন্তব্য স্থির কর-দিগন্তের বর্ণভেদী নীল নভস্তল
চেনাশোনা জানাশোনা দেখাশোনা-নিঃশ্বাস ঘোরতর
ঘনতর হোক, ঋদ্ধ হোক ভ্রমণের শ্রুতি পদাবলী;
তোমাদের বড়শী, টোপ বেঁচে থাক বাণিজ্য বিতানে!
তুলে এনো বেভুল বুনো চাঁদ, ছুৎমার্গহীন জড়াজড়ি
আদিম কথন, জলের গভ...